বিষয়বস্তুতে চলুন

ক্রিস কাউড্রে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্রিস কাউড্রে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ক্রিস্টোফার স্টুয়ার্ট কাউড্রে
জন্ম (1957-10-20) ২০ অক্টোবর ১৯৫৭ (বয়স ৬৭)
ফার্নবোরা, কেন্ট, ইংল্যান্ড
ডাকনামকাউ, উডি
উচ্চতা৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, ধারাভাষ্যকার
সম্পর্ককলিন কাউড্রে (পিতা)
ফাবিয়ান কাউড্রে (পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫১০)
২৮ নভেম্বর ১৯৮৪ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২১ জুলাই ১৯৮৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭৮)
২৩ জানুয়ারি ১৯৮৫ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯২গ্ল্যামারগন
১৯৭৬–১৯৯১কেন্ট
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৯৯ ৩৩৩
রানের সংখ্যা ১০১ ৫১ ১২,২৫২ ৬,৮৪৬
ব্যাটিং গড় ১৪.৪২ ২৫.৫০ ৩১.৯০ ২৭.০৫
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ২১/৫৮ ২/৪২
সর্বোচ্চ রান ৩৮ ৪৬* ১৫৯ ১২২*
বল করেছে ৩৯৯ ৫২ ১৪,৫২৩ ৭,৭৪০
উইকেট ২০০ ২০৪
বোলিং গড় ৭৭.২৫ ২৭.৫০ ৩৯.৮১ ২৯.৩০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৬৫ ১/৩ ৫/৪৬ ৫/২৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ০/– ২৯৫/– ১০৮/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ মে ২০১৭

ক্রিস্টোফার স্টুয়ার্ট কাউড্রে (ইংরেজি: Chris Cowdrey; জন্ম: ২০ অক্টোবর, ১৯৫৭) কেন্টের ফার্নবোরায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বর্তমানে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টগ্ল্যামারগনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ‘কাউ’, ‘উডি’ ডাকনামে পরিচিত ক্রিস কাউড্রে। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন।[] ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৮৪ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের পক্ষে চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ফলশ্রুতিতে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া ইয়ান বোথামের স্থলাভিষিক্ত হওয়া তার বন্ধু ডেভিড গাওয়ারের অধিনায়কত্বে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ভারত সফরে যাবার জন্য ইংল্যান্ড দলের সদস্য মনোনীত হন।[] ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ তারিখে ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ২৩ জানুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে একই দলের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার।

বোম্বেতে প্রথম টেস্টে অংশ নেন। শর্ট লেগ অঞ্চলে ফিল্ডিংরত অবস্থায় গাওয়ার তাকে বোলিং করার আমন্ত্রণ জানান। শিন প্যাড না খুলেই ওভারের চতুর্থ বলেই কপিল দেবকে বোল্ড করে দেন। এরফলে ১৯শ ইংরেজ বোলার হিসেবে প্রথম ওভারেই উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন তিনি। গাড়ী চালানো অবস্থায় তার বাবা কলিন কাউড্রে টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে এ খবর শুনতে পান ও এতোটাই অভিভূত হয়েছিলেন যে, ভুলপথে একমুখী রাস্তায় গাড়ী নিয়ে চলে যান।[] এ সফরে তিনি ৯৬ রান ও চার উইকেট পান। ফলশ্রুতিতে ১৯৮৮ সালের অজনপ্রিয় চার অধিনায়কের গ্রীষ্মকালে অংশগ্রহণের পূর্বে আর ইংল্যান্ড দলে খেলার জন্য মনোনীত হননি।

অধিনায়কত্ব

[সম্পাদনা]

১৯৮৮ সালে কাউড্রে কেন্টকে চ্যাম্পিয়নশীপের তালিকার শীর্ষস্থানে নিয়ে যান। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের গড়া সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব পান।[] এ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে ছিল। এর পূর্বের টেস্টে ইংল্যান্ড ইনিংস ও ১৫৬ রানে পরাজিত হয়। ইংল্যান্ড দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি ও কাউড্রের ধর্মপিতা পিটার মে মন্তব্য করেন যে, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, কাউড্রের নেতৃত্বের গুণাবলী প্রয়োগের এখনই সঠিক সময়’।[] তবে, ইংল্যান্ড দল দশ উইকেটের ব্যবধানে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। চূড়ান্ত টেস্টের নেতৃত্ব দেয়া থেকে তাকে বিরত রাখা হয়। এরপর আরও একটি টেস্টে অংশ নেয়ার পর আঘাতের কবলে পড়েন। তাকে আর কখনও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক কিংবা খেলার জন্য নির্বাচিত করা হয়নি।[] লর্ডসের বারান্দায় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে কলম দিয়ে দাগানো অবস্থায় তাকে বেশ সমস্যার কবলে ফেলে। ১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের সাথে সফরের জন্য যোগ দেন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

ফ্রাঙ্ক মানজর্জ মানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কলিন ও ক্রিস কাউড্রে দ্বিতীয় পিতা-পুত্র হিসেবে ইংল্যান্ডের পক্ষে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পান। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কেন্টের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৯২ সালে গ্ল্যামারগনের পক্ষে এক মৌসুম খেলার পর অবসর নেন। এরপর থেকে টকস্পোর্টের সঞ্চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। পাশাপাশি স্কাই স্পোর্টসেও মাঝে-মধ্যে কাজ করছেন।

১৯৮৬ সালে ‘গুড এনাফ’ শিরোনামে কয়েকখণ্ডের আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। এতে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি তার পিতার ন্যায় ভালো নন। ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন, ‘কাউড্রে ভাগ্যগুণে টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু উপযুক্ত খেলা উপহার না দেয়ায় ইংল্যান্ড দলে তাঁর ক্ষণস্থায়ী অংশগ্রহণ ঘটে’।

কাউড্রের সন্তান ফাবিয়ান কাউড্রে অক্টোবর, ২০১১ সালে কেন্টের প্রথম একাদশে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর মে, ২০১২ সালে তার অভিষেক হয়। এরফলে চতুর্থ কাউড্রে হিসেবে কাউন্টি দলে খেলার গৌরব অর্জন করেন। পাশাপাশি, একই পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সন্তান হিসেবে কেন্ট দলের শীটে নাম তালিকাভূক্ত হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Chris Cowdrey" (ইংরেজি ভাষায়)। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-২১ 
  2. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits (ইংরেজি ভাষায়)। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 43আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  3. pp59-60, Chris Cowdrey and Jonathan Smith, Good Enough?, Pelham Books, 1986
  4. Match Report West Indies 1988
  5. Cricinfo.com

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
ক্রিস টাভারে
কেন্ট ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক
১৯৮৫–১৯৯০
উত্তরসূরী
মার্ক বেনসন