৫ ফুট ৬ ইঞ্চি গেজ রেলপথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

৫ ফুট ৬ ইঞ্চি / ১,৬৭৬ মিলিমিটার হচ্ছে এক ধরনের ব্রড গেজ রেলপথ। এটি ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আর্জেন্টিনা, চিলি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো উপকূলীয় অঞ্চলে বার্ট (বে এরিয়া র‌্যাপিড ট্রানজিট)-এ ব্যবহৃত হয়।

উত্তর আমেরিকাতে একে প্রাদেশিক, পোর্টল্যান্ড বা টেক্সাস গেজ বলা হয়। আর্জেন্টিনায়, এটি "trocha ancha" (ব্রড গেজের স্প্যানিশ শব্দ) নামে পরিচিত। ভারতীয় উপমহাদেশে এটি কেবল "ব্রড গেজ" নামে পরিচিত। অন্য কোথাও এটি ভারতীয় গেজ হিসাবে পরিচিত। এটি বিশ্বের যে কোনো জায়গায় নিয়মিত যাত্রীদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে চওড়া গেজ।

এশিয়া[সম্পাদনা]

ভারত[সম্পাদনা]

ভারতে প্রাথমিক মালবাহী রেলপথগুলো আদর্শ-গেজ ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল। ১৮৫০-এর দশকে গ্রেট ইন্ডিয়ান উপদ্বীপ রেলপথ বোরি বন্দর এবং থানের মধ্যে ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী রেলপথের জন্য ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) এর গেজ গ্রহণ করেছিল।[১] পরবর্তীতে এটি দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের জন্য আদর্শ মান হিসাবে গৃহীত হয়েছিল।

ভারতীয় রেল আজ প্রধানত ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রড গেজ ট্র্যাক পরিচালনা করে যা ১,২০,০০০ কিমি (৭৫,০০০ মা) এরও অধিক। বেশিরভাগ মিটার গেজ এবং ন্যারো গেজ রেলপথ ব্রড গেজে রূপান্তরিত হয়েছে। নেটওয়ার্কের মধ্যে যা ছোট ছোট প্রসারের মিটার ও ন্যারো গেজের মধ্যে ছিল, সেগুলিও ব্রড গেজে রূপান্তরিত হচ্ছে। দ্রুত গণপরিবহনের রেলপথগুলো বেশিরভাগই আদর্শ গেজের, যদিও কিছু প্রাথমিক লাইন ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্যবহার করে।

বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ রেলওয়ে ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রড গেজ এবং মিটার গেজের মিশ্রণ ব্যবহার করে। ব্রড গেজ নেটওয়ার্ক মূলত যমুনা নদীর পশ্চিমে অবস্থিত, এবং মিটার গেজ নেটওয়ার্কটি মূলত এর পূর্বে অবস্থিত। যমুনা সেতু একটি মিশ্র-ব্যবহারের সেতু যা উভয় নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে নদীর ওপারে একটি দ্বৈত গেজ সংযোগযুক্ত।

নেপাল[সম্পাদনা]

নেপালে সমস্ত পরিষেবা বর্তমানে ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রড গেজে কাজ করে।

পাকিস্তান[সম্পাদনা]

পাকিস্তানে সমস্ত পরিষেবা বর্তমানে ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রড গেজে কাজ করে।

শ্রীলঙ্কা[সম্পাদনা]

শ্রীলঙ্কায় সমস্ত পরিষেবা বর্তমানে ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রড গেজে কাজ করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]