ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান | |||
---|---|---|---|
তারিখ | প্রথম ধাপ: ৬ জুন – ৩ আগস্ট ২০২৪ দ্বিতীয় ধাপ: ৪–৫ আগস্ট ২০২৪ | ||
অবস্থান | |||
কারণ |
| ||
লক্ষ্য | প্রাথমিকভাবে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার, কিন্তু চূড়ান্তভাবে শেখ হাসিনার পঞ্চম মন্ত্রিসভার পদত্যাগ | ||
ফলাফল | সফল
| ||
পক্ষ | |||
| |||
নেতৃত্ব দানকারী | |||
সম্মিলিত নেতৃত্ব |
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান |
---|
বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |
বাংলাদেশের ইতিহাস |
---|
বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান বা জুলাই বিপ্লব[১] বলতে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ ও অসহযোগ আন্দোলন ২০২৪-এর সমন্বিত আন্দোলনকে বোঝানো হয়।[২][৩] ২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের জারি করা পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন করে শুরু হয়, এই আন্দোলনে তৎকালীন শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার দমন নিপড়ন শুরু করলে এটি অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেয়। এই গণঅভ্যুত্থানের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পলায়ন করতে বাধ্য হলে বাংলাদেশ সাংবিধানিক সংকটে পড়ে এবং এর তিন দিন পরে মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।[৩]
নামকরণ
৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা এখনও আগস্টে যাইনি। এই জুলাই হত্যার বিচার করেই আমরা আগস্টে যাব।"[৪] ফলে আন্দোলনটি "জুলাই বিপ্লব" বলে খ্যাতি পায়।[৫]
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই অভ্যুত্থানকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস "জুলাই বিপ্লব" এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে "ছাত্র–শ্রমিক–জনতার অভ্যুত্থান" বলে অভিহিত করেন।[১]
পটভূমি
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হওয়ার পর, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।[৬] এরপর রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ পরপর আরও তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ব্যপক কারচুপির অভিযোগ উঠে। এরমাঝে ২০১৮ সালের নির্বাচন ব্যতীত বাকি দুটো নির্বাচন বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বয়কট করেছিলো। এইসময় সরকার তাদের বিরোধীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন ও ধর-পাকড় চালায়, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের নেতৃত্বশূন্য করে ফেলা হয়।[৭] এইসময়ে বাংলাদেশের সব গণমাধ্যমে তথ্য প্রচার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর মতো আইনের মাধ্যমে কঠোরভাবে জনসাধারণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।[৮][৯]
এইসময়ে অরাজনৈতিক আন্দোলন সহ অধিকাংশ আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সরকার পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বিশেষত ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করতো।[১০] ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড ও দমন-নিপড়নের অভিযোগ ছিলো।[১১] গত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের ছোট থেকে কেন্দ্রের বেশিরভাগ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছিলো, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কানাডায় বাংলাদেশিদের পরিবাবের সদস্যদের নিয়ে বেগমপাড়া তৈরি করা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছুঁয়েছে, পাশাপাশি রিজার্ভের ঘাটতি, দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাচার, ব্যাংকিংখাতে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের জন্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দিনে দিনে জীবন-যাপন কঠিন হয়ে উঠেছিলো, যার কারণে তারা সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল[১২]
প্রথম পর্যায়
কোটা সংস্কার আন্দোলন
২০১৮ সালে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়, যা ছাত্রদের মধ্যে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে চলমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করা। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা এবং শিক্ষার্থীদের চাপে, সরকার ৪৬ বছর ধরে চলা এই কোটাব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেয়।
তবে, ২০২১ সালে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, অহিদুল ইসলামসহ, হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। অবশেষে, ২০২৪ সালের ৫ জুন, হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ কোটাব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে। রায় প্রকাশের পরপরই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
জুলাই মাসে আন্দোলন আরও তীব্র রূপ নেয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা "বাংলা ব্লকেড" সহ অবরোধ কর্মসূচি চালায়। এই সময়ে আন্দোলন দমাতে পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের ফলে সংঘর্ষ ঘটে, এবং রংপুরে আবু সাঈদ নামে একজন শিক্ষার্থী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই ঘটনাটি আন্দোলনকে আরও জোরালো করে এবং দেশজুড়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।[১৩]
এরপর ঢাকাসহ সারাদেশে আন্দোলন সহিংহ হয়ে উঠে ও বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মতো সংগঠনের হামলায় অনেক হতাহত হয়।[১৪] এইসময় সারাদেশে কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আন্দোলনের প্রক্ষিতে পরবর্তীতে আপিল বিভাগের শুনানির তারিখ এগিয়ে নিয়ে আসা হয়।[১৫]
মামলা নিয়ে আপিল বিভাগের রায়
৪ জুলাই আপিল বিভাগ, ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি না করে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখে। রাষ্ট্রপক্ষকে ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করার কথা বলা হয়। এ সময় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আন্দোলন হচ্ছে, হোক। রাজপথে আন্দোলন করে কি হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?[১৬]
পরবর্তীতে ১০ জুলাই আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহ স্থিতাবস্থা জারির আদেশের পাশাপাশি কিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা জারি করে।[১৭] এইদিন ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।[১৮]
১৪ জুলাই হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।[১৯] ১৮ জুলাই এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম মামলার শুনানির তারিখ ২১ জুলাই রোববার নির্ধারণ করেন।[২০]
২১ জুলাই আপিল বিভাগ কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে। একইসাথে সরকারের নীতি নির্ধারণী বিষয় হলেও সংবিধান অনুযায়ী সম্পূর্ণ ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালত সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ মেধা-ভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেয়। এইদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কারফিউর মধ্যেও সর্বোচ্চ আদালতের কার্যক্রম বসেছিলো।[২১]
গণহত্যা
দ্বিতীয় পর্যায়
এক দফা দাবি
লং মার্চ টু ঢাকা
পরিণতি
সরকার পতন
সহিংসতা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
সাংবিধানিক সংকট
২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট তারিখে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকস্মাৎ গোপনে দেশত্যাগ করলে বাংলাদেশ একটি সাংবিধানিক সংকটে পতিত হয়, কারণ বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী পলায়ন কিংবা পদত্যাগ করলে নতুন সরকার গঠন নিয়ে কোন বিধান নেই।[২২][২৩][২৪][২৫][২৬][২৭] ভারতে হাসিনার পলায়নের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ডক্ট্রিন অব নেসেসিটির দোহাই দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সায় দেন।[২৮] তবে ডক্ট্রিন অব নেসেসিটির দোহাই দিয়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা নামকাওয়াস্তে রক্ষিত ধরা হলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়মিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে দাবি করে আসছে।[২৯]
তদন্ত ও বিচার
আন্দোলনে পুলিশের পোশাকে অন্য দেশের নাগরিকের উপস্থিতিতির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।[৩০]
বিতর্ক
রাজাকার স্লোগান
স্বৈরাচার হাসিনা আন্দোলন চলা কালে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন "মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কোটা পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে" এই কথা কে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয় "তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার।কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার "।
ইন্টারনেট বিভ্রাট
আন্দোলন ঠেকাতে ততকালীন সরকারের নির্দেশে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়
দমনের পক্ষে ব্যক্তিবর্গ
আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের অভিযোগ
গুজব
নারীদের ভূমিকা
এই আন্দোলনে নারীদের অস্বাভাবিক সংখ্যায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। সাধারণত বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক বিক্ষোভে জড়াতে দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্দোলনটিতে নারীদের অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের গণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে ত্বরান্বিত হয়েছিল।[৩১]
কিংবদন্তি
৩৬ জুলাই
চিত্রকর্ম ও দেয়াল লিখন
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও এর ধারাবাহিকতায় অসহযোগ আন্দোলন ছিলো বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। দল মত ধর্ম বর্ণ জাতি নারী পুরুষ সবাই মিলে আন্দোলনকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলো। এই আন্দোলনে দেশ বিদেশ থেকে অনেক চিত্রশিল্পীরা বিভিন্ন চিত্রকর্ম একে আন্দোলনকারীদের সাহস যুগিয়েছিলো। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেবাশীষ চক্রবর্তী।
আন্দোলনের জুলাই–আগস্টে মাত্র তিন সপ্তাহে আঁকা হয়েছে শত শত রম্য, উপহাস ও বিদ্রুপাত্মক কার্টুন ও চিত্রকর্ম। স্লোগানের মতো রাজনৈতিক কার্টুনও উৎসাহ দিয়েছে এ আন্দোলনে। বাংলাদেশের প্রথিতযশা কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব ৩ আগস্ট ২০২৪-এ একটি কার্টুন প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, লালের ওপর আঁকা হয়েছে একটি বালুঘড়ি। ঘড়ির ওপরে আর তখন নামমাত্র বালু আছে নিচে নামতে। লেখা আছে ‘কাউন্ট ডাউন’। এছাড়াও এবারের আন্দালেন নাজমুস সাদাতের কার্টুনে নিজের দিকে বন্দুকের নল টেনে নেওয়া হাত, আসিফ মাহবুবের আঁকা রক্তাক্ত মুঠোফোন, রিশাম শাহাব তীর্থর আঁকা গণতন্ত্রকে নিরাপত্তা বাহিনী আর ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনীর নির্যাতন অথবা পুলিশের বুটের তলা আটকে রাখা শিক্ষার্থীর দলের কার্টুনগুলো আন্দোলনের সময় ঘটনার বার্তা দিয়ে পরিস্থিতি স্পষ্ট করেছে।[৩২]
সঙ্গীত
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আওয়াজ উডা শিরোনামের গানটি মুক্তি পায়। মুক্তির এক সপ্তাহ পর,গানটির সুরকার হান্নানকে ২৫ জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।[৩৩] নিউ ইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা আর্টিস্ট অ্যাট রিস্ক কানেকশন (এআরসি) গ্রেপ্তারটির নিন্দা জানায়।[৩৪]
গানটি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় জনমহলে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মাত্র ১৩ দিনে এটি ইউটিউবে ছয় মিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়, যা সে সময় বাংলাদেশে ইউটিউবে পঞ্চম সর্বাধিক দেখা গান হিসেবে স্থান পায়।[৩৪]
গণমাধ্যমে উল্লেখ
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন
জাদুঘর
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "মন খুলে আমাদের সমালোচনা করুন: প্রধান উপদেষ্টা"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০২৪-০৯-১১। ২০২৪-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১২।
- ↑ "ছাত্র–জনতার-গণঅভ্যুত্থানে-পুলিশে-সংস্কারের-প্রয়োজনীয়তা-দেখা-দিয়েছে"। thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ ক খ "কোটা আন্দোলন থেকে অভ্যুত্থান: উত্থান-পতনে যেভাবে এসেছে সফলতা"। banglanews24.com। ২০২৪-০৯-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ Ekattor TV (২০২৪-০৮-০৩)। "এক দফা নিয়ে যে বক্তব্য দিলেন সমন্বয়ক নাহিদ | News | Ekattor TV"।
- ↑ Jamuna TV (২০২৪-০৮-১৭)। "কীভাবে কেটেছে জুলাই বিপ্লবের উত্তাল দিনগুলো? | July Revolution | BD Student Protest | Jamuna TV"।
- ↑ "তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা"। বিবিসি বাংলা। ২০১১-০৫-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ "২১শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা সহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত মামলা রয়েছে"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-২১। ২০২৪-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৩-০৮-১৮)। "সরকার নানাভাবে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০২৪-০৯-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: প্রয়োগ না অপপ্রয়োগ - তা নিয়ে উদ্বেগ ও বিতর্ক কেন?"। বিবিসি বাংলা। ২০২১-০৩-০৫। ২০২৪-০৯-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ সংবাদদাতা (২০২৪-০৮-০৪)। "কুড়িগ্রামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৩০"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০২৪-০৯-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ আলোক, সাদী মুহাম্মাদ (২০২৩-০২-১৫)। "কেন এত অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ "হাসিনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে যেসব কারণ"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৮-১১। ২০২৪-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ "আবু সাঈদ হত্যার বিচারের দাবিতে বেরোবিতে শহীদি মার্চ"। www.kalerkantho.com। ২০২৪-০৯-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ "কোটা আন্দোলন: কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সহিংসতায় সারা দেশে ছয় জন নিহত"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৭-১৬। ২০২৪-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১৬।
- ↑ "কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা, কারফিউ, সেনা মোতায়েন, ইন্টারনেট বন্ধ-আরো যা যা ঘটেছে"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৭-২৩। ২০২৪-০৭-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১৬।
- ↑ "কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা আপিল বিভাগের"।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৪-০৭-১০)। "কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা আপিল বিভাগের"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৭-১৮)। "কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি রোববার"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০২৪-০৯-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২৪-০৭-১৬)। "কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ-টু-আপিল আবেদন"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ "কোটা নিয়ে আনা লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি রোববার | শিরোনাম"। Noyashotabdi। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ "কোটা আন্দোলন: কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানিতে রোববার যা হয়েছে"। বিবিসি বাংলা। ২০২৪-০৭-২১। ২০২৪-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৭।
- ↑ Ahasan Raisa, Fatima Zahra; Tarannum Susan, Suriya (২০২৪-০৯-১১)। "Bangladesh Through the Prism of Doctrine"। আইএসএসএন 2366-7044। ডিওআই:10.59704/3a2bb7c01da8225a। ২০২৪-০৯-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৪।
- ↑ "Post-Hasina Bangladesh's Multiple Challenges"। thediplomat.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৯-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৪।
- ↑ Levush, Ruth (২০২৪-০৮-২৯)। "Interim Government and the Constitution of Bangladesh | In Custodia Legis"। The Library of Congress। ২০২৪-১০-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৪।
- ↑ "Bangladesh: The Long Road Ahead"। The International Crisis Group। আগস্ট ৭, ২০২৪। সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০২৪।
- ↑ "গোলকধাঁধার সংবিধান: কী করবেন প্রেসিডেন্ট"। Daily Inqilab। ২০২৪-০৯-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৪।
- ↑ Ahmed, Kamal (২০২৪-০৮-২৯)। "What's the CEC's motive in wanting the constitution suspended?"। দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৪।
- ↑ "Bangladesh at crossroads as it pursues sweeping constitutional reform"। Voice of America (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৯-২৯। ২০২৪-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১৪।
- ↑ প্রতিনিধি, বিশেষ (২০২৪-১০-১৮)। "শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কল্পনাপ্রসূত: আ.লীগ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০৯-২৪)। "আন্দোলনে পুলিশের পোশাকে ভিনদেশীর প্রমাণ মিলেছে: তাজুল"। একাত্তর টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২৪।
- ↑ "নারীদের অংশগ্রহণ যেভাবে শেখ হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করেছে"। ইউটিউব। বিবিসি বাংলা। ১৭ আগস্ট ২০২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "'নাটক কম করো পিও!'—এমন সাড়া ফেলেছিল আরও যত কার্টুন"। প্রথম আলো। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "'Awaaz Utha' rapper Hannan arrested, gets 2-day remand"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১২।
- ↑ ক খ "'আওয়াজ উডা' র্যাপার হান্নানকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক সংগঠনের নিন্দা"। প্রথমআলো। ২০২৪-০৮-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১২।
বহিঃসংযোগ
- উইকিমিডিয়া কমন্সে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- উইকিউক্তিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সম্পর্কিত উক্তি পড়ুন।