মিজানুর রহমান চৌধুরী
মিজানুর রহমান চৌধুরী | |
---|---|
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ জুলাই ৯, ১৯৮৬ – মার্চ ২৭, ১৯৮৮ | |
রাষ্ট্রপতি | হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ |
পূর্বসূরী | আতাউর রহমান খান |
উত্তরসূরী | মওদুদ আহমেদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | চাঁদপুর জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ) | ১৯ অক্টোবর ১৯২৮
মৃত্যু | ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ঢাকা বাংলাদেশ | (বয়স ৭৭)
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | আওয়ামী লীগ (১৯৪৫ - ১৯৮৪ এবং ২০০১ - ২০০৬) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি (১৯৮৪ - ২০০১) |
ধর্ম | ইসলাম |
মিজানুর রহমান চৌধুরী (১৯ অক্টোবর ১৯২৮ - ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলে ৯ জুলাই ১৯৮৬ থেকে ২৭ মার্চ ১৯৮৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১][২]
জন্ম
[সম্পাদনা]মিজানুর রহমান চৌধুরী ১৯২৮ সালের ১৯ অক্টোবর চাঁদপুর জেলার পুরাণবাজারস্থ পূর্ব শ্রীরামদী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মোঃ হাফিজ চৌধুরী এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ মাহমুদা বেগম।[১]
রাজনীতি
[সম্পাদনা]পাকিস্তান আমল
[সম্পাদনা]কলেজ থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। যখন শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কারাগারে ছিলেন তখন তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।। ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেও গ্রেফতার হন। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় তিনি সম্মিলিত বিরোধী দলের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।[৩] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন।[১]
স্বাধীন বাংলাদেশ
[সম্পাদনা]শেখ মুজিবের সরকার
[সম্পাদনা]’৭০ এর নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ এর সংসদে তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রী সভায় তিনি সাহায্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব নিহত হলে বাকশাল সরকারের পতন হয় এবং জিয়াউর রহমান সরকার বহুদলীয় রাজনীতির অনুমোদন দিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হয় এবং আবদুল মালেক উকিল এবং মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দু’টি পৃথক ধারার সৃষ্টি হয়।
এরশাদের সরকার
[সম্পাদনা]আশির দশকের শুরু দিকে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক সরকারকে সমর্থন দেন এবং জাতীয় পার্টিতে (সেসময়ের নাম জাতীয় দল) যোগ দেন (১৯৮৪)। ১৯৮৬ তে প্রধানমন্ত্রী হন। এরশাদের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তিনি দুই বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মার্চ, ১৯৮৮ তে মওদুদ আহমেদ তার স্থলে প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯০ সালে এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দেন। ১৯৯০ তে এরশাদ সরকার পতনের পর এরশাদ জেলে থাকাকালীন তিনি জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে মিজানুর রহমান আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]২০০৬ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ আবু মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬ নভেম্বর ২০১৪)। "চৌধুরী, মিজানুর রহমান"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ সায়েদুর রহমান। হিস্টরিকাল ডিকশেনারী অফ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ৭১। আইএসবিএন 978-0-8108-7453-4।
- ↑ [Historical dictionary of Bangladesh / by Craig Baxter and Syedur Rahman. 2nd ed. page :62 আইএসবিএন ০-৮১০৮-৩১৮৭-২]
- ↑ "Mizan Chy passes away"। দ্য ডেইলি স্টার। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬। ৩১ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২১।
পূর্বসূরী: আতাউর রহমান খান |
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জুলাই ৯, ১৯৮৬ - মার্চ ২৭, ১৯৮৮ |
উত্তরসূরী: মওদুদ আহমেদ |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
- ১৯২৮-এ জন্ম
- ২০০৬-এ মৃত্যু
- প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য
- তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
- পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- চাঁদপুর জেলার রাজনীতিবিদ
- শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য
- শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তি
- দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
- এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য
- জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ
- পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ১৯৬৫-১৯৬৯
- পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ১৯৬২-১৯৬৫
- ২০শ শতাব্দীর বাঙালি
- শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য