মাইকেল ভন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাইকেল ভন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমাইকেল পল ভন, ওবিই
জন্ম (1974-10-29) ২৯ অক্টোবর ১৯৭৪ (বয়স ৪৯)
একলেস, গ্রেটার ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড
ডাকনামফ্রাঙ্কি, ভার্জিল, ভগানি, স্যার মাইকেল অব ভন
উচ্চতা৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ-ব্রেক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬০০)
২৫ নভেম্বর ১৯৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৩০ জুলাই ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৬১)
২৩ মার্চ ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই২১ এপ্রিল ২০০৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই শার্ট নং৯৯
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৩-২০০৯ইয়র্কশায়ার (জার্সি নং ৭)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৮২ ৮৬ ২৬৮ ২৮২
রানের সংখ্যা ৫,৭১৯ ১,৯৮২ ১৬,২৯৫ ৭,২৩৮
ব্যাটিং গড় ৪১.৪৪ ২৭.১৫ ৩৬.৯৫ ২৯.১৮
১০০/৫০ ১৮/১৮ ০/১৬ ৪২/৬৮ ৩/৪৬
সর্বোচ্চ রান ১৯৭ ৯০* ১৯৭ ১২৫*
বল করেছে ৯৭৮ ৭৯৬ ৯,৩৪২ ৩,৩৮১
উইকেট ১৬ ১১৪ ৭৮
বোলিং গড় ৯৩.৫০ ৪০.৫৬ ৪৬.০০ ৩৩.৩৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ২/৭১ ৪/২২ ৪/৩৯ ৪/২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪৪/– ২৫/– ১১৭/– ৮৮/–
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ২৭ মে ২০১৭

মাইকেল পল ভন, ওবিই (ইংরেজি: Michael Paul Vaughan; জন্ম: ২৯ অক্টোবর, ১৯৭৪) গ্রেটার ম্যানচেস্টারের একলেস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের অবসরপ্রাপ্ত বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পাশাপাশি দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন মাইকেল ভন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও মাঝে-মধ্যে অফ স্পিন বোলিং করতেন। ঘরোয়া কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০০২-০৩ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের পর তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পান। ঐ সিরিজে তিনটি সেঞ্চুরিসহ ৬৩৩ রান তোলেন। মার্কাস ট্রেসকোথিকের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক সফলতা লাভ করেন।

তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক দক্ষতার অধিকারী ভন ২০০৩ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ৫১ টেস্টে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তন্মধ্যে ২৬ টেস্টে জয়লাভ করে জাতীয় রেকর্ড গড়েন। নিজ ভূমিতে অনুষ্ঠিত সবগুলো টেস্টেই জয় পায় তার দল। তবে স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে জয়ের দীর্ঘ আঠারো বছর পর তার নেতৃত্বে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড দল অ্যাশেজ ট্রফি করায়ত্ত্ব করতে সক্ষম হয়।

অধিনায়কত্ব[সম্পাদনা]

২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর নাসের হুসেনকে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ৬ মে, ২০০৩ তারিখে তাকে ওডিআই অধিনায়ক মনোনীত করে ইসিবি।[২] এরপর জুলাইয়ে নাসের হুসেনের পরিবর্তে টেস্ট দলেরও অধিনায়ক মনোনীত হন তিনি।[৩] ২৮ জুলাই, ২০০৩ তারিখে আকস্মিকভাবে তাকে টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

অবসর[সম্পাদনা]

হাঁটুর আঘাত মাথাচড়া দেয়ার কারণে অ্যান্ড্রু স্ট্রসঅ্যালাস্টেয়ার কুককে উপরে দিয়ে তিনি নিচেরদিকে ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে, অধিনায়কত্বের চাপে খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে তার ব্যাটিংয়ে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। দায়িত্ব ছাড়া তার গড় ছিল ৫০.৯৫; অথচ, দলের অধিনায়ক থাকাকালে তার গড় দাঁড়ায় ৩৬.০২। ৩০ জুন, ২০০৯ তারিখে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।[৪][৫]

২৪ জুলাই, ২০১২ তারিখে লন্ডন অলিম্পিক গেমসের জন্য হিলিংটনের মধ্য দিয়ে অলিম্পিক মশাল বহন করেন তিনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "James Naughtie interviews Michael Vaughan"। Today। ২৯ অক্টোবর ২০০৯। BBC। BBC Radio 4। 
  2. "Vaughan named as England's one-day captain", Cricinfo, 6 May 2003. Retrieved on 1 June 2007.
  3. "Vaughan appointed England captain as Hussain resigns", Cricinfo, 28 July 2003. Retrieved on 1 June 2007.
  4. "Vaughan calls time on career"Telegraph and Argus। Bradford। ২৮ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১০ 
  5. "Ashes hero Vaughan calls it quits"BBC News। ৩০ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১০ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
নাসের হুসেন
ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০৩-২০০৮
(অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফঅ্যান্ড্রু স্ট্রস
২০০৬-০৭ মৌসুমে সহকারী)
উত্তরসূরী
কেভিন পিটারসন