বিষয়বস্তুতে চলুন

কৃষক শ্রমিক পার্টি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(কৃষক প্রজা পার্টি থেকে পুনর্নির্দেশিত)
কৃষক শ্রমিক পার্টি
সংক্ষেপেকেএসপি
প্রতিষ্ঠাতাএ কে ফজলুল হক
প্রতিষ্ঠা১৯২৯; ৯৬ বছর আগে (1929)
সদর দপ্তরঢাকা
ভাবাদর্শ
রাজনৈতিক অবস্থানমধ্যম বাম
আনুষ্ঠানিক রঙ  গাঢ় নীল
বঙ্গীয় আইন পরিষদ
৩৬ / ২৫০
পাকিস্তানের রাজনীতি

ভারতের রাজনীতি
রাজনৈতিক দল
নির্বাচন

প্রজা পার্টি ছিল ব্রিটিশ ভারতে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল। প্রথমদিকে একে কাউন্সিল প্রজা পার্টি বা বঙ্গীয় প্রজা পার্টি বলা হত। পরে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি ও আরও পরে কৃষক প্রজা পার্টি নাম দেয়া হয়। ১৯২৯ সালের জুলাই মাসে এই দল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তা টিকে ছিল। পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানে কৃষক শ্রমিক পার্টি নামে দল পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়।

দলটির রাজনীতি বাঙালি মুসলিমদের মাঝে রাজনৈতিক চেতনা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এর পাশাপাশি তারা বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের সমর্থনও পেয়েছিল, যারা জমিদারদের প্রভাবে বেশ অসন্তুষ্ট ছিল।

এই দলটি ছিল বাঙালি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এ কে ফজলুল হক রাজনৈতিক বাহন।[] এ কে ফজলুল হক বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাড়া দলটির আরও দুজন সদস্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন: আবু হোসেন সরকার এবং আতাউর রহমান খান (পরবর্তীকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী)। এছাড়া, দলের অন্যতম নেতা আবদুস সাত্তার পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন।

প্রতিষ্ঠা

[সম্পাদনা]

১৯২৯ সালে বঙ্গীয় আইন পরিষদের ১৮ সদস্য নিখিলবঙ্গ প্রজা সমিতি (অল বেঙ্গল টেন্যান্টস অ্যাসোসিয়েশন) গঠন করেন, যা প্রজা পার্টি নামে পরিচিতি লাভ করে। দলটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে একে ফজলুল হক, স্যার আজিজুল হক, মৌলভি তমিজউদ্দিন খান এবং স্যার আবদুর রহিম ছিলেন উল্লেখযোগ্য। মূলত, বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন (সংশোধিত) ১৯৩৮ -এর কারণে কৃষকদের মধ্যে যে ক্ষোভ ছিল, তা পুঁজি করে দলটি জনমত গঠন করে। ফলে তারা মুসলমানদের পাশাপাশি ধনী হিন্দুদের সমর্থনও লাভ করেছিল।[]

In 2015 july 27 krishak sramik party-ksp going to steps 101 years political party of Bangladesh, by shere bangla ak fazlul hoque.(1914-2015) . In 2015 the Old party Reformed and Sher-e-Bangla’s Krishak Sramik PartyAbul Kasem Fazlul Huq, also known as the “Tiger of Bengal,” founded the Krishak Sramik Party (KSP) in 1914 and is "the oldest party within the region now knew as Bangladesh" (Political Parties of Asia and the Pacific 1985, 76). The KSP "supports parliamentary democracy, non-aligned foreign policy and socialism" and has a membership of 125,000 (Europe 1995, 496). Abul Kasem Fazlul Huq, also known as the “Tiger of Bengal,” who had in 1940 moved the Lahore Resolution calling for a separate land for the Indian Muslims about to gain independence from the British Raj, forms his own Krishak Sramik Party (the Peasant and Labor Party). On 27 July 1953 A. K. Fazlul Haq rename it to ‘krishok proja party” to “Krishak Sramik Party”.and paved the new way for the Krishak Praja Party, which was to institutionalize Haq's rural power base. After Abul Kasem Fazlul Huq death A S M SOLAIMAN, is the president of Krishak Sramik Party since 1962-1997.In 1976-1997 Ministry of Home Affairs record on 1971-2001 Bangladesh Krishak Sramik Party (Peasants' and Workers' Party) office was -: Sonargaon Bhavan, 99 South Kamalapur, Dhakaand Its president was A S M SOLAIMAN, and Adv. Latif mozumder was secretary general after his death the party Office was shifted to 35 shahid bag and Adv. Latif mozumder was president since 1997-2015 and after his death that now Architect Sumsun Nahar Moonni is president of Krishak Sramik Party.In 2015 july 27 krishak sramik party-ksp going to steps 101 years politycal party of Bangladesh,by shere bangla ak fazlul hoque.(1914-2015)In 202৩ we changed Name Krishak Sramik Party (KSP) to Krishak Sramik Peoples Party (KSP) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯১৪ সালে নিঃস্বার্থভাবে জন মানুষের সেবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো জন্য কৃষক শ্রমিক পার্টি (কে এস পি)-KRISHAK SRAMIK PARTY (K.S.P) প্রতিষ্টিত করেন। তিনি ১৯১৪ হইতে ১৯৬২ পর্যন্ত উক্ত পার্টির সভাপতি ছিলেন , উনার ইন্তেকালের পর প্রাচ্যের অন্যতম শ্রেষ্ট পার্লামেন্টেরিয়ান মরহুম এ এস সোলায়মান ১৯৬২ হতে ১৯৯৭ পর্যন্ত উক্ত পার্টির সভাপতি ছিলেন , উনার ইন্তেকালের পর মরহুম এডভোকেট এম এ লতীফ মজুমদার ১৯৯৭ হইতে ২০১৫ এর ৮ই মার্চ পর্যন্ত পর্যন্ত উক্ত পার্টির সভাপতি ছিলেন , পর উনার ইন্তেকালের পর স্থপতি শামসুন্নারার মূন্নী উক্ত পার্টির সভাপতি হন।উল্ল্যেখ্য স্থপতি শামসুন্নারার মূন্নী “বাংলাদেশ যুক্তফ্রন্ট” জোটেরও সভাপতি হন।গত ১৬ই জুলাই ২০১৫ তারিখ সকাল ১০ টায় কে এস পি এর কেন্দ্রীয় দফতর ৩৫ শহিদবাগ,ঢাকায় পার্টির এক বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় । কেএসপির মাইনরিটি ও আদিবাসী পার্টির সভাপতি এডভোকেট নোরী খিসার সঞ্চালনায়, উক্ত পার্টির মহাসচিব মোঃ সিরাজুল হক এর সভাপতিত্বে, জাতিসংগের এম্বাসিডর ফর পিস ও নিউজিল্যান্ড ইক্সেটেরিয়র মিনিস্ট্রির এনলিসস্টেড কনসালেন্ট প্রফেসর এম এন ইসলামের উদ্ভোদনে অনুষ্টিত সভায় পার্টির কেন্দ্রিয় মহাসচিব ,সারা দেশ হতে আগত নেতা-নেত্রীবিন্দ, সাংবাদিক, উপদেষ্টা কাউন্সিলরগন উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কে এস পি এর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি পুনঃগঠন সহ সারা দেশে ২২টি জেলা ও ১০০টি উপজেলায় কমিটি গঠন হয়, এছাড়া কেএসপি ছাত্র ও ছাত্রী পার্টি, কেএসপি যুব পার্টি , কেএসপি প্রকৌশলী পার্টি, কেএসপি প্রফেশনাল পার্টি , কেএসপি স্বেচ্ছা সেবক পার্টি , কেএসপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও কে এস পি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কে কমিটি পুনঃগঠন করা হয়।পূর্বে এই পার্টির নাম ছিল “কৃষক-প্রজা পার্টি .১৯৭৬ সালে এটা কৃষক-প্রজা পার্টি (কে এস পি)-থেকে নাম পরিবর্তন করে শুধু কৃষক শ্রমিক পার্টি (কে এস পি)-হয়। ২০২৩ সালে এটা কৃষক শ্রমিক পার্টি থেকে নাম পরির্তন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কৃষক শ্রমিক পার্টি হয় Bangladesh National Krishak Sramik Party (BNKSP) (ইংরেজি সংক্ষিপ্ত রূপ বলবত থাকে যা “বি এন কে এস পি” হিসেবে থাকে ।। ১৯৫৩ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনের সময় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এর বাসভবনে কৃষক-প্রজা পার্টির কর্মীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে দলের নাম থেকে প্রজা শব্দটি বাদ দিয়ে ‘কৃষক শ্রমিক পার্টি’ গঠন করা হয়। আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক করে এই পার্টির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এ কে ফজলুক হক।তখন মার্কা ছিল “হুক্কা”কৃষক শ্রমিক পার্টি (কে এস পি) এর প্রতিষ্টাতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বরাবরই জোট ভুক্ত রাজনীতিতে অথবা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলিকে নিয়ে নির্বাচনী জোট পক্ষেই ছিলেন। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর এ কে ফজলুক হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে গঠিত হল যুক্তফ্রন্ট। ১৯৫৪ সনে কৃষক শ্রমিক পার্টি (কে এস পি), আওয়ামী লীগ ও নেজামে ইসলামী পার্টির ইত্যাদি গুলির সমন্বয়ে যুক্ত ফ্রন্ট গঠন করেন। কৃষক শ্রমিক পার্টি (কে এস পি) এর প্রতিষ্টাতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বরাবরই জোট ভুক্ত রাজনীতিতে অথবা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন। সভাপতিঃ স্থপতি শামসুন্নাহার সাধারণ সম্পাদক- ইঞ্জিনিয়ার গাজি সালাউদ্দিন ইঞ্জিঃ লাব্লু হক –সহ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ তুষার আহমেদ- সহ প্রচার সম্পাদক

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Syedur Rahman (২৭ এপ্রিল ২০১০)। Historical Dictionary of Bangladesh। Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 176। আইএসবিএন 978-0-8108-7453-4 
  2. "প্রজা পার্টি - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। ২০১৫-০২-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২১ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]