হেমু কালানি
হেমু কালানি | |
---|---|
রাহি হেমন | |
জন্ম | ২৩ মার্চ ১৯২৩ |
মৃত্যু | ২১ জানুয়ারি, ১৯৪৩ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৬৪ সাল পর্যন্ত) ভারত |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী |
রাজনৈতিক দল | অনুশীলন সমিতি |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, |
পিতা-মাতা |
|
অনুশীলন সমিতি |
---|
প্রভাব |
অনুশীলন সমিতি |
উল্লেখযোগ্য ঘটনা |
সম্পর্কিত প্রসঙ্গ |
হেমু কালানি (২৩ মার্চ ১৯২৩ - ২১ জানুয়ারি, ১৯৪৩) একজন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনকারী ও শহীদ।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]হেমু কালানির আসল নাম ছিল রাহি হেমন, যদিও তাকে সকলেই হেমু বলে ডাকতেন। তার জন্ম হয়েছিল সিন্ধু প্রদেশ এর শুক্কুরে (অধুনা পাকিস্তান)। পিতার নাম ছিল ডাঃ পেসুমল কালানি। কাকা মংঘরাম কালানি ছিলেন জাতীয় কংগ্রেস নেতা, মূলত তারই অনুপ্রেরণায় ছাত্রাবস্থায় স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশ গ্রহণ করেন হেমু।[১] শুক্কুরের তিলক হাইস্কুলে পড়াশোনা করতেন। তিনি ও তার বন্ধুরা বিদেশী দ্রব্য বয়কট ও স্বদেশী জিনিসপত্র কেনার দাবীতে সভা সমিতি করতে থাকেন। সারা ভারত ছাত্র সংঘের শাখা 'স্বরাজ সেনা'র প্রধান ছিলেন তিনি।[২]
বিপ্লবী আন্দোলন
[সম্পাদনা]মহাত্মা গাঁধীর ডাকে ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন হেমু। সিন্ধুপ্রদেশে এই আন্দোলন প্রবল সাড়া ফেলে। এর তীব্রতায় আতংকিত হয়ে ব্রিটিশ সরকার ইউরোপিয়ান সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি দলকে পাঠায় তা দমন করতে। হেমু কালানী ও তার সাথীরা এই পরিকল্পনা বানচাল করতে ট্রেনলাইন আটকানোর ব্যবস্থা করেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ অক্টোবর রাতে তারা রেলের ফিশপ্লেট খুলে গাড়ি লাইনচ্যুত করার জন্যে ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের সাথে যদিও ফিশপ্লেট খোলার কোনো যন্ত্র ছিলোনা। এই সময় দুর্ভাগ্যক্রমে হেমু কালানী ধরা পড়েন, তার বাকি সাথীরা পলায়নে সক্ষম হয়। পুলিশ তাকে লক আপে ২২ দিন ধরে নির্মম অত্যাচার করলেও তার সহযোগীদের সম্পর্কে কোনো তথ্যই বের করতে পারেনি।
ফাঁসি
[সম্পাদনা]বিচারে হেমুর ফাঁসির হুকুম হলে তদানীন্তন ভাইসরয়ের কাছে তা মকুবের আবেদন করা হয়। সিন্ধুপ্রদেশের হাজার হাজার মানুষ তার জন্যে মার্সি পিটিশনে সই করেন। কিন্তু হেমু তার সহযোগী বিপ্লবীদের নাম জানাবেন এই শর্তে ফাঁসি মকুব হবে শুনে সেই প্রস্তাব ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। শুক্কুর সেন্ট্রাল জেলে ২১ সে জানুয়ারি, ১৯৪৩ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়েসে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।[১][২]
স্মৃতি
[সম্পাদনা]দেশবিভাগের পর তার পরিবার পাকিস্তান হতে ভারতে চলে আসেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বিপ্লবী হেমু কালানীর মা কে ভাতা ও সম্মাননা প্রদান করেছেন। গুজরাত রাজ্যে তার স্মৃতিতে একাধিক রাস্তা, পার্ক, মর্মরমূর্তি প্রতিষ্ঠিত আছে। তার জন্মস্থান শুক্কুরেও একটি পার্ক তার নামে নামাঙ্কিত ছিল। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেটির নাম পরিবর্তিত হয়ে বর্তমানে তা কাসিম পার্ক বা লুকাস পার্ক নামে বিরাজমান।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Shaikh Israr (২১ জানুয়ারি ২০১৩)। "A freedom fighter lost in the pages of history"। The Express Tribune, Pakistan। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ "HEMU KALANI : THE BHAGAT SINGH OF SINDH"। sindhishaan। ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ১৯২৩-এ জন্ম
- ১৯৪৩-এ মৃত্যু
- ফাঁসিতে মৃত্যু
- মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ভারতীয় ব্যক্তি
- ব্রিটিশ ভারত দ্বারা ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
- সিন্ধি ব্যক্তি
- অনুশীলন সমিতি
- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিপ্লবী
- ২০শ শতাব্দীতে যুক্তরাজ্য দ্বারা মৃত্যুদণ্ড
- ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী
- ভারতীয় স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন
- ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন কর্মী
- ভারতীয় বিপ্লবী