নীল র‌্যাডফোর্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নীল র‌্যাডফোর্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামনীল ভিক্টর র‌্যাডফোর্ড
জন্ম (1957-06-07) ৭ জুন ১৯৫৭ (বয়স ৬৬)
লুয়ানশিয়া, উত্তর রোডেশিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫১৯)
৩ জুলাই ১৯৮৬ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৮)
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই২৩ মে ১৯৮৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ২১
ব্যাটিং গড় ৭.০০ ০.০০
১০০/৫০ –/– –/–
সর্বোচ্চ রান ১২* ০*
বল করেছে ১১৩ ৫৮
উইকেট
বোলিং গড় ৮৭.৭৫ ১১৫.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ২/১৩১ ১/৩২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং –/– ২/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ জুলাই ২০১৮

নীল ভিক্টর র‌্যাডফোর্ড (ইংরেজি: Neal Radford; জন্ম: ৭ জুন, ১৯৫৭) উত্তর রোডেশিয়ার (বর্তমানে - জাম্বিয়া) লুয়ানশিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ট্রান্সভাল, ল্যাঙ্কাশায়ার, ওরচেস্টারশায়ার ও হিয়ারফোর্ডশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন নীল র‌্যাডফোর্ড

ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, নীল র‌্যাডফোর্ড টেস্ট ক্রিকেট অঙ্গনে আঁকাবাঁকা পথ অবলম্বন করেছিলেন।[১]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

জাম্বিয়ায় নীল র‌্যাডফোর্ড জন্মগ্রহণ করেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পড়াশোনা করেন। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে প্রেসিডেন্টস কাপ প্রতিযোগিতায় ট্রান্সভাল বি দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গন থেকে একঘরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার সুযোগ কম থাকায় নীল র‌্যাডফোর্ড ইংল্যান্ডে চলে যান। ১৯৮০ সালে বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে ল্যাঙ্কাশায়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ল্যাঙ্কাশায়ারে থাকাকালে তেমন সফলতা পাননি। ক্লাবে পাঁচ বছর অবস্থান করেও কোন মৌসুমেই পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৮৪ সালে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

ঐ সময়েই তিনি বসবাসকালীন শর্তের আলোকে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলার যোগ্যতা লাভে সক্ষম হন। ফলে বিভিন্ন কাউন্টি দল তার দিকে ঝুঁকে পড়ে। ওরচেস্টারশায়ারের সাথে যুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করে ১০১ উইকেট তুলে নেন। ফলশ্রুতিতে, উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৮৬ সালে চমৎকার ক্রীড়া মৌসুম অতিবাহিত করেন। এরফলে, সফরকারী ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য এজবাস্টনের তৃতীয় টেস্টে খেলার জন্য মনোনীত হন। এছাড়াও, পরবর্তী গ্রীষ্মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নেন। কিন্তু, দুই খেলায় বিশালসংখ্যক রান দিয়ে ফেলেন। ৩/২১৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ায় দল থেকে বাদ পড়েন ও গ্লাডস্টোন স্মলের অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।

১৯৮৭ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে পুরোপুরি মনোনিবেশ ঘটান নীল র‌্যাডফোর্ড। ঐ বছরটিতে তার আরও একটি স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত হয়। আবারো তিনি শতাধিক প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেন। ফলে, ইংল্যান্ড দলে তাকে আবারো ডাকা হয় ও শীতকালে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। অকল্যান্ড টেস্টে খেলতে নামেন। কিন্তু, খেলায় বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান ১/১৩২। ফলে, দল থেকে চিরতরে বাদের খাতায় নাম লেখান। তবে, ঐ সফরে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকের চারটি খেলায় অংশ নেন।

এরপর ইংল্যান্ডের পক্ষে আর একটিমাত্র খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন নীল র‌্যাডফোর্ড। ১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলাটি ছিল। তারপর থেকে তাকে আর ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি। তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও আট মৌসুম খেলেছিলেন। ১৯৯১ সালে একদিনের ক্রিকেটে সুন্দর সময় কাটান। ৪৮ উইকেট পান। তন্মধ্যে, ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে বেডফোর্ডশায়ারের বিপক্ষে ৭/১৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ২০০৬ সাল শেষে পরিসংখ্যানগতভাবে ওরচেস্টারশায়ারের সেরা রেকর্ড হিসেবে তা স্থান করে নেয়।[২][৩]

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৯৫ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্য মনোনীত হন। ঐ বছর শেষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ঐ সময় এ স্তরের ক্রিকেটে ৯৯৪ উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।

১৯৯৩ সালে র‌্যাডফোর্ড ক্রিকেট সরঞ্জামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান র‌্যাডফোর্ড ইজেডওয়াই নেট প্রতিষ্ঠা করেন।[৪] ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে মাইনর কাউন্টিজ ক্রিকেটে হিয়ারফোর্ডশায়ারের পক্ষে খেলেন।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

স্থানীয় নির্বাচনে ইউকিপ দলের পক্ষে প্রার্থী হবার কথা ঘোষণা করেন। নাইজেল ফারাগ মন্তব্য করেন যে, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি অন্যতম পরিশ্রমী বোলার ছিলেন। আমি মনে করি যে, তিনি অবশ্যই সততার সাথে নির্বাচনী প্রচারণা কর্ম পরিচালনা করবেন।[৬]

র‌্যাডফোর্ডের দুই ভাই - গ্লেন র‌্যাডফোর্ড ও ওয়েন র‌্যাডফোর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 136। আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. "Most Wickets in a Season for Worcestershire"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০০৬ 
  3. "Most Wickets in an Innings for Worcestershire"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০০৬ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৮ 
  5. "Professional Cricketers' Association – Player Archive – Neal Radford"। CricketArchive। ৩ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১০ 
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৮ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
কপিল দেব
পেশাদার
নেলসন ক্রিকেট ক্লাব

১৯৮২
উত্তরসূরী
গ্রাহাম রুপ