চের রাজবংশ
চের | |
---|---|
প্রাচীন দক্ষিণ ভারতের মানচিত্রে চের রাজ্যের অবস্থান | |
রাজধানী | আদি চের রাজবংশ
চের/মাকোতাইয়ের পেরুমল (পূর্বতন কুলক্ষেত্র) মুষিক চের রাজবংশ (মুষিক রাজবংশ) বেনাড়ু চের রাজবংশ (কুলশেখর)' |
প্রচলিত ভাষা | |
ধর্ম | শৈবধর্ম |
বর্তমানে যার অংশ | ভারত |
চের রাজবংশ ছিল দক্ষিণ ভারতের অধুনা কেরল রাজ্য এবং তামিলনাড়ুর কিয়দাংশের আদি ইতিহাসের অন্যতম প্রধান রাজবংশ।[১] খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দের প্রথম ভাগের কয়েক শতাব্দীকাল[২][৩] চের, উরাইয়ুরের চোল ও মাদুরাইয়ের পাণ্ড্য রাজবংশ প্রাচীন তামিলকমের তিন প্রধান রাষ্ট্রশক্তি (মুবেন্তর) হিসেবে পরিচিত ছিল।[১]
ভৌগোলিক দিক থেকে চের দেশের অবস্থান ভারত মহাসাগরে সমুদ্র বাণিজ্যের পক্ষে অনুকূল ছিল। বিভিন্ন সূত্র থেকে চেরদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও গ্রিকো-রোমান বণিকদের মশলা (বিশেষত গোলমরিচ) বিনিময়ের কথা জানা যায়।[৪][৫][১] আদি যুগের চেরদের (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী – আনুমানিক খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দী)[১]) কেন্দ্র তামিলনাড়ুর কারুরে এবং কেরলের ভারত মহাসাগরীয় উপকূলের মুচিরি (মুজিরিস) ও তোন্ডি (তিন্ডিস) বন্দরে অবস্থিত ছিল বলে জানা যায়।[১] তাঁরা দক্ষিণে আলেপ্পি থেকে উত্তরে কসরগোডের মধ্যবর্তী মালাবার উপকূল শাসন করত। পালঘাট গিরিবর্ত্ম, কোয়েম্বাটুর, সালেম ও কোল্লি মালাই এই অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। সঙ্গম যুগে (আনুমানিক খ্রিস্টীয় প্রথম-চতুর্থ শতাব্দী) চের রাজবংশ কোয়েম্বাটোর অঞ্চল শাসন করত। এই অঞ্চলটি ছিল মালাবার উপকূল ও তামিলনাড়ুর মধ্যে প্রধান বাণিজ্যপথ পালঘাট গিরিবর্ত্মের প্রবেশদ্বার।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Gurukkal 2015, পৃ. 26-27।
- ↑ Karashima 2014, পৃ. 143-145।
- ↑ Zvelebil 1973, পৃ. 52-53।
- ↑ Thapar 2018।
- ↑ Edward Balfour 1871, পৃ. 584।
- ↑ Subramanian, T. S (২৮ জানুয়ারি ২০০৭)। "Roman connection in Tamil Nadu"। The Hindu। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১১।
বই
[সম্পাদনা]- Thapar, Romila (২০০৪) [2002]। Early India: From the Origins to AD 1300। Berkeley: University of California Press। আইএসবিএন 9780520242258।
- Menon, A. Sreedhara (২০০৭)। A Survey of Kerala History (2007 সংস্করণ)। Kerala, India: D C Books। আইএসবিএন 978-8126415786।
- Menon, A. Sreedhara (১৯৬৭)। A Survey of Kerala History (ইংরেজি ভাষায়)। Sahitya Pravarthaka Co-operative Society। ওসিএলসি 555508146।
- Kulke, Hermann; Rothermund, Dietmar (২০০৪)। A History of India (Fourth সংস্করণ)। Routledge। আইএসবিএন 9780415329200।
- Karashima, Noboru (২০১৪)। A Concise History of South India: Issues and Interpretations (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 9780198099772।
- Zvelebil, Kamil (১৯৭৫)। Tamil Literature। BRILL। আইএসবিএন 978-90-04-04190-5।
- Zvelebil, Kamil (১৯৭৩)। The Smile of Murugan: On Tamil Literature of South India। Brill Academic Publishers। আইএসবিএন 978-90-04-03591-1।
- Zvelebil, Kamil (১৯৯২)। Companion Studies to the History of Tamil Literature। E. J. Brill। আইএসবিএন 9004093656।
- Robert Caldwell (১৯৯৮) [1913]। A Comparative Grammar of the Dravidian or South-Indian Family of Languages (3rd সংস্করণ)। Asian Educational Services। আইএসবিএন 978-81-206-0117-8।
- Narayanan, M.G.S. (২০১৩) [1972]। Perumals of Kerala: Brahmin Oligarchy and Ritual Monarchy। Thrissur: CosmoBooks। আইএসবিএন 9788188765072।
- Shulman, David (২০১৬)। Tamil: A Biography। Cambridge: The Belknap Press of Harvard University Press। আইএসবিএন 978-0-674-97465-4।
- Aiyar, K.G. Sesha (১৯৩৭)। Chera Kings of the Sangam Period। London: Luzac and Co.।
- Majumdar, S. B. (২০১৬)। "Money Matters: Indigenous and Foreign Coins in the Malabar Coast"। K. S. Mathew। Imperial Rome, Indian Ocean Regions and Muziris: New Perspectives on Maritime Trade। Cambridge: Routledge।
- Sastri, K. A. Nilakanta (১৯৫৫)। A History of South India। Oxford University Press।
- Kanakasabhai, V. (১৯৯৭) [1904]। The Tamils Eighteen Hundred Years Ago। Asian Educational Services। আইএসবিএন 978-81-206-0150-5।
- Keay, John (২০০১) [2000]। India: A History। Grove Press। আইএসবিএন 0-8021-3797-0।
- McLaughlin, Raoul (২০১০)। Rome and the Distant East: Trade Routes to the Ancient Lands of Arabia, India and China। London: Continuum। আইএসবিএন 9781441162236।
- Orpa Slapak, সম্পাদক (২০০৩)। The Jews of India: A Story of Three Communities। The Israel Museum, Jerusalem। আইএসবিএন 965-278-179-7।
- Pillai, Vaiyapuri (১৯৫৬)। History of Tamil Language and Literature: Beginning to 1000 AD। Madras: New Century Book House।
- Ramachandran, M. (১৯৯১)। The Spring of the Indus Civilisation। Prasanna Pathippagam।
বিশ্বকোষ নিবন্ধ
[সম্পাদনা]- Thapar, Romila (২০১৮)। "India (History) - Southern Indian Kingdoms"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)।
- Pletcher, Kenneth (২০১৮)। "Cera Dynasty"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)।
- Tikkanen, Amy (২০১৮)। "Silappathikaram"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)।
- Dalziel, N. R. (২০১৬)। "Pandyan Empire"। J. M. MacKenzie। The Wiley Blackwell Encyclopedia of Empire (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 1–3। আইএসবিএন 9781118455074। ডিওআই:10.1002/9781118455074.wbeoe416।
- Edward Balfour, সম্পাদক (১৮৭১)। "Muziris"। Cyclopaedia of India and of Eastern and Southern Asia (ইংরেজি ভাষায়)। II (Second সংস্করণ)।
- P. Gregorios and R. G. Roberson, সম্পাদক (২০০৮)। "Muziris"। The Encyclopedia of Christianity (ইংরেজি ভাষায়)। 5। আইএসবিএন 9780802824172।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ
[সম্পাদনা]- Fawcett, F. (১৯০১)। "Notes on the Rock Carvings in the Edakal Caves, Wynaad"। The Indian Antiquary (ইংরেজি ভাষায়)। XXX: 409–421।
- Gurukkal, Rajan (২০১৫)। "Classical Indo-Roman Trade: A Misnomer in Political Economy"। Economic and Political Weekly (ইংরেজি ভাষায়)। 48 (26–27)।
- Fischel, Walter J. (১৯৬৭)। "The Exploration of the Jewish Antiquities of Cochin on the Malabar Coast"। Journal of the American Oriental Society। 87 (3): 230–248। জেস্টোর 597717। ডিওআই:10.2307/597717।
- Ganesh, K. N. (২০০৯)। "Historical Geography of Natu in South India with Special Reference to Kerala"। Indian Historical Review (ইংরেজি ভাষায়)। 36 (1): 3–21। এসটুসিআইডি 145359607। ডিওআই:10.1177/037698360903600102।
- Subbarayalu, Y. (২০১৫)। "Trade Guilds of South India up to the Tenth Century"। Studies in People's History (ইংরেজি ভাষায়)। 02 (1): 21–26। এসটুসিআইডি 133144002। ডিওআই:10.1177/2348448915574403।
- Veluthat, Kesavan (২০১৮)। "History and Historiography in Constituting a Region: The Case of Kerala"। Studies in People's History (ইংরেজি ভাষায়)। 5 (1): 13–31। আইএসএসএন 2348-4489। এসটুসিআইডি 166060066। ডিওআই:10.1177/2348448918759852।
- Gurukkal, Rajan (২০০২)। "Did State Exist in the Pre-Pallavan Tamil Region?"। Proceedings of the Indian History Congress (ইংরেজি ভাষায়)। 63: 198–150। জেস্টোর 44158082।
সাময়িকপত্রের নিবন্ধ
[সম্পাদনা]- Champakalakshmi, R. (২০০৩)। "A Magnum Opus on Tamil-Brahmi Inscriptions"। Frontline। The Hindu।
- "Digging up the Past"। Frontline। The Hindu। ২০১২।
সংবাদপত্র প্রতিবেদন
[সম্পাদনা]- Subramanian, T. S. (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Edakal Cave Yields One More Tamil-Brahmi Inscription"। The Hindu। আইএসএসএন 0971-751X।
- Subramanian, T. S. (২৮ জানুয়ারি ২০০৭)। "Roman Connection in Tamil Nadu"। The Hindu।
- Sudhi, K. S. (৩০ এপ্রিল ২০০৪)। "Copper Coins of Adi Chera Period Excavated"। The Hindu।
- Bhanj, J. D. (৩ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Artefacts from the Lost Port of Muziris"। The Hindu।
- Nair, C. G. (৩ মে ২০০৯)। "Pattanam Richest Indo-Roman Site on Indian Ocean Rim"। The Hindu।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Tamil Coins: A Study (1981) R. Nagaswamy, Tamil Nadu State Department of Archaeology
কালরেখা ও সাংস্কৃতিক যুগ |
উত্তর-পশ্চিম ভারত | সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি | মধ্যভারত | দক্ষিণ ভারত | ||
পশ্চিম গাঙ্গেয় সমভূমি | উত্তর ভারত (মধ্য গাঙ্গেয় সমভূমি) |
উত্তরপূর্ব ভারত | ||||
লৌহযুগ | ||||||
সংস্কৃতি | পরবর্তী বৈদিক যুগ | পরবর্তী বৈদিক যুগ (ব্রাহ্মণ্যবাদী আদর্শ)[ক] |
পরবর্তী বৈদিক যুগ (ক্ষত্রিয়/শ্রামণিক সংস্কৃতি)[খ] |
প্রাগৈতিহাসিক | ||
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দী | গান্ধার | কুরু-পাঞ্চাল | মগধ | আদিবাসী | ||
সংস্কৃতি | পারস্য-গ্রিক প্রভাব | "দ্বিতীয় নগরায়ণ" | প্রাগৈতিহাসিক | |||
খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী | (পারস্য শাসনকাল) | শিশুনাগ রাজবংশ | আদিবাসী | |||
খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দী | (গ্রিক বিজয়) | |||||
ঐতিহাসিক যুগ | ||||||
সংস্কৃতি | বৌদ্ধধর্মের প্রসার | প্রাগৈতিহাসিক | সঙ্গম যুগ (খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দ – ২০০ খ্রিস্টাব্দ) | |||
খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দী | মৌর্য সাম্রাজ্য | আদি চোল প্রাচীন তামিঝাগামের অন্যান্য ৪৬টি ছোটো রাজ্য | ||||
সংস্কৃতি | প্রাকধ্রুপদি হিন্দুধর্ম[গ] - "হিন্দু সমন্বয়"[ঘ] (খ্রিস্টপূর্ব ২০০ অব্দ – ৩০০ খ্রিস্টাব্দ)[ঙ][চ] মহাকাব্য - পুরাণ - রামায়ণ - মহাভারত - ভগবদ্গীতা - ব্রহ্মসূত্র - স্মার্ত সম্প্রদায় মহাযান বৌদ্ধধর্ম |
সঙ্গম যুগ (প্রসারিত) | ||||
খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দী | ইন্দো-গ্রিক রাজ্য | শুঙ্গ সাম্রাজ্য | আদিবাসী | আদি চোল প্রাচীন তামিঝাগামের অন্যান্য ৪৬টি ছোটো রাজ্য | ||
খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দী | যোন | মহা-মেঘবাহন রাজবংশ | ||||
খ্রিস্টীয় ১ম শতাব্দী | কুনিন্দ রাজ্য | |||||
২য় শতাব্দী | পহ্লব | বর্মণ রাজবংশ | ||||
৩য় শতাব্দী | কুষাণ সাম্রাজ্য | পশ্চিম সত্রপ | কামরূপ রাজ্য | কলভ্র রাজবংশ | ||
সংস্কৃতি | "হিন্দুধর্মের সুবর্ণযুগ"(৩২০-৬৫০ খ্রিস্টাব্দ)[ছ] পুরাণ হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্মের সহাবস্থান | |||||
৪র্থ শতাব্দী | গুপ্ত সাম্রাজ্য | কলভ্র রাজবংশ | ||||
৫ম শতাব্দী | মৈত্রক | আদিবাসী | কলভ্র রাজবংশ | |||
৬ষ্ঠ শতাব্দী | কলভ্র রাজবংশ | |||||
সংস্কৃতি | উত্তরকালীন ধ্রুপদি হিন্দুধর্ম (৬৫০-১১০০ খ্রিস্টাব্দ)[জ] অদ্বৈত বেদান্ত - তন্ত্র ভারতে বৌদ্ধধর্মের পতন | |||||
৭ম শতাব্দী | ইন্দো-সাসানিড | বাকাটক রাজবংশ হর্ষের সাম্রাজ্য |
মিয়েচ্ছ রাজবংশ | আদিবাসী | পাণ্ড্য রাজ্য (কলভ্রদের অধীনস্থ) | |
৮ম শতাব্দী | কিদারিত রাজ্য | পাণ্ড্য রাজ্য | ||||
৯ম শতাব্দী | ইন্দো-হেফঠালাইট (হুন) | গুর্জর-প্রতিহার | পাণ্ড্য রাজ্য | |||
১০ম শতাব্দী | পাল রাজবংশ | মধ্যযুগীয় চোল | ||||
ছকের জন্য তথ্যসূত্র এবং উত্স তথ্যসূত্র উত্স
|