রাজ্যসভা
রাজ্যসভা | |
---|---|
ধরন | |
ধরন | |
নেতৃত্ব | |
সভার নেতা | ডা. থাবরচন্দ গেহলোত
(কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও অধিকারীতা মন্ত্রী), ভারতীয় জনতা পার্টি ১১ জুন ২০১৯ থেকে |
গঠন | |
আসন | ২৫০ জন (২৩৮ নির্বাচিত + ১২ জন মনোনীত) |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট, সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট বামফ্রন্ট |
সভাস্থল | |
রাজ্যসভা কক্ষ, সংসদ ভবন, সংসদ মার্গ, নতুন দিল্লি | |
ওয়েবসাইট | |
rajyasabha.nic.in |
রাজ্যসভা হল ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ। এই সভার সর্বোচ্চ সদস্য বা কোরাম সংখ্যা ২৪৫। ভারতের রাষ্ট্রপতি শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজসেবার ক্ষেত্র থেকে ১২ জন সদস্যকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত করেন; এঁরা মনোনীত সদস্য বা কোরাম নামে পরিচিত। অন্যান্য সদস্যরা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধানসভা, বিধান পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার সাংসদদের কার্যকালের মেয়াদ ছয় বছর এবং প্রতি দুই বছর অন্তর সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ অবসর নেন। রাজ্যসভা চিরস্থায়ী ও অধিকতর স্থায়ী কক্ষ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর লোকসভার বিলুপ্তি ও পুনঃনির্বাচন ঘটে। কিন্তু রাজ্যসভা ভেঙে দেওয়া প্রায় অসম্ভব এবং অসাংবিধানিক। সংগ্ৰহসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য সব বিষয়ে রাজ্যসভা লোকসভার সমান মর্যাদা মধ্যমণি হয়। সংগ্ৰহসংক্রান্ত বিষয়ে লোকসভার ক্ষমতা রাজ্যসভার চেয়ে অধিকতর বেশি। কোনো বিষয় নিয়ে দুই কক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে সংসদের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে তা সমাধান করা হয়। তবে লোকসভার আকার রাজ্যসভার প্রায় দশগুণ হওয়ায়, যৌথ অধিবেশনে লোকসভারই শক্তি বেশি থাকে। আজ পর্যন্ত সংসদে মাত্র তিনটি যৌথ অধিবেশন বসেছে। শেষ যৌথ অধিবেশনটি বসেছিল ২০০২ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইন পোটা পাস করানোর জন্য।
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকারবলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তাঁর অনুপস্থিতিতে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান সভার দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান সদস্যদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার প্রথম অধিবেশন বসেছিল ১৩ মে, ১৯৫২।[২]
সদস্যপদ(Membership)
[সম্পাদনা]রাজ্যসভার সদস্যসংখ্যা সর্বাধিক ২৫০ হতে পারে। এঁদের মধ্যে ২৩৮ জন রাজ্য বিধানসভা এবং যেসব কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা রয়েছে সেখানকার বিধানসভার সদস্যদের দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন (শুধুমাত্র জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি ও পুদুচেরির বিধানসভা রয়েছে)। রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে রাজ্যসভার আসন বণ্টিত হয়। অপর বারো জনকে ভারতের রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেন।
রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলানুসারে সদস্যপদ(Membership by State / Union Territory)
[সম্পাদনা]রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | সদস্যপদ |
---|---|
অন্ধ্র প্রদেশ[৩] | ১১ |
অরুণাচল প্রদেশ | ১ |
আসাম | ৭ |
বিহার | ১৬ |
ছত্তিশগড় | ৫ |
গোয়া | ১ |
গুজরাত | ১১ |
হরিয়ানা | ৫ |
হিমাচল প্রদেশ | ১০ |
জম্মু ও কাশ্মীর | ৪ |
ঝাড়খণ্ড | ৬ |
কর্ণাটক | ১২ |
কেরালা | ৯ |
মধ্য প্রদেশ | ১১ |
মহারাষ্ট্র | ১৯ |
মণিপুর | ১ |
মেঘালয় | ১ |
মিজোরাম | ১ |
নাগাল্যান্ড | ১ |
দিল্লি | ৩ |
ওড়িশা | ১০ |
পুদুচেরী | ১ |
পাঞ্জাব | ১ |
রাজস্থান | ১০ |
সিকিম | ১ |
তামিল নাড়ু | ১৮ |
তেলেঙ্গানা[৩] | ৭ |
ত্রিপুরা | ১ |
উত্তর প্রদেশ | ৩১ |
উত্তরাখণ্ড | ৩ |
পশ্চিমবঙ্গ | ১৬ |
রাষ্ট্রপতি মনোনীত প্রার্থী | ১২ |
Total | ২৪৫ |
রাজনৈতিক দলানুসারে সদস্যপদ(Membership according to political party)
[সম্পাদনা]রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজ্যসভার সদস্য (৮ অক্টোবর, ২০২০ নির্বাচনের পর)
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ "Hon'ble Chairman, Rajya Sabha, Parliament of India"। rajyasabha.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১১।
- ↑ "OUR PARLIAMENT"। Indian Parliament। ১৭ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১১।
- ↑ ক খ "Rajya Sabha members allotted to Telangana, Andhra Pradesh"। The Economic Times। ৩০ মে ২০১৪। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "STRENGTHWISE PARTY POSITION IN THE RAJYA SABHA"। Rajya Sabha। ১ সেপ্টেম্বর ২০২০।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- The Nominated Members of India's Council of States: A Study of Role-Definition J. H. Proctor, Legislative Studies Quarterly, Vol. 10, No. 1, Feb., 1985), pp. 53–70.