তোফায়েল আহমেদ (ফেনীর বীর প্রতীক)
তোফায়েল আহমেদ | |
---|---|
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() |
পরিচিতির কারণ | বীর প্রতীক |
তোফায়েল আহমেদ (জন্ম: অজানা ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। [১]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]
তোফায়েল আহমেদের জন্ম ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পূর্ব শিলুয়া গ্রামের মজুমদার বাড়িতে। তার বাবার নাম মুজাফফর আহমদ মজুমদার এবং মায়ের নাম ফাতেমা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম শরীফা খাতুন। এ দম্পতির তিন ছেলে ও তিন মেয়ে।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
ইপিআরে চাকুরি করতেন তোফায়েল আহমেদ। কর্মরত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জে। এর অবস্থান ছিলো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। সেখানকার কোম্পানি কমান্ডার তোবারক উল্লাহর নেতৃত্বে বিদ্রোহ করে তারা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ৮ নম্বর সেক্টর এলাকায় যুদ্ধ করেন তিনি; ভোমরা ও হাকিমপুর সাব সেক্টরে। তোবারক উল্লাহ্র নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেছেন তোফায়েল আহমেদ। বেশির ভাগ যুদ্ধে তিনি অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। ভোমরায় এক যুদ্ধে তিনি সামান্য আহত হন। তার বাঁ হাতের অংশবিশেষ পাকিস্তানিদের বোমায় ঝলসে যায়। মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য তোফায়েল আহমেদ বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন। ১৯৮৩ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]
তোফায়েল আহমেদ যে সব যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তার মধ্যে স্মরণীয় যুদ্ধ বালিয়াডাঙ্গার যুদ্ধ। এই যুদ্ধ এত ভয়াবহ, লোমহর্ষক ও মারাত্মক ছিল যে ওই যুদ্ধে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের এখন সে কথা মনে হলে সবাই হয়তো শিউরে উঠবেন। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি। তখন একদল মুক্তিযোদ্ধার অবস্থান ছিল সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গায়। ইপিআর, আনসার, মুজাহিদ ও ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে গড়া এ মুক্তিবাহিনীর দল। মুক্তিবাহিনীর গেরিলা-আক্রমণে পাকিস্তানিরা অতিষ্ঠ। তাই তারা মুক্তিযোদ্ধাদের দমনে নতুন কৌশল অবলম্বন করে। হঠাৎ একদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বেলুচ রেজিমেন্ট বিপুল শক্তি নিয়ে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানে আক্রমণ করে। তাদের আক্রমণের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। বৃষ্টির মতো আর্টিলারি গোলার আঘাতে মুক্তিযোদ্ধারাও দিশেহারা হয়ে পড়েন। পাকিস্তানিদের প্রচণ্ড আক্রমণের মধ্যেও তারা টিকে থাকার চেষ্টা করেন। যুদ্ধ চলল কয়েক দিন। তিন কি চার দিনের দিন পাকিস্তানিদের অব্যাহত আক্রমণের মুখে মুক্তিবাহিনী সেখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হলো। পাকিস্তানিদের গোলার আঘাতে মুক্তিবাহিনীর আটজন যোদ্ধা ও অনেকে আহত হন। এ যুদ্ধে বীরত্ব দেখান তোফায়েল আহমেদ। [২]
পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ২৫-০৫-২০১১"। ২০২০-০৫-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-১৬।
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। এপ্রিল ২০১২। পৃষ্ঠা ২০৯। আইএসবিএন 9789849025375।
পাদটীকা[সম্পাদনা]
- এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ১৩-০২-২০১২ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।