অতুল সেন
অতুল সেন | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৫ আগস্ট, ১৯৩২ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৬৪ সাল পর্যন্ত) ভারত |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী |
রাজনৈতিক দল | অনুশীলন সমিতি |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, |
অনুশীলন সমিতি |
---|
প্রভাব |
অনুশীলন সমিতি |
উল্লেখযোগ্য ঘটনা |
সম্পর্কিত প্রসঙ্গ |
অতুল সেন (? - ৫ আগস্ট, ১৯৩২) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। ১৯৩০-এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলায় ধারাবাহিক বিপ্লবী তৎপরতার দশক ছিল এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের মাধ্যমে তা শীর্ষে ছিল। উচ্ছ্বসিত, সারা বাংলার বিপ্লবীরা কলকাতাকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশদের উপর তাদের আক্রমণ অব্যাহত রাখে। ছাত্রাবস্থায় গ্রামের প্রখ্যাত বিপ্লবী রসিকলাল দাস, অনুজাচরণ সেন, রতিকান্ত দত্ত ও সত্যাশ্রমের কিরণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রমুখের সংস্পর্শে এসে বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন।
আলফ্রেড ওয়াটসনকে হত্যার চেষ্টা
[সম্পাদনা]দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার সম্পাদক জনাব আলফ্রেড ওয়াটসন সে সময় বাংলার বিপ্লবীদের কঠোর সমালোচনা করেন। ক্যালকাটা ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র, তাদের বিরুদ্ধে মিঃ ওয়াটসনের ক্রমাগত প্রচারণা তাকে তাদের টার্গেটে পরিণত করেছিল। তাঁর সম্পাদকীয় কলামে তিনি বলেন, এই সমস্ত বিপ্লবীদের জেল থেকে টেনে এনে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত। এর পরে বর্বর হিজলি কারাগারের ঘটনা ঘটেছিল যার জন্য বিপ্লবীরা ওয়াটসনকে দায়িত্বের সাথে ধরে রেখেছিল এবং তাকে নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৯৩২ সালের ৫ আগস্ট অতুলকুমার সেন স্টেটসম্যানের অফিসের গেটে মিঃ ওয়াটসনকে আক্রমণ করেন। অনেকক্ষণ ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে সে কোম্পানির গেটের কাছাকাছি আসতেই ফুটবোর্ডে লাফিয়ে উঠে রিভলবার থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়; কিন্তু আচমকাই গাড়িটি ম্যানহোলে ঢুকে ধাক্কা মারে। ফলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার এড়াতে পটাশিয়াম সায়ানাইড সেবন করেন অতুলকুমার।[১][২] এর কিছুদিন পরে আরেক বিপ্লবী মণি লাহিড়ী ও অনিল ভাদুড়ি, ওয়াটসনকে আবার গুলি করেন, কিন্তু পুলিশের হাত থেকে পলায়নরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় মারা যান।
জন্ম
[সম্পাদনা]অতুল সেনের জন্ম খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটিতে। তার পিতার নাম অশ্বিনীকুমার সেন। সেনহাটি ছিল একটি রাজনীতি সচেতন গ্রাম যেখানে তাদের পরিবার ছিল হাব। সেনহাটি স্কুলের ছাত্রাবস্থায় তিনি যুগান্তর দলে যোগ দেন। ম্যাট্রিকের পর তিনি যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন এবং উত্তর কলকাতার ১০, নারকেলডাঙ্গা লেনে থাকতেন।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ১৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গণ, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৯৫।
- পূর্ববঙ্গে জন্ম
- ১৯৩২-এ মৃত্যু
- বাংলাদেশী বিপ্লবী
- খুলনা জেলার বিপ্লবী
- ভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন
- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
- ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ
- খুলনা জেলার ব্যক্তি
- খুলনা বিভাগের ব্যক্তি
- পূর্ব বাংলা থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- বাঙালি বিপ্লবী
- ভারতীয় স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন
- ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন কর্মী
- অনুশীলন সমিতি
- ভারতীয় জাতীয়তাবাদ
- ভারতীয় বিপ্লবী
- ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার বিপ্লবী
- পূর্ববঙ্গের ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী বিপ্লবী
- পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী