খালেদা জিয়া
বেগম খালেদা জিয়া | |
---|---|
বাংলাদেশের ১২তম প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১০ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
রাষ্ট্রপতি | শাহাবুদ্দিন আহমেদ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী জমিরুদ্দিন সরকার (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ |
পূর্বসূরী | লতিফুর রহমান (প্রধান উপদেষ্টা) |
উত্তরসূরী | ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ (প্রধান উপদেষ্টা) |
কাজের মেয়াদ ২০ মার্চ ১৯৯১ – ৩০ মার্চ ১৯৯৬ | |
রাষ্ট্রপতি | শাহাবুদ্দিন আহমেদ (অস্থায়ী) আবদুর রহমান বিশ্বাস |
পূর্বসূরী | কাজী জাফর আহমেদ |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান (প্রধান উপদেষ্টা) |
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ৯ জানুয়ারি ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | শেখ হাসিনা |
উত্তরসূরী | রওশন এরশাদ |
কাজের মেয়াদ ২৩ জুন ১৯৯৬ – ১৫ জুলাই ২০০১ | |
পূর্বসূরী | শেখ হাসিনা |
উত্তরসূরী | শেখ হাসিনা |
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১০ মে ১৯৮৪ - বর্তমান | |
পূর্বসূরী | জিয়াউর রহমান |
জাতীয় সংসদের মেম্বার | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ৯ জানুয়ারী ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | সাঈদ ইস্কান্দার |
উত্তরসূরী | শিরীন আখতার |
নির্বাচনী এলাকা | ফেনী-১ |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | জাফর ইমাম |
নির্বাচনী এলাকা | বগুড়া-৬ |
কাজের মেয়াদ ২০ মার্চ ১৯৯১ – ১৫ জুলাই ২০০১ | |
পূর্বসূরী | জাফর ইমাম |
উত্তরসূরী | সাঈদ ইস্কান্দার |
নির্বাচনী এলাকা | ফেনী-১ |
বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি | |
কাজের মেয়াদ ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ – ৩০ মে ১৯৮১ | |
রাষ্ট্রপতি | জিয়াউর রহমান |
পূর্বসূরী | মিসেস খুরশিদ চৌধুরী |
উত্তরসূরী | রওশন এরশাদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | খালেদা খানম পুতুল ১৫ আগস্ট ১৯৪৫[১] দিনাজপুর, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ) |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (১৯৮১–বর্তমান) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | চার দলীয় জোট (১৯৯৯–২০১২) বিশ দলীয় জোট (২০১২–বর্তমান) |
দাম্পত্য সঙ্গী | জিয়াউর রহমান (বি. ১৯৬০; মৃ. ১৯৮১) |
সন্তান | তারেক রহমান (পুত্র) আরাফাত রহমান কোকো (পুত্র; মৃত) |
মাতা | তৈয়বা মজুমদার |
পিতা | ইস্কান্দার মজুমদার |
আত্মীয়স্বজন | মজুমদার–জিয়া পরিবার দেখুন |
ধর্ম | ইসলাম |
স্বাক্ষর |
বেগম খালেদা জিয়া[ক] (জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯৪৫)[১][খ] একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি ১৯৯১-১৯৯৬ সাল এবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী রূপে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মাঝে দ্বিতীয় মহিলা সরকারপ্রধান (বেনজির ভুট্টোর পর)।[৪][৫] তার স্বামী জিয়াউর রহমানের শাসনকালে তিনি ফার্স্ট লেডি ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)’র চেয়ারপার্সন ও দলনেত্রী, যা তার স্বামী জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮২ সালে সেনাবাহিনী প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে পরিচালিত সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ১৯৯০ সালে সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবে এরশাদের পতনের পূর্ব পর্যন্ত খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে সহায়তা করেন। ১৯৯১ এর নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৬-এর স্বল্পস্থায়ী সরকারেও তিনি দায়িত্বপালন করেন,যখন কিনা অন্য দলগুলো উক্ত নির্বাচনকে বর্জন করেছিল। ১৯৯৬ সালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। খালেদা জিয়ার দল পুনরায় ক্ষমতায় আসে ২০০১ সালে। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি নিজস্ব ৫টি সংসদীয় আসনের সবগুলোতেই জয়ী হন। ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাবান নারী নেতৃত্বের তালিকায় ২০০৪ সালে জিয়ার অবস্থান ১৪তম,[৬] ২০০৫ সালে ২৯তম,[৭] ও ২০০৬ সালে ৩৩তম।[৮]
২০০৬ সালে তার সরকারের নির্ধারিত শাসনকাল শেষ হওয়ার পর, ২০০৭ সালে নির্ধারিত নির্বাচন রাজনৈতিক সহিংসতা ও অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে বিলম্বিত হয়, ফলশ্রুতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক সামরিক পদ্ধতিতে রক্তপাতবিহীন ক্ষমতা অধিগ্রহণ করা হয়। উক্ত সরকারের সময়কালে, খালেদা জিয়া তার দুই সন্তানসহ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন।[৯][১০][১১] যদিও পরবর্তীতে এসব মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি ও খালাস পান।[১২][১৩]
গত দুই দশকের অধিকাংশ সময়ে, খালেদা জিয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তারা অনুক্রমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছিলেন।[১৪]
প্রারম্ভিক জীবন
বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম নাম খালেদা খানম পুতুল।[১৫] আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে দিনাজপুরে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন।[১] তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ভাইয়েরা সবার ছোট। তার পিতামহ হাজী সালামত আলী, মাতামহ জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান।[১৬] বাবা জনাব ইস্কান্দর মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার।[১৭] দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়া। আদি পৈতৃকনিবাস ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ী। বাবা জনাব ইস্কান্দর মজুমদার ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ইস্কান্দার মজুমদার ১৯১৯ সালে ফেনী থেকে জলপাইগুড়ি যান। বোনের বাসায় থেকে মেট্রিক পাস করেন ও পরে চা ব্যবসায়ে জড়িত হন। ১৯৩৭ সালে জলপাইগুড়িতে বিয়ে করেন। জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি এলাকায় ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বসবাস করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। মা বেগম তৈয়বা মজুমদার ছিলেন একান্তভাবে একজন গৃহিণী । তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেই থাকতেন।[১] [১৮] খালেদা পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে ভর্তি হন এরপর তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন [১] একই বছর তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন।[১৯] এরপর থেকে তিনি খালেদা জিয়া বা বেগম খালেদা জিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন।[২০] তিনি স্বামীর সাথে পশ্চিম পাকিস্তান এ বসবাসের পূর্বে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজ এ পড়াশোনা করেন।
তার স্বামী বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে জিয়াউর রহমানের সাথে তার বিয়ে হয়। জিয়া তখন ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডি এফ আই এর কর্মকর্তা রূপে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। তার এক ভাই মেজর(অবঃ) সাঈদ এস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।[২১] আরাফাত রহমান একজন ব্যবসায়ী ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।
১৯৬৫ সালে খালেদা জিয়া স্বামীর সাথে পশ্চিম পাকিস্তানে (বর্তমানে পাকিস্তান)যান। ১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত করাচিতে স্বামীর সাথে ছিলেন। এরপর ঢাকায় চলে আসেন। কিছুদিন জয়দেবপুর থাকার পর চট্টগ্রামে স্বামীর কর্মক্ষেত্র স্থানান্তরিত হলে তার সঙ্গে সেখানে এবং চট্টগ্রামের ষোলশহর অঞ্চলে বসবাস করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভকালে খালেদা জিয়া কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর ১৬ মে নৌপথে ঢাকায় চলে আসেন। বড় বোন খুরশিদ জাহানের বাসায় ১৭ জুন পর্যন্ত থাকেন। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জামশেদের অধীনে বন্দী ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি মুক্তি পান। রাজনীতিতে আসার আগ পর্যন্ত বেগম জিয়া একজন সাধারণ গৃহবধূ ছিলেন। মূলত দুই পুত্রকে লালন পালন ও ঘরের কাজ করেই সময় কাটাতেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনও রাজনীতিতে বেগম জিয়ার উপস্থিতি ছিল না।
প্রাথমিক রাজনৈতিক জীবন
১৯৮১ সালের ৩০ মে এক সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের আহ্বানে তিনি ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। বেগম জিয়া এর বিরোধিতা করেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন।[২২] ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় তিনি প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই মূলত বিএনপির পূর্ণ বিকাশ হয়।
এরশাদবিরোধী আন্দোলন
১৯৮৩ সালের বেগম জিয়ার নেতৃত্বে সাত দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। একই সময় এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরম্ভ হয়। বেগম জিয়া প্রথমে বিএনপিকে নিয়ে ১৯৮৩ এর সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেন। একই সময় তার নেতৃত্বে সাত দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন পনেরো দলের সাথে যৌথভাবে আন্দোলনের কর্মসূচির সূত্রপাত করে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফা আন্দোলন চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বাধার সৃষ্টি হয়। ১৫ দল ভেঙে ৮ দল ও ৫ দল হয়। ৮ দল নির্বাচনে যায়। এরপর বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দল, পাঁচ দলীয় ঐক্যজোট আন্দোলন চালায় এবং নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া "এরশাদ হটাও" শীর্ষক এক দফার আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। এর ফলে এরশাদ সংসদ ভেঙে দেন। তারপর পুনরায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের উপক্রম হয়। অবশেষে দীর্ঘ আট বছর অবিরাম, নিরলস ও আপোসহীন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিএনপি এবং খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া মোট পাঁচটি আসনে অংশ নিয়ে পাঁচটিতেই জয়লাভ করেন।
আটক
১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য রূপে দলে যোগ দেবার পর থেকে মোট পাঁচ বার তিনি আটক হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর আটক হন।[২৩]
প্রধানমন্ত্রিত্ব
প্রধানমন্ত্রিত্বের ১ম মেয়াদকাল
১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তার সরকার দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠিত করে। ২ এপ্রিল তিনি সংসদে সরকারের পক্ষে এই বিল উত্থাপন করেন। একই দিন তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ কে স্বপদে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করে একাদশ সংশোধনী বিল আনেন। ৬ আগস্ট ১৯৯১ সালের সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে দুটি বিল পাশ হয়।
প্রধানমন্ত্রিত্বের ২য় মেয়াদকাল
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। যা পরবর্তীতে ৯৬ এর একদলীয় নির্বাচন হিসেবে গণ্য হয়। সকল বিরোধীদলের আপত্তির পর ও খালেদা জিয়া ও তার দল এই একক নির্বাচন করেন। আওয়ামী লীগ সহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বয়কট করে। এই সংসদ মাত্র ১৫ দিন স্থায়ী হয়। খালেদা জিয়া এই সংসদের ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রবল গণ আন্দোলন ও বর্হিবিশ্বের চাপে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস হয় এবং খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রিত্বের ৩য় মেয়াদকাল
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট ও জাতীয় পার্টির সাথে চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। খালেদা জিয়া এই সংসদেও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই সংসদের মেয়াদ শেষ হয়।
প্রধানমন্ত্রীত্ব-পরবর্তী
বিরোধীদলীয় নেতৃত্বের ১ম মেয়াদকাল
১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মোট ১১৬ আসনে জয় লাভ করে, যা সরকার গঠনে যথেষ্ট ছিল না। আওয়ামী লীগ মোট ১৪৭ আসন লাভ করে, তারা জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। বিএনপি সপ্তম সংসদে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের পাঁচ বছর শাসনকালে সংসদে বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন।
তিনি ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর ৩ তারিখে দুর্নীতির অভিযোগে পুত্রসহ আটক হন।[২৪] ২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বার তিনি সর্বোচ্চ বিচারালয়ের নির্দেশে মুক্তিলাভ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক বন্দী হবার পর দীর্ঘ এক বছর সাত দিন কারাগারে অবস্থানকালে তার বিরুদ্ধে চলতে থাকা কোন অভিযোগেরই উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি এবং চলতে থাকা তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।
বিরোধীদলীয় নেতৃত্বের ২য় মেয়াদকাল
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করে যেখানে জিয়ার দল আওয়ামী লীগ এবং তার মহাজোটের কাছে হেরে যায় যা সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়েছিল। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন, এবং তার দল ২০০৯ সালের প্রথম দিকে সরকার গঠন করে। জিয়া সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হন।[২৫]
জিয়ার দল একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরিচালিত না হওয়া পর্যন্ত ২০১৪ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার একটি অবস্থান নিয়েছিল, কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[২৬]
মামলা
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে তার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়।[২৭] এরপরই তাকে বন্দী করে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।[২৮] ২০২৪ সালে এই মাম্লাতেও তিনি খালাস পান।[২৯]
সেনানিবাসের বাসা ত্যাগ
১৩ নভেম্বর ২০১০ বেগম জিয়া তার ২৮ বছরের আবাসস্থল ছেড়ে যান। তিনি অভিযোগ করেন যে তাকে বলপ্রয়োগে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তবে সরকারি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ত্যাগ করেছেন।[৩০] স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে জিয়াউর রহমানের সাথে শহীদ মইনুল সড়কের ৬ নম্বর বাড়িতে ওঠেন খালেদা জিয়া। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়া চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হলে ১২ জুন তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার সেনানিবাসের ওই বাড়িটি খালেদার নামে বরাদ্দ দেন।[৩০]
বিদেশ সফর
২০১২ সালে বেগম খালেদা জিয়া একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফর করেন। আগস্টে তিনি রাজ পরিবারের আমন্ত্রণে সৌদি আরবে যান এবং পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।[৩১] এই সফরে তিনি সৌদি রাজপুত্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের সাথে সাক্ষাত করেন। তাদের বৈঠকে দ্বিদেশীয় সম্পর্ক ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের সংকট উত্তরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।[৩১]
অক্টোবরে খালেদা জিয়া চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সফর করেন। সফরকালে তিনি চীনের রাষ্ট্রীয় ও দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করেন। চীনের উপ-রাষ্ট্রপতি ও ভবিষ্যত একচ্ছত্র নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা করেন।[৩২][৩৩] বৃহত্তর অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক বিষয়াবলিও তাদের আলোচনায় উঠে আসে। শি জিনপিং ছাড়াও খালেদা জিয়া কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান ওয়াং চিয়ারুইয়ের সাথে দেখা করেন। উল্লেখ্য এ বছরের মাঝামাঝিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সম্ভাব্য মূল অর্থদাতা বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলে বিশ্ব ব্যাংককে অনুসরণ করে একাধিক দাতা সংস্থা ঋণদান থেকে সরে দাঁড়ায় ও প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।[৩২][৩৪]
বেগম জিয়ার চীন সফর সম্পন্ন হওয়ার একদিন পর তার রাজনৈতিক দল বিএনপি ঘোষণা দেয় যে চীনা নেতৃবৃন্দ দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে চীন সরকারের বিনিয়োগের বিষয়ে খালেদা জিয়াকে নিশ্চিত করেছেন।[৩৫][৩৬]
একই মাসে খালেদা জিয়া ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ভারত সফরে যান। সফরের শুরুতে তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় বিরোধী দলীয় প্রধান ও বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে বৈঠক করেন।[৩৭] সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী সালমান খুরশিদ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেনন ও পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন । খালেদা জিয়ার ভারত সফরের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল দ্বিদেশীয় সম্পর্ক, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা, তিস্তা পানি চুক্তি এবং বৃহত্তর অঞ্চলের ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তা।[৩৮]
অসুস্থতা
জিয়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অবস্থা, পচনশীল যকৃতের রোগ, অস্থির হিমোগ্লোবিন, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য বয়সজনিত জটিলতায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনা-ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তার বাসা ফিরোজার আরো ৮ জনের করোনা-ভাইরাস শনাক্ত করা হয়।[৩৯] ২০২২ সালে তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে স্থানান্তর করা হয়।[৪০] তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সিধান্ত নেন।[৪১]
মুক্তি
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের তিনি মুক্তি পান।[৪২] ৫ আগস্টের মুক্তির কিছুদিন পর ১৯ আগস্ট ২০২৪ সালে, জিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যা ২০০৭ সাল থেকে জব্দ করা হয়েছিল, তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দ্বারা অবরোধ মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।[৪৩]
পদক ও সম্মাননা
২০১১ সালের ২৪ শে মে নিউ জার্সি স্টেট সিনেটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ’ফাইটার ফর ডেমোক্রেসি’ পদক প্রদান করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট সিনেট কর্তৃক কোন বিদেশিকে এ ধরনের সম্মান প্রদানের ঘটনা এটাই ছিল প্রথম।[৪৪][৪৫]
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দেয় কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) নামের একটি সংগঠন। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি উক্ত দাবি করার পাশাপাশি কানাডার এই প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে।[৪৬]
নির্বাচনী ইতিহাস
বছর | নির্বাচনী এলাকা | দল | ভোট | % | ফলাফল | |
---|---|---|---|---|---|---|
১৯৯১ | বগুড়া-৭ | বিএনপি | ৮৩,৮৫৪ | ৬৬.৯ | বিজয়ী | |
ঢাকা-৭ | ৭১,২৬৬ | ৫১.৫ | বিজয়ী | |||
ঢাকা-৯ | ৫৫,৯৪৬ | ৬০.৪ | বিজয়ী | |||
ফেনী-১ | ৩৬,৩৭৫ | ৩৮.৭ | বিজয়ী | |||
চট্টগ্রাম-৮ | ৬৯,৪২২ | ৫২.১ | বিজয়ী | |||
জুন ১৯৯৬ | বগুড়া-৬ | ১,৩৬,৬৬৯ | ৫৮.৯ | বিজয়ী | ||
বগুড়া-৭ | ১,০৭,৪১৬ | ৭২.১ | বিজয়ী | |||
ফেনী-১ | ৬৫,০৮৬ | ৫৫.৬ | বিজয়ী | |||
লক্ষ্মীপুর-২ | ৫৯,০৫৪ | ৫১.৬ | বিজয়ী | |||
চট্টগ্রাম-১ | ৬৬,৩৩৬ | ৪৮.২ | বিজয়ী | |||
২০০১ | ||||||
বগুড়া-৬ | ২,২৭,৩৫৫ | ৭৮.৯ | বিজয়ী | |||
বগুড়া-৭ | ১,৪৭,৫২২ | ৭৯.০ | বিজয়ী | |||
খুলনা-২ | ৯১,৮১৯ | ৫৭.৮ | বিজয়ী | |||
লক্ষ্মীপুর-২ | ১,২৩,৫২৬ | ৭২.২ | বিজয়ী | |||
ফেনী-১ | ১,০৩,১৪৯ | ৭২.২ | বিজয়ী | |||
২০০৮ | ||||||
বগুড়া-৬ | ১,৯৩,৭৯২ | ৭১.৬ | বিজয়ী | |||
বগুড়া-৭ | ২,৩২,৭১৬ | ৭১.২ | বিজয়ী | |||
ফেনী-১ | ১,১৪,৪১২ | ৬৫.৪ | বিজয়ী | |||
সূত্র:[৪৭][৪৮][৪৯] |
সমালোচনা
আওয়ামী লীগ শাসনামলে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা ও নাইকো দুর্নীতি সহ বিভিন্ন মামলায় তার নামে আসে।[৫০][৫১] ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের কারাবাসের দণ্ডপ্রাপ্ত হন। এতে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটি এতিমখানা ট্রাস্ট গঠনের সময় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন।[৫২] ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর সকল মামলা থেকে তিনি মুক্তি পান।[৫৩] রাষ্ট্রপতির আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।[৫৪] রাষ্ট্রপতি পাঁচই অগাস্টের পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুইটি দুর্নীতি মামলার সাজা মওকুফ করলেও আদালতের মাধ্যমে এসব মামলা নিষ্পত্তি চান খালেদা জিয়া।[৫৫] অতঃপর ২৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে তিনি এসব দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পান।[১২][১৩][৫৬]
জন্মতারিখের অসামঞ্জস্য
জিয়া ১৫ ই আগস্টকে তাঁর জন্মদিন হিসাবে দাবি করেছেন, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিতর্কের বিষয়।[৫৭][৫৮] ১৫ই আগস্ট হল সেদিন যেদিন জিয়ার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। যার ফলে, ১৫ ই আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।[৫৭][৫৯][৬০] জিয়া সরকারের কোন শনাক্তকরণ নথিতেই তার জন্মদিন ১৫ই আগস্ট হিসেবে পাওয়া যায় না।[৫৯][৬১] তার ম্যাট্রিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটে ১৯৪৫ সালের ৯ই আগস্টের জন্মের তারিখ তালিকাভুক্ত করা হয়। তার বিবাহের শংসাপত্রে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ কে জন্মতারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। খালেদা জিয়ার পাসপোর্টে ৫ আগস্ট ১৯৪৬ কে তার জন্ম তারিখ হিসেবে নির্দেশ করে।[৬১][৬২] খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক মিত্র কাদের সিদ্দিকী ১৫ই আগস্টে তাকে জন্মদিন উদ্যাপন না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।[৫৮] সর্বশেষ বেগম খালেদা জিয়া করোনা টেস্টের জন্য তার জন্মদিন ৮ মে ১৯৪৬ উল্লেখ করেছিলেন।[৬৩][৬৪] এই বিষয়ে হাইকোর্ট জিয়ার বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দায়ের করেছিল। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে এটি থেকেও তিনি অব্যাহতি পান।[৬৫][৬৬]
আরও দেখুন
টীকা
- ↑ জন্মগত নাম: খালেদা খানম পুতুল
- ↑ খালেদা জিয়ার এসএসসি সার্টিফিকেট, বিবাহ সনদ, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথের নিথি ও পাসপোর্ট সহ বিভিন্ন নথিতে বিভিন্ন জন্মদিন পাওয়া যায়।[২][৩]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ হেলাল উদ্দিন আহমেদ (২০১২)। "জিয়া, বেগম খালেদা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "খালেদার জন্মদিন কবে, রায় আজ"। সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৫।
- ↑ "'খালেদা জিয়ার আসল জন্মদিন কোনটা?'"। জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৫।
- ↑ "Chronological List of Woman Premier Ministers"। ৪ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১০।
- ↑ "বিশ্বের অদম্য ১০ মুসলিম নারী"। চাঁদপুর নিউজ। জুন ২৭, ২০১৫। ১৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "#14: Begum Khaleda Zia, Prime Minister of Bangladesh"। Forbes 100 Most Powerful Women in the World। ২০০৪। ১৪ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "#29 Khaleda Zia, Prime minister, Bangladesh"। The 100 Most Powerful Women। Forbes.com। ২০০৫। ২৮ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "#33 Khaleda Zia, Prime Minister, Bangladesh"। The 100 Most Powerful Women। ৩১ আগস্ট ২০০৬। ১০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Bangladesh ex-PM son detained"। আল জাজিরা। ১৬ এপ্রিল ২০০৭। ১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Ex-PM sued on corruption charges in Bangladesh"। International Herald Tribune। Associated Press। ২ সেপ্টেম্বর ২০০৭। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Anis Ahmed (৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Bangladesh ex-PM Khaleda Zia arrested on graft charge"। রয়টার্স। ১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ "চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৭ নভেম্বর ২০২৪। ২৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "বড়পুকুরিয়া মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজন খালাস"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৭ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ Skard, Torild (২০১৪)। "Khaleda Zia"। Women of Power – Half a century of female presidents and prime ministers worldwide। Bristol: Policy Press। আইএসবিএন 978-1-44731-578-0।
- ↑ "'বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ, হার স্টোরি'র মোড়ক উন্মোচন"। banglanews24.com। ১৯ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ Nikhat Ekbal (২০০৯), Great Muslims of undivided India, Kalpaz Publication, Delhi, ১৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৬
- ↑ "Bogra: Khaleda Zia"। bogra.org (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Bogra: Khaleda Zia"। bogra.org। ১৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Bogra: Khaleda Zia"। bogra.org। ১৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "খালেদা জিয়া: গৃহবধু থেকে যেভাবে রাজনীতিতে উত্থান হয়েছিল"। বিবিসি বাংলা। ১০ মে ২০২২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Super User। "Bangladesh National Party – BNP – Begum Khaleda Zia"। bnpbangladesh.com। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ দৈনিক নয়াদিগন্ত, ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ (বিশেষ টেলিগ্রাম)
- ↑ "Bangladesh ex-PM Khaleda arrested on graft charge"। ২৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
- ↑ "সংসদে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া"। BBC News বাংলা। ২০ মার্চ ২০১২।
- ↑ Ahmed, Farid। "Bangladesh ruling party wins elections marred by boycott, violence"। CNN। ২৭ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "খালেদা জিয়ার কারাদন্ড"। ২ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর"। banglanews24.com। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া"। VOA বাংলা। ২৭ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ "সেনানিবাস আর খালেদার আবাস নয় - রাজনীতি"। বিডিনিউজ২৪.কম। ১৩ নভেম্বর ২০১০। ১৫ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১০।
- ↑ ক খ Khaleda going to Saudi Arabia, BDnews24, ৭ আগস্ট ২০১২, ২২ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯
- ↑ ক খ CPC, Bangladesh Nationalist Party to further cooperation, Xinhua, ২০১২-১০-১৮, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯
- ↑ Khaleda seeks China's help, The Daily Star, ২১ অক্টোবর ২০১২, ১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯
- ↑ Stalled Padma Bridge Project, Daily Sun, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২, ১৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯
- ↑ Chinese help for 2nd Padma bridge assured: BNP, The New Nation, ২৩ অক্টোবর ২০১২, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ China ready to help build 2nd Padma bridge: BNP, News Today, ২৩ অক্টোবর ২০১২, ২০১২-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯
- ↑ ভারতে বিরোধী নেত্রীর সাথে খালেদা জিয়ার বৈঠক, বিবিসি বাংলা, ২৮ অক্টোবর ২০১২, ৩০ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯
- ↑ Khaleda Zia arrives in the capital, meets Sushma, ডেকান হেরাল্ড, ২৮ অক্টোবর ২০১২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯
- ↑ "খালেদা জিয়ার বাসায় আরো ৮ জন করোনা আক্রান্ত"। ১১ এপ্রিল ২০২১। ১২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Khaleda Zia shifted to cabin from CCU"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১০ জানুয়ারি ২০২২। ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা : যাওয়া না যাওয়ায় রাজনীতি কোথায়?"। বিবিসি বাংলা। ২২ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "খালেদা জিয়া মুক্ত"। দ্য ডেইলি স্টার। ৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক হিসাব দীর্ঘ ১৭ বছর পর সচল"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "New Jersey Senate honours Khaleda"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৫ মে ২০১১। ৬ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "BNP goes gaga over US honour"। ২৭ মে ২০১১। পৃষ্ঠা 1। ২৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২২-০২-০৮)। "খালেদা জিয়াকে 'মাদার অব ডেমোক্রেসি' সম্মাননা দিল কানাডার সিএইচআরআইও"। দ্য ডেইলি স্টার Bangla। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২।
- ↑ "Statistical Report: 7th Jatiya Shangshad Election" (পিডিএফ)। Bangladesh Election Commission। পৃষ্ঠা 305, 311। ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৮।
- ↑ "Nomination submission List"। Bangladesh Election Commission। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Parliament Election Result of 1991, 1996, 2001 Bangladesh Election Information and Statistics"। Vote Monitor Networks। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "খালেদা জিয়ার মামলায় কোন ধারায় কী সাজা?"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৯ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "নাইকো দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছালো"। বাংলা ট্রিবিউন। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১। ২৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Clashes as Bangladesh ex-PM jailed"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-০৮। ২০১৮-০৩-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৪।
- ↑ "সাড়ে ছয় বছর পর মুক্ত খালেদা জিয়া"। দৈনিক যুগান্তর। ৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্ত"। দৈনিক প্রথম আলো। ৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "খালেদা জিয়া: বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে যেসব মামলা বিচারাধীন রয়েছে"। বিবিসি বাংলা। ১১ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "পাঁচ মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ "15 August isn't Khaleda's birthday: Joy"। নতুন বার্তা। ১৫ আগস্ট ২০১৩। ২০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ ক খ "Stop celebrating August 15 birthday"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৪ জুলাই ২০১১। ২৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ ক খ "Ex-Bangladesh PM stretches limits of political rivalry with PM Sheikh Hasina by celebrating birthday on August 15"। Yahoo News-1। ১৬ আগস্ট ২০১৩। ৭ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Same old trend"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৭ আগস্ট ২০১৩। ১৮ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ ক খ "Huge cakes are cut on Khaleda Zia's 'birthday'"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৫ আগস্ট ২০১৩। ১৭ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Khaleda Zia to get passport without finger print, signature soon"। The Daily Observer। ৬ মে ২০২১।
- ↑ "HC hears petition on Khaleda's birthday tomorrow"। The Daily Sun। ১৩ জুন ২০১৩। ১৭ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Notice to ex-Bangladeshi PM for celebrating b'dday on August 15"। Zee News। ১৫ আগস্ট ২০১৩। ১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "৫ মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "মানহানির পাঁচ মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া"। দৈনিক প্রথম আলো। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
পূর্বসূরী: বিচারপতি লতিফুর রহমান |
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (প্রথম বার) মার্চ ২০, ১৯৯১ - ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ (দ্বিতীয় বার) মার্চ, ১৯৯৬ - এপ্রিল ৩, ১৯৯৬ (তৃতীয় বার) অক্টোবর ১০, ২০০১ - অক্টোবর ২৯, ২০০৬ |
উত্তরসূরী: ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ |
- জিয়াউর রহমান
- বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
- নারী প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ
- জীবিত ব্যক্তি
- ফেনী জেলার রাজনীতিবিদ
- রাজনীতিতে বাংলাদেশী নারী
- দিনাজপুর জেলার রাজনীতিবিদ
- বাঙালি মুসলিম
- বাংলাদেশী মুসলিম
- বাঙালি রাজনীতিবিদ
- বিরোধীদলীয় নেতা (বাংলাদেশ)
- বিরোধীদলীয় নেত্রী
- ১৯৪৫-এ জন্ম
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতা
- বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি
- ২০শ শতাব্দীর বাংলাদেশী নারী রাজনীতিবিদ
- ২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশী নারী রাজনীতিবিদ
- খালেদা জিয়া
- মজুমদার–জিয়া পরিবার
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন
- বগুড়া জেলার ব্যক্তি
- দিনাজপুর জেলার ব্যক্তি
- জাতীয় সংসদের মহিলা সদস্য
- পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য
- ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ সদস্য
- সপ্তম জাতীয় সংসদ সদস্য
- অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্য
- নবম জাতীয় সংসদ সদস্য
- মহিলা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
- ২০শ শতাব্দীর নারী প্রধানমন্ত্রী
- হত্যাকাণ্ডের প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি