শচীন্দ্রনাথ সান্যাল
শচীন্দ্রনাথ সান্যাল Sachindra Nath Sanyal | |
---|---|
![]() শচীন্দ্রনাথ সান্যাল | |
জন্ম | ৩রা এপ্রিল, ১৮৯৩ বেনারস, যুক্তপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩ গোরখপুর, যুক্তপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত |
প্রতিষ্ঠান | অনুশীলন সমিতি, গদর পার্টি, হিন্দুস্থান রিপাবলিকান এসোসিয়েশন, হিন্দুস্থান সোশালিস্ট রিপাবলিকান এসোসিয়েশন, |
আন্দোলন | ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন |
শচীন্দ্রনাথ সান্যাল (ইংরেজি: Sachindra Nath Sanyal) pronunciation (সাহায্য·তথ্য)(৩ এপ্রিল, ১৮৯৩ - ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩) ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের প্রথম যুগের রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।[১]
পরিচ্ছেদসমূহ
বিপ্লবী কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]
তিনি ১৯০৭ সালে কলকাতায় গুপ্ত বিপ্লবী দলে যোগ দিয়ে ১৯০৯ সালে বারানসীতে ইয়াং ম্যান্স এসোসিয়েশন নামে এক বিপ্লবী দল গঠন করেন। পরে প্রতুল গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাসবিহারী বসুর সঙ্গে পরিচিত হন। রাসবিহারী তাকে লাট্টু নামে ডাকতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসবিহারী বসুর ভারতজোড়া সেনাবিদ্রোহ প্রচেষ্টার অন্যতম সহযোগী ছিলেন শচীন্দ্রনাথ সান্যাল। ৭ম রাজপুত রেজিমেন্টে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকারের উচ্ছেদ সাধনে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। লাহোর ও বেনারস ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ১৯১৫ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। আন্দামানে সেলুলার জেলে দ্বীপান্তর দন্ড ভোগ করার পর ১৯২০ সালে মুক্তি পান। হিন্দুস্থান রিপাবলিকান এসোসিয়েশন এর অন্যতম প্রতিষ্টাতা ছিলেন তিনি। এই সময় তার ভগৎ সিং এর সাথে যোগাযোগ হয়। ১৯২৭ সালে কাকোরি বিপ্লব বা কাকোরী ষড়যন্ত্র মামলায় তার পূনরায় কারাদণ্ড হয় এবং দশ বছর জেলজীবন যাপন করেন।[২] ১৯৩৭ সালে মুক্তি পেয়ে আবার রাসবিহারী বসুর সাথে বিপ্লব পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। জাপানের সহায়তায় বিপ্লব প্রচেষ্টার অভিযোগে ১৯৪১ সালে গ্রেপ্তার হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জেলের ভেতরে যক্ষারোগে আক্রান্ত হন এই বিপ্লবী। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারনে সরকার তাকে মুক্তি দেয় ১৯৪১ সালে।[১]
সাহিত্য[সম্পাদনা]
তার রচিত গ্রন্থের নাম বন্দীজীবন। এই বইটি বিপ্লবীদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। কিছুদিন তিনি অগ্রগামী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।[১]
মৃত্যু[সম্পাদনা]
গোরখপুরে অন্তরীণ থাকাকালে ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার মৃত্যু হয়।