আনিছুর রহমান (বীর প্রতীক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আনিছুর রহমান
জন্ম১ জুন ১৯৪৮
স্থল, জগন্নাথগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, জামালপুর
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্বপাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণমুক্তিযোদ্ধা, বীর প্রতীক
দাম্পত্য সঙ্গীমোসাম্মৎ সামছুন নাহার
সন্তান৩ পুত্র
পিতা-মাতামকবুল হোসেন
মোসাম্মাৎ আমেনা বেগম
পুরস্কারবীর প্রতীক

আনিছুর রহমান (জন্ম: ১ জুন ১৯৪৮) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন।[১][২]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আনিছুর রহমান ১ জুন ১৯৪৮ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জের স্থলে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান আবাস ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর ১১২ নিউ সার্কুলার রোডে। তার পিতার নাম মকবুল হোসেন ও মাতার নাম মোসাম্মাৎ আমেনা বেগম। তার স্ত্রী মোসাম্মৎ সামছুন নাহার, এই দম্পতীর ৩ পুত্র।[২]

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

আনিছুর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি টাঙ্গাইলের শফিপুর বহেরাতলা এবং আসামের তুরা ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন। তিনি কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন। দেশ চূড়ান্তভাবে শত্রু মুক্ত হওয়ার পূর্বেই কাদেরিয়া বাহিনীর তৎপরতায় টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার কিছু অংশ পাকসেনাদের কবল থেকে মুক্ত হয়।[২]

কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে পাকবাহিনীর উপর আক্রমণ চালিয়ে সেখানে অবস্থানরত লঞ্চ ও স্টিমার ধ্বংস করেন। তিনি অসম সাহসিকতা ও নিখুঁত পরিকল্পনায় বাহাদুরাবাদ ঘাটে পাকবাহিনীর ৪টি ফেরি ও ১টি স্টিমার ধ্বংস করেন। তার কোম্পানি ধনবাড়ী, মধুপুর, কাউসি ব্রিজ, ভয়াপুর, কালিবাড়ী প্রভৃতি স্থানে লড়াই করে সাফল্য লাভ করে।[২]

স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন।[২]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ১৪-১১-২০১১[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 9789843351449 
  3. স্মরণীয় স্মারক গাঁথা, তারিখঃ ২৪-১২-২০১২।

পাদটীকা[সম্পাদনা]