বশীর আহমেদ
বশির আহমেদ বীর প্রতীক | |
---|---|
জন্ম | বশির আহমেদ ১৯ মে ১৯৫৭ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | মুক্তিযোদ্ধা |
দাম্পত্য সঙ্গী | রোকেয়া বেগম |
পুরস্কার | বীর প্রতীক |
বশির আহমেদ (জন্ম: ১৯ মে ১৯৫৭) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন। কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তিনি দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।[১][২]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]বশির আহমেদ জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা লাল মামুদ এবং মাতা কিশোরী বেওয়া। তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং তিন পুত্র রয়েছে। বর্তমানে তিনি বকশীগঞ্জের ব্র্যাক সড়কের চরিয়াপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন। ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন, মাত্র ১৫-১৬ বছর বয়সে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ সহ্য করতে না পেরে তিনি এপ্রিল মাসে মহেন্দ্রগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগ দেন। প্রথমবার তাঁকে কিশোর হওয়ার কারণে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় তাঁর দৃঢ় সংকল্পের কারণে তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি ১১ নং সেক্টরের হেলাল কোম্পানির অধীনে যুদ্ধ করেন এবং মিত্রবাহিনীর সাথেও কাজ করেন।
কামালপুর যুদ্ধ ও বীরত্ব
[সম্পাদনা]কামালপুর সীমান্তচৌকি ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চৌকিটি দখল করার জন্য মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনী বারবার আক্রমণ চালায়। ২৪ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত কামালপুর পাকিস্তানি বাহিনীর অবরোধ চলতে থাকে। ৪ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের জন্য একটি চিঠি প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিঠি নিয়ে পাকিস্তানি ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য ব্রিগেডিয়ার হরদেব সিং ক্লেয়ারের আহ্বানে সাড়া দেন বশির আহমেদ। বশির আহমেদ আত্মসমর্পণের চিঠি ও সাদা পতাকা নিয়ে পাকিস্তানি ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাঁর সাহসিকতা এবং দৃঢ়তার কারণে তিনি পাকিস্তানি ক্যাম্পে পৌঁছান এবং চিঠিটি হস্তান্তর করেন। পাক সেনারা তাঁকে আপ্যায়ন করে এবং চিঠির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় চায়। অবশেষে, মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনীর চাপের মুখে কামালপুরের পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এই বিজয় মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাঞ্চলীয় সেক্টরের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য ছিল।[৩]
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]১৯৭৩ সালে সরকার তাকে বীর প্রতীক সম্মাননা প্রদান করেন। যার খেতাব নম্বর ৩৯৭।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ১৪-১১-২০১১[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 9789843351449।
- ↑ "বশির আহমেদ: মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের প্রথম আত্মসমর্পণের ইতিহাস"। www.sebahotnews.org। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ স্মরণীয় স্মারক গাঁথা, তারিখঃ ২৪-১২-২০১২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]পাদটীকা
[সম্পাদনা]![]() |
জীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |