এখলাসউদ্দিন আহমদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এখলাসউদ্দিন আহমদ
এখলাসউদ্দিন আহমদ
এখলাসউদ্দিন আহমদ
জন্ম(১৯৪০-১২-১৫)১৫ ডিসেম্বর ১৯৪০
পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা, ভারত
মৃত্যু২৪ ডিসেম্বর ২০১৪(2014-12-24) (বয়স ০)
ঢাকা, বাংলাদেশ
পেশাশিশুসাহিত্যিক, ছড়াকার ,সাংবাদিক
জাতীয়তাবাংলাদেশী
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
একুশে পদক
পশ্চিমবঙ্গ যুব উৎসব পুরস্কার
শিশু একাডেমি পুরস্কার

এখলাসউদ্দিন আহমদ (জন্ম: ডিসেম্বর ১৫, ১৯৪০, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায় - মৃত্যু: ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।

পেশা[সম্পাদনা]

পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন সাংবাদিক।পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছিলেন এখলাসউদ্দিন। দীর্ঘদিন দৈনিক জনকণ্ঠে কর্মরত ছিলেন। ১৩৭৩ বঙ্গাব্দে প্রথমে কিশোর সংকলন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল ‘টাপুর টুপুর’। সেটির প্রধান সম্পাদক ছিলেন এখলাসউদ্দিন। এরপর নিয়মিত মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হতে শুরু করে ‘টাপুর টুপুর’। এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন এখলাসউদ্দিন।

প্রকাশিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]

  • হঠাৎ রাজার খামখেয়ালী
  • এক যে ছিল নেংটি
  • কাটুম কুটুম
  • ছোট্ট রঙিন পাখি
  • তনু ও তপু সিরিজের বই
  • বেলুন বেলুন
  • মাঠ পারের গল্প
  • হঠাৎ রাজার খামখেয়ালী
  • টাট্টুঘোড়া টাট্টুঘোড়া
  • অন্য মনে দেখা
  • রাজ রাজড়ার
  • কেঁদোর কাণ্ডকারখানা
  • রোজদিনকার রোজ-নামচা
  • যত্তোসব আজগুবি
  • লোকটা
  • বঙ্কুবাবু ও মামদোর গপ্পো
  • তুনুর বন্ধু হালুম

এখলাসউদ্দিন রচিত ছড়া ও কবিতার বইগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘হাসির ছড়া মজার ছড়া’, ‘তুনতু বুড়ির ছড়া’, ‘টুকরো ছড়ার ঝাঁপি’, ‘বাজাও ঝাঁঝর বাদ্যি’, ‘ইকরি মিকরি’, ‘বৈঠকী ছড়া’, ‘কাটুম কুটুম’, ‘ছোট রঙিন পাখি’, ‘প্রতিরোধের ছড়া’, ‘অষ্টাশির ছড়া’, ‘ছড়ানো ছিটানো ছড়া’, ‘বাছাই ছড়া’। এ ছাড়া এখলাসউদ্দিনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে,টাপুর টুপুর,ছড়ায় ছড়ায় ছন্দ,রঙিন ফানুস,দুই বাংলার ছোটদের গল্প,দুই বাংলার ছেলে ভুলানো ছড়া,দুই বাংলার একালের ছড়া,হাজার বছরের কিশোর কবিতা,বাংলাদেশের ছোটগল্প,ফিরে দেখা,তিনতানীর গপ্পো,ভর সন্ধ্যে বেলা,তুনতু বুড়ির ইচ্ছাকাঠি,তপুর ভুবন,তপুর যুদ্ধ যুদ্ধে ফেরা, ডাকাতের মুখোমুখি,তপু ও চন্দ্রপরী,কেঁদোকে নিয়ে,কেঁদোর ছক্কি তুনুর ঘরে,কেঁদোর ভিত্তি,বাছাই ছড়া,হাদারামের ভূত দেখা,খুঁজে ফেরা,কেঁদো,দশটি কিশোর উপন্যাস,আলসে ভূতের গপ্পো,তুনু ও তার বন্ধুরা,ভূষণ্ডি ও কাকতাড়ুয়ার গপ্পো,তপুর হারানো দিনগুলো,তুনু ও তাকতুর গপ্পো,মেঘ বৃষ্টির গপ্পো,ছোটদের দশটি উপন্যাস,নির্বাচিত কিশোর উপন্যাস,জানালাটা খুলে দাও,গল্পগুলো অর্কের,তনুর ভালো লাগা না লাগা,তনু সমগ্র ১,এখলাসউদ্দিন আহমদের রচনা সমগ্র(১-৪)।[১][২]

সম্মাননা ও পুরস্কার[সম্পাদনা]

  • কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এখলাসউদ্দিন একুশে পদক পান ২০০০ সালে।
  • ১৯৬২ সালে পশ্চিমবঙ্গ যুব উৎসব পুরস্কার
  • ১৯৭১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার
  • ১৯৮৩ সালে আলাওল সাহিত্য পুরস্কার
  • ১৯৮৬ সালে অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার
  • ১৯৯৯ সালে শিশু একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।[২]
  • ২০০৪ সালে তিনি কবীর চৌধুরী শিশু সাহিত্য পুরস্কার পান। [৩]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

ডিসেম্বর ২৪ , ২০১৪ বুধবার ভোর ৪টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।এখলাসউদ্দিনের ভাগ্নিজামাই আলী ইমাম জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত প্রায় একমাস ধরেই হাসপাতালে ছিলেন এখলাসউদ্দিন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "চলে গেলেন এখলাসউদ্দিন আহমদ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪ 
  2. "না ফেরার দেশে শিশুসাহিত্যিক এখলাসউদ্দিন"। রিয়েল-টাইম নিউজ নেটওয়ার্ক। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  3. "বাংলা একাডেমি প্রদত্ত অন্যান্য পুরস্কার"banglaacademy.org.bd 
  4. "শিশুসাহিত্যিক এখলাসউদ্দিন মারা গেছেন"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪