স্টিভ ওয়াটকিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্টিভ ওয়াটকিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামস্টিভেন লিওয়েলিন ওয়াটকিন
জন্ম (1964-09-15) ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ (বয়স ৫৯)
মেইস্টেগ, গ্ল্যামারগন, ওয়েলস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৬৬ ২৫২
রানের সংখ্যা ২৫ ২০৩৭ ৪২৭
ব্যাটিং গড় ৫.০০ ২.০০ ১০.৮৩ ৬.৩৭
১০০/৫০ –/– –/– –/১ –/–
সর্বোচ্চ রান ১৩ ৫১ ৩১*
বল করেছে ৫৩৪ ২২১ ৫২,০৩৫ ১২,৪২৪
উইকেট ১১ ৯০২ ৩০৯
বোলিং গড় ২৭.৭২ ২৭.৫৭ ২৭.৯২ ২৬.৮২
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩১
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৪/৬৫ ৪/৪৯ ৮/৫৯ ৫/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– –/– ৭১/– ৩৯/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৫ আগস্ট ২০১৮

স্টিভেন লিওয়েলিন ওয়াটকিন (ইংরেজি: Steve Watkin; জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৪) ওয়েলসের গ্ল্যামারগনের মেইস্টেগ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলারের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন স্টিভ ওয়াটকিন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

বিশ্বস্ত সিমার হিসেবে স্টিভ ওয়াটকিনের বেশ পরিচিতি ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে খুব কমই আঘাতে জর্জরিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে গ্ল্যামারগনের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তিনি গ্রেইম হিকফিল নীলের উইকেট লাভ করেছিলেন। এছাড়াও, সানডে লীগের দুই খেলায় মাঠে নেমেছিলেন স্টিভ ওয়াটকিন। কিন্তু, দ্বিতীয়বার দলে খেলার জন্য ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়েছিল তাকে। ঐ বছর গ্ল্যামারগনের প্রথম একাদশের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সবিশেষ তৎপরতা দেখান। ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ৮/৫৯ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এ পরিসংখ্যানটিই পরবর্তীতে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা হিসেবে রয়ে যায়। ঐ মৌসুমে ৪৬টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট দখল করেছিলেন তিনি।

উইকেট শিকারের দিক দিয়ে ১৯৮৯ সালটি তার স্বর্ণালী সময় ছিল। ঐ মৌসুমে ৯৪টি উইকেট পান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৯০২টি উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।

১৯৯৮ সালে গ্ল্যামারগনের পক্ষ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্য স্টিভ ওয়াটকিনকে মনোনীত করা হয়। এ খেলায় তিনি £১,৩৩,০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন। সচরাচর দূর্বলমানের ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। তবে ঐ বছর ৩৫.৬৬ গড়ে রান তুলতে পেরেছিলেন। সর্বোচ্চ রান ২৫ তুললেও গত ষোল ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ১৩। তবে, সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তার ব্যাটিং গড় ছিল ১০.৮৩।[১] ২০০০ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৫১ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন। এ ইনিংসটিই তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র অর্ধ-শতক ছিল।

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ইংল্যান্ডের পক্ষে তিনটি টেস্ট ও চারটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৯১ সালে অপ্রত্যাশিতভাবে ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় স্টিভ ওয়াটকিনের। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরুর পূর্বে ক্রিস লুইসের আঘাতপ্রাপ্তি তার জন্য শাপে বর হিসেবে আখ্যায়িত হয়। হেডিংলির সিমার উপযোগী প্রসিদ্ধ পিচে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে পাঁচটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে কার্ল হুপার, ভিভ রিচার্ডসগাস লোগিকে আউট করে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ড জয়লাভে সক্ষম হয়েছিল।[২] কিন্তু, দুই সপ্তাহ পর লর্ডসে তিনি তুলনামূলকভাবে তেমন ভালো খেলা উপহার দিতে পারেননি।[৩]

১৯৯৩ সালে ওভালে অ্যাশেজ সিরিজের ষষ্ঠ টেস্টের মাধ্যমে পুনরায় টেস্ট দলে অন্তর্ভূক্তি ঘটে তার। খেলায় তিনি ছয় উইকেট পান। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম তিনটি উইকেট ছিল। এ খেলায় জয়লাভের মাধ্যমে পুরো সিরিজে একমাত্র জয় পায় ইংল্যান্ড দল।[৪]

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৪ সালে উইজডেন কর্তৃক পাঁচজন ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। বাদ-বাকী চারজনই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ছিলেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০০১ সালে ওয়েলস ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক হিসেবে মনোনীত হন স্টিভ ওয়াটকিন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Cricinfo.com
  2. England v West Indies, Leeds 1991
  3. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 185আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  4. England v Australia, The Oval 1993

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]