আনিসুল হক আকন্দ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(আনিছুল হক আখন্দ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
আনিসুল হক আকন্দ
আনিসুল হক আকন্দ.jpg
জন্ম১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩
মৃত্যু১৫ আগস্ট ২০০৮
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্বপাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণমুক্তিযোদ্ধা, বীর প্রতীক
দাম্পত্য সঙ্গীমোছা. নুরুননাহার
সন্তান৪ কন্যা ও ৬ পুত্র
পিতা-মাতাআব্দুল আজিজ আকন্দ
মোসলিমা
পুরস্কারবীর প্রতীক

আনিসুল হক আকন্দ (১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ – ১৫ আগস্ট ২০০৮) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন।[১][২] তার গেজেট নং ৬৪৮, সেক্টর-১১ এফ এফ।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আনিসুল হক আকন্দ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহের নান্দাইলের চন্ডীপাশার লংপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল আজিজ আকন্দ ও মাতার নাম মোসলিমা।[১]

তার স্ত্রী মোছা. নুরুননাহার, এই দম্পতীর ৪ কন্যা ও ৬ পুত্র।[১]

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

আনিসুল হক আকন্দ মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে ভারতের লোহার বনে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরে যোগদান করেন। তিনি নিজে কোম্পানি কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। সিলেটের শমসেরনগর, বারমারী, ময়মনসিংহের ধানুয়া কামালপুর, বকশিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের তাবেদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সাহসিকতার পরিচয় দেন। তিনি ২ নভেম্বর ১৯৭১ সালে শেরপুরের শ্রীবরদীর ধানুয়া কামালপুরে পাকিস্তানি সেনাদের শেলের আঘাতে আহত হন। তিনি এবং তার সহযোদ্ধা বশীর আহমেদ কামালপুর ক্যাম্পে দূতিয়ালী করে ১২৬ জন পাকসেনাকে আত্মসমর্পন করাতে সক্ষম হন।[১]

স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন।[১]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 9789843351449 
  2. মেসবাহ কামাল, জান্নাত-এ-ফেরদৌসী। ১৯৭১ তোমাদের এই ঋণ কোনোদিন শোধ হবে নাবাংলাদেশ: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১৭৬। আইএসবিএন 9789840426973 
  3. স্মরণীয় স্মারক গাঁথা, তারিখঃ ২৪-১২-২০১২।

পাদটীকা[সম্পাদনা]