মোহাম্মদ আবদুল মতিন (বীর প্রতীক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মো. আবদুল মতিন
মৃত্যু২০০৯
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর প্রতীক

মো. আবদুল মতিন (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ২০০৯) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

মো. আবদুল মতিনের জন্ম মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আলফু মিয়া এবং মায়ের নাম সখিনা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম আর্জুমান্দআরা চৌধুরী। তার দুই ছেলে, দুই মেয়ে। [২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন মো. আবদুল মতিন । তিনি কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন যুদ্ধে। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে ভারতে ২ নম্বর সেক্টরে স্টাফ অফিসার হিসেবে কাজ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি প্রতিরোধযুদ্ধকালে চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথে সীতাকুণ্ডের পর মাস্তাননগর যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধের জন্য মো. আবদুল মতিনকে পাঠানো হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল-সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। তিনি প্রথমে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেন কুমিল্লা আর ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের মাঝামাঝি জায়গায়। এখানে তিনি জিয়াউর রহমানকে (বীর উত্তম)সাহায্যার্থে পাঠানো হয়। সেখানে কী করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেন খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম)। প্রথম ডিফেন্স চারদিন ধরে রাখতে পেরেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারপর পিছিয়ে সীতাকুণ্ডে পরবর্তী ডিফেন্স নেন তারা। সীতাকুণ্ডে সপ্তাহখানেক থাকার পর মাস্তাননগরে ডিফেন্স নেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে সাত দিন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। শেষ দিন সূর্য ওঠার আগে খুব ভোরবেলায় গোলাগুলির শব্দ পেয়ে নজরুল ইসলামকে নিয়ে মেশিনগান পোস্টে যান আবদুল মতিন। সেখানে যাওয়ার পর গোলাগুলির প্রচণ্ডতা বেড়ে যায়। সারা দিন চলার পর সন্ধ্যার দিকে দেখা গেল পেছনেও গোলাগুলি হচ্ছে। ডান এবং বাম দিক থেকেও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানে পাকিস্তানি সেনারা এসে গেছে। সে সময়ে মুক্তিযোদ্ধা দলের মেশিনগান পোস্টর প্রধান ছিলেন আবু শামার। তিনি এক সময়ে এসে আবদুল মতিনকে একটি অস্ত্র দেন যাতে ধরা পড়লে তিনি আত্মহত্যা করতে পারি। এ যুদ্ধে সাহসিকতার পরিচয় দেন আবদুল মতিন। [৩]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ০১-০২-২০১২"। ২০১৭-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ২৯৯। আইএসবিএন 9789843351449 
  3. একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা (দ্বিতীয় খন্ড)। ঢাকা: প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা পৃ ১৭১। আইএসবিএন 9789849025375 

পাদটীকা[সম্পাদনা]

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]