মাধবপুর উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°৬′৪″ উত্তর ৯১°১৭′৪৭″ পূর্ব / ২৪.১০১১১° উত্তর ৯১.২৯৬৩৯° পূর্ব / 24.10111; 91.29639
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাধবপুর
উপজেলা
মানচিত্রে মাধবপুর উপজেলা
মানচিত্রে মাধবপুর উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৬′৪″ উত্তর ৯১°১৭′৪৭″ পূর্ব / ২৪.১০১১১° উত্তর ৯১.২৯৬৩৯° পূর্ব / 24.10111; 91.29639 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাহবিগঞ্জ জেলা
আয়তন
 • মোট২৯৫ বর্গকিমি (১১৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩,১৯,০১৬[১]
সাক্ষরতার হার
 • মোট৪০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৩৩০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৩৬ ৭১
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

মাধবপুর উপজেলা বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। সোনাই নদীর তীরে অবস্থিত মাধবপুর উপজেলাটি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পীঠস্থান; এখানেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কিত প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় এবং এর ফলশ্রুতিতে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেড ফোর্সে বিভক্ত করে সূচিত হয় আনুষ্ঠানিক প্রতিরোধ যুদ্ধের।[২][৩]

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা সদর হতে ৪৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মাধবপুর উপজেলাটির আয়তন ২৯৫ বর্গ কিলোমিটার।[১] এই উপজেলার উত্তরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলালাখাই উপজেলা, দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে চুনারুঘাট উপজেলাভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলানাসিরনগর উপজেলা[৪] মাধবপুর উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪.১০২৮° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.২৯১৭° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে।[৫] সোনাইবোয়ালিয়া - এই উপজেলার প্রধান দুটি নদী।[৬]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮০৪ সালে প্রথম মাধবপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মাধবপুর থানা থেকে ১৯৮৩ সালের ১ আগস্ট তারিখে উপজেলায় উন্নীত হয়।

নামকরণ[সম্পাদনা]

১৮০৪ সালে মাধবপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি। জনশ্রুতি রয়েছে যে, মহাদেব নামে একজন সাধক ছিলেন এবং তাঁর অনেক ভক্তবৃন্দ ছিল। জনগণের ভাষ্যমতে তাঁরই নামে প্রথমে মহাদেবপুর তারপর মহাদেবপুর থেকে মাধবপুর নামকরণ হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে মাধবপুর[সম্পাদনা]

তেলিয়াপাড়ার যুদ্ধ - ৪ এপ্রিল, ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা তেলিয়াপাড়ায় ২য় ইষ্ট বেঙ্গলের সদরদপ্তরে সমবেত হন। চা বাগান পরিবেষ্টিত পাহাড়ী এ অঞ্চলে জেনারেল এম এ জি ওসমানী, লে: কর্ণেল আব্দুর রব, লে: কর্ণেল সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, মেজর কাজী নুরুজ্জামান , মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মইনুল হোসাইন চৌধুরীসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেদিন। সেদিনের সভায় চারজন সিনিয়র অফিসারকে যুদ্ধকালীন কর্মক্ষেত্র ভাগ করে দেয়া হয়; সিলেট-বাহ্মণবাড়ীয়া এলাকায় মেজর শফিউল্লা, কুমিল্লা-নোয়াখালী এলাকায় মেজর খালেদ মোশাররফ, চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় মেজর জিয়াউর রহমান এবং কুষ্টিয়া-যশোর এলাকায় মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই সভাতেই মুক্তিবাহিনী সাংগঠনিক ভাবে পরিপুষ্ট হয়ে উঠে এবং জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্ব গ্রহণ করা হয়।

ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

ভূপ্রকৃতি[সম্পাদনা]

মৃত্তিকা[সম্পাদনা]

নদ-নদী[সম্পাদনা]

মাধবপুর উপজেলাটি সোনাই নদীর তীরে অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে খাসটি নদী, বোয়ালিয়া নদী

সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

উৎসব[সম্পাদনা]

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

মাধবপুর উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মাধবপুর থানার আওতাধীন।[৭]

পৌরসভা:
ইউনিয়নসমূহ:

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

২০২৩ সালের নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬৮৩১৫ জন।[৮] মাধবপুরে বর্তমান ভোট সংখ্যা ২৬৮৩১৫ জন। পুরুষ ও নারী ভোটার এখানে প্রায় সমান সমান।

ধর্ম

এখানে ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মানুষ বসবাস করে। এছাড়াও এখানে রয়েছে চা-জনগোষ্ঠী ও বাউল সম্প্রদায়।

স্বাস্থ্য[সম্পাদনা]

  • উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স - ১টি (৫০ শয্যা বিশিষ্ট);
  • উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র - ১৬টি।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

এখানে শিক্ষার গড় হার ৪০%; পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪২% এবং মহিলাদের মধ্যে ৩৮%। এখানে রয়েছেঃ

  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় - ১৪৬টি,
  • জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় - ২টি,
  • উচ্চ বিদ্যালয় - ২২টি (সহশিক্ষা - ১৮, বালিকা - ৩, বালক - ১),
  • মাদ্রাসা - ৫টি (দাখিল - ৪, আলিম - ১)
  • কলেজ - ৭টি (স্কুল এন্ড কলেজ -৪, সহপাঠ - ৩)।

কৃষি[সম্পাদনা]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

শিল্প-প্রতিষ্ঠান

যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

সড়কপথ
রেলপথ
  • মোট রেলপথ -
  • রেল স্টেশন - ৩টি।
নৌপথ
  • নদী বন্দর - ২টি।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা[সম্পাদনা]

তেলিয়াপাড়া বাংলোয় বৈঠকের ভাস্কর্য

প্রেসক্লাব[সম্পাদনা]

১।মাধবপুর প্রেসক্লাব (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ )

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মাধবপুর"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি ও বেসিস। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "যেখানে রণাঙ্গনকে ভাগ করা হয় ১১ সেক্টরে"দৈনিক মানবজমিন। ৪ এপ্রিল ২০১৫। ২৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৫ 
  3. "তেলিয়াপাড়া দিবস আজ"দৈনিক যায়যায়দিন। ৪ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৫ 
  4. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "মানচিত্রে মাধবপুর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৫ 
  5. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "ভৌগোলিক পরিচিতি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৫ 
  6. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "নদ-নদী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৫ 
  7. "ইউনিয়নসমূহ - মাধবপুর উপজেলা"madhabpur.habiganj.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২০ 
  8. "Area, Households, Population, Density by Residence and Community" (পিডিএফ)। Bangladesh Bureau of Statistics (BBS), Government of the People's Republic of Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-২২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]