জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড | |
---|---|
স্থান | অমৃতসর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত |
স্থানাংক | ৩১°৩৭′১৩.৮৭″ উত্তর ৭৪°৫২′৪৯.৫৫″ পূর্ব / ৩১.৬২০৫১৯৪° উত্তর ৭৪.৮৮০৪৩০৬° পূর্ব |
তারিখ | ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ বিকাল ৫.৩৭ (IST) |
লক্ষ্য | বৈশাখী তীর্থযাত্রীদের সাথে অহিংস প্রতিবাদকারীদের ভিড়, যারা জালিয়ানওয়ালাবাগ,অমৃতসর জড়ো হয়েছিল |
হামলার ধরন | গণহত্যা |
ব্যবহৃত অস্ত্র | Lee-Enfield বন্দুক |
নিহত | ৩৭৯-১০০০ |
আহত | ~ ১৫০০ |
হামলাকারী দল | নবম গুর্খা রাইফেলসের রাইফেলম্যান, ৫৪ তম শিখ এবং ৫৯ তম সিন্ধ রাইফেলস, ব্রিটিশ ভারত সেনা |
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা | ৫০ |
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড (অমৃতসর হত্যাকাণ্ড) ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কুখ্যাত গণহত্যা। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল তারিখে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর শহরে ইংরেজ সেনানায়ক ব্রিগেডিয়ার রেগিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।[১] এই শহরের জালিয়ানওয়ালাবাগ নামক একটি বদ্ধ উদ্যানে সমবেত নিরস্ত্র জনগণের উপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছিল।
এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংরেজ সরকারের দেওয়া "নাইটহুড" উপাধি ত্যাগ করেন।
পটভূমি
[সম্পাদনা]১৮৫৭ সালে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণরূপে ইংরেজ শাসনের অধীনে আসে। শাসনের এক পর্যায়ে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই ভারতের উদীয়মান ধনী এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে। এই আকাঙ্ক্ষার সংহত রূপ প্রকাশ পায় ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। প্রথম দিকে এই রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য ছিল ইংরেজ শাসনাধীনে থেকেই ন্যায়বিচার এবং স্বায়ত্তশাসন লাভ। কিন্তু ইংরেজ সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবী মেনে নেয়া হয়নি। ইংরেজদের যুক্তি ছিল ভারতবর্ষ অনুন্নত তাই স্বায়ত্তশাসনের উপযুক্ত নয়। কিন্তু ভারতে এ ধরনের চিন্তাধারার প্রসার ঘটতে থাকে। ধীরে ধীরে এদেশের অনেক স্থানেই রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়, এক সময় টেলিগ্রাফ তারও বসানো হয়। কিছু কিছু কল-কারখানাও স্থাপিত হয়, মূলত কাপড়ের কারখানা প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনার প্রভাবও এখানে পরিলক্ষিত হয়। ১৯০৫ সালে রাশিয়ার মতো বৃহৎ শক্তি ক্ষুদ্র এশীয় শক্তি জাপানের কাছে রুশ-জাপান যুদ্ধে পরাজিত হয়। একই সময়ে রাশিয়ায় স্বৈরাচারী জারের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। ধনতান্ত্রিক দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ায় এশিয়া এবং আফ্রিকার অনুন্নত দেশগুলো দখল করে নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরই ফল ছিল ১৯১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে জার্মানি ইংল্যান্ড তথা মিত্রবাহিনীর হাতে পরাস্ত হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীও অংশ নিয়েছিলো। ইংরেজ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যুদ্ধে অংশ নিলে পরাধীন দেশগুলোকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হবে। এই কথায় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রদূত মহাত্মা গান্ধী সহ অনেকেই যুদ্ধে যোগ দেন এবং যুদ্ধে ভারতবাসীকে উৎসাহিত করেন।
১১ নভেম্বর,১৯১৮ সালে যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু ইংরেজ সরকারের নীতিতে কোন রকম পরিবর্তন দেখা যায়নি। যেসব সৈন্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল এসময় তাদের বেকার করে নিজ নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অর্থনৈতিক মন্দা এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারিতে এক কোটির বেশি মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়। ভারতবাসীর মনে সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে। এই সন্দেহ থেকেই ক্ষোভ এবং ইংরেজ বিরোধী মনোভাবের সূচনা ঘটে। এসময় ইংরেজ সরকার একদিকে যেমন মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার আইন করে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করে একই সাথে আবার রাওলাট আইন করে ইংরেজ সরকার বিরোধী সকল বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমনের জন্য নির্যাতনমূলক আইন জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়। এই আইনের অধীনে বিনা কারণে গ্রেপ্তার, অন্তরীণ ও সংক্ষিপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণহীন বিচার ও বন্দীত্বের বেপরোয়া পদক্ষেপ গৃহীত হয়। মহাত্মা গান্ধী তখন অহিংস এবং সত্যাগ্রহ তথা রক্তপাতহীন আন্দোলনের মাধ্যমে এর প্রতিবাদের আয়োজন করেন। এই সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে পাঞ্জাব যাওয়ার পথে গান্ধীজিকে গ্রেফতার করা হয়। এর প্রতিবাদে আহমেদাবাদের শিল্প শ্রমিক এবং পাঞ্জাবের সাধারণ জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। সরকার গান্ধীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এর পরও বিক্ষোভ কমেনি। ধর্মঘটে এবং বিক্ষোভের লক্ষ্য হয়ে দাড়ায় সরকারী দপ্তর এবং যানবাহন। সাদা চামড়ার ইউরোপীয় কর্মকর্তা এবং অধিবাসীদের উপরও ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তাদের উপরও আক্রমণ করা হয়। এপ্রিলের ১৩ তারিখ দুজন রাজনৈতিক নেতাকে অমৃতসর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পটভূমিতেই বলতে হয় হত্যাকাণ্ডের আবহ তৈরি হয়েছিল।
হত্যাকাণ্ড
[সম্পাদনা]হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে ১৪ এপ্রিল, ১৯১৯ তারিখের ডায়ারের নিজের ডেসপ্যাচ অনুসারে ১৩ এপ্রিল ১০০ জন গুর্খা সৈন্য আর ২টি সাজোয়া গাড়ি নিয়ে ডায়ারের নির্দেশে জালিয়ানওয়ালাবাগে ২০০০-এর মত "বিদ্রোহী"কে হতাহত করা হয়েছিল। আর এতে খরচ হয়েছিল ১৬৫০ রাউণ্ড গুলি।এটি একটি মর্মাতিক ঘটনা[২][৩][৪] জালিয়ানওয়ালাবাগের মাঝখানে কুয়োতে পাথর ফেলে কিছু মানুষকে জীবন্ত প্রোথিত করা হয়।
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]জালিয়ানওয়ালাবাগের ভয়ানক ও মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় ব্রিটিশ শাসনের প্রকৃত নগ্ন রূপের প্রকাশ হয়ে পড়ে। বৃটিশ সরকার জেনারেল ডায়ারের কাজকে সমর্থন করে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোটা বিশ্ব শিহরিত হয়। দেশে-বিদেশে সর্বত্র সরকারের নগ্ন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড ঘটনার প্রতিবাদে দেশের সর্বত্র ঘৃণা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, "এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ভারতে যে মহাযুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে দেয় তা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়ে সবার হৃদয়কে আন্দোলিত করে।" জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া "নাইট" উপাধি ত্যাগ করেন। দিল্লির হাকিম আজমল খান তাঁর 'মসিহ-উল-মূলক' উপাধি এবং প্রথম শ্রেণির 'কাইসার-ই-হিন্দ' স্বর্ণ মেডেল ব্রিটিশ সরকারকে ফেরত দেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এই ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করে; কংগ্রেস নেতা সি.এফ.এন্ডুজ এই ঘটনাকে 'কসাইখানার গণহত্যা'র সমতুল্য বলে নিন্দা করেছেন।
ভবিষ্যৎ ফল
[সম্পাদনা]গুজরানওয়ালায় বিক্ষোভ
[সম্পাদনা]দুই দিন পরে, ১৫ এপ্রিল, গুজরানওয়ালায় বিক্ষোভ সংঘটিত হয় অমৃতসরের হত্যা কাণ্ডের প্রতিবাদে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিমান ব্যবহার করা হয়, এর ফলে ১২ জন মারা যায় এবং ২৭ জন আহত হয়। ভারতে রয়েল এয়ার ফোর্স অফিসার কমান্ডিং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এন ডি কে ম্যাকুইন পরে বিবৃতি দিয়েছিলেন:
আমি মনে করি পরের দাঙ্গাগুলিতে বিশেষভাবে গুজরানওয়ালায় বিক্ষোভের সময় আমাদের ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করার কথা উল্লেখযোগ্যভাবে দাবি করতে পারি, যেখানে বিক্ষোভকারীরা বিপদজ্জনক ভাবে তাকিয়ে ছিল এবং বোমা এবং লুইস বন্দুক ব্যবহার করা হয় তাদের বিক্ষোভের উপর।[৫]
স্মৃতিস্তম্ভসমূহ এবং উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কর্তৃক একটি রেজোলিউশন পাস হওয়ার পর ১৯২০ সালে একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্মারক নির্মাণের জন্য। ১৯২৩ সালে ট্রাস্ট এই প্রকল্পের জন্য জমি কিনে নেয়। আমেরিকার স্থপতি বেঞ্জামিন পোলক দ্বারা পরিকল্পিত একটি স্মারক, ওই স্থানে নির্মিত হয়েছিল এবং ১৯৬১ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ উদ্বোধন করেন জওহরলাল নেহেরু ও অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতিতে। পরে একটি শিখা স্থানটিতে যোগ করা হয়েছিল।
বুলেট বা গুলির চিহ্ন দেয়ালের এবং পাশের বাড়ী থেকে আজও দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষ বুলেট থেকে নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টা করে যাচ্ছিল।
শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি গঠনের
[সম্পাদনা]হত্যাকাণ্ডের অল্প কিছুদিন পরে, অমৃতসরের হরমন্দির সাহিব (স্বর্ণমন্দির) সরকারী শিখ সম্প্রদায়ের কর্ণেল ডায়ার শিরোপা (শিখ ধর্মের প্রতি সম্মানিত পরিচয়ের চিহ্ন বা সাধারনত মানবতা) দ্বারা শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্দোলন প্রেরণ করা হয়।[৬] ১২ অক্টোবর, ১৯২০ সালে, মহাশ্বেতা খালসা কলেজের ছাত্র ও অনুষদ মহোদয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে গুরুদ্বার অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে একটি সভা আহ্বান করে। ফলস্বরূপ ১৫ নভেম্বর, ১৯২০ সালে শিখ মন্দিরের সংস্কার ও সংস্কারের জন্য শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির গঠন করা হয়ে ছিল।[৭]
দুঃখ প্রকাশ
[সম্পাদনা]যদিও ১৯৬১ ও ১৯৮৩ সালে তার রাজ্যের পরিদর্শনে রাণী এলিজাবেথ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি, তবুও তিনি ১৩ অক্টোবর ১৯৯৭ সালে ভারতে রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় ঘটনাগুলি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন:[৮]
এটা আমাদের গোপন কিছু বিষয় নয়, এটা অতীতের কিছু জঘন্য ঘটনার কথা - জালিয়ানওয়ালাবাগ, যা আমি আগামীকাল পরিদর্শন করব, এটি একটি দুঃশ্চিন্তার উদাহরণ। কিন্তু ইতিহাস পুনর্বিবেচনা করা যায় না, তবে আমরা কখনও কখনও অন্যথায় উপকৃত হতে পারি। এটা বিষাদের মুহূর্ত, সেইসাথে খুশিও আছে। আমাদের দুঃখ থেকে শিখতে হবে এবং আনন্দে গড়ে তুলতে হবে।[৮]
১৯৯৭ সালের ১৪ অক্টোবর রাণী এলিজাবেথ দ্বিতীয়বার জালিয়ানওয়ালাবাগ পরিদর্শন করেন এবং ৩০-সেকেন্ডের নীরবতার মুহূর্তের সাথে তার সম্মান প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে, তিনি গোলাপী জাফরান বা কেওরা বর্ণের একটি পোশাক পরেন, যা শিখদের ধর্মীয় গুরুত্বের বার্তা ছিল।[৮] স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শনের সময় তিনি তাঁর জুতা খুলে ফেলেছিলেন এবং স্মৃতিস্তম্ভে একটি জয়মাল্য পরিয়ে দিয়েছিলেন।[৮]
যদিও কিছু ভারতীয় বিবৃতিতে দুঃখ ও দুঃখ প্রকাশের জন্য স্বাগত জানায়, অন্যেরা ক্ষমা না চাওয়ার কারণে সমালোচনা করেছিল। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্র কুমার গুজরাল রানীর সম্পর্কে বলেছিলেন যে, রাণী নিজেও ঘটনার সময় জন্মগ্রহণ করেনি এবং তাকে ক্ষমা করার প্রয়োজন নেই।[৮]
মাইকেল ও'ডায়ার খুন
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Jallianwala Bagh Massacre | Causes, History, & Significance"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৩।
- ↑ Siddique 1985, পৃ. 57
- ↑ "PUNJAB DISTURBANCES: THE CASE OF GENERAL DYER. (Hansard, 19 July 1920)"। api.parliament.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৩।
- ↑ Collett, Nigel (২০০৬-১০-১৫)। The Butcher of Amritsar: General Reginald Dyer (ইংরেজি ভাষায়)। A&C Black। পৃষ্ঠা ২৬২। আইএসবিএন 978-1-85285-575-8।
- ↑ "Royal Air Force Power Review" (পিডিএফ)। 1। Spring ২০০৮। ৬ জুন ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১০.
- ↑ Ajit Singh Sarhadi, "Punjabi Suba: The Story of the Struggle", Kapur Printing Press, Delhi, 1970, p. 19.
- ↑ Indian critiques of Gandhi – Google Books। Books.google.com। ২০০৩। আইএসবিএন 978-0-7914-5910-2। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Burns, John F. (১৫ অক্টোবর ১৯৯৭)। "In India, Queen Bows Her Head Over a Massacre in 1919"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]পাদটীকা
[সম্পাদনা]গ্রন্থ ও রচনাপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Siddique, JA (১৯৮৫), Jalianwalabager Hatyakanda, Muktadhara, আইএসবিএন 9841316277