তেলিয়াপাড়া চা বাগান
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/6/65/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%9A%E0%A6%BE_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8.jpg/269px-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%9A%E0%A6%BE_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8.jpg)
তেলিয়াপাড়া চা বাগান বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক চা বাগান।[১][২]
অবস্থান ও বর্ণনা[সম্পাদনা]
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বা তেলিয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলো অভ্যন্তরে রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত এই নৈসর্গিক চা বাগানের। চা বাগানের মাঝে পিচঢালা আঁকাবাঁকা রাস্তা। কিছু সমতল ও কিছু টিলাময় চা বাগান।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4f/The_Historic_Teliapara_Conference.jpg/275px-The_Historic_Teliapara_Conference.jpg)
ইতিহাস[সম্পাদনা]
মহান মুক্তিযুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলাধীন তেলিয়াপাড়ার একটি বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। এখান থেকেই যেমন মুক্তিবাহিনী গঠন, মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা ও রাজনৈতিক সরকার গঠনের প্রস্তাব তথা মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রথম পাঠের অনুশীলন হয় তেমনি এখানে সংগঠিত হয়েছে বহু সম্মুখ সমর।[৩][৪][৫] তেলিয়াপাড়া চা বাগানের বাংলোতে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি মেজর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানি ৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে প্রাথমিকভাবে সমগ্র দেশকে ৪টি সেক্টরে ভাগ করেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষীস্বরূপ এখানে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ।[১][২][৬][৭][৮]
ভূপ্রকৃতি[সম্পাদনা]
চা বাগানের বুক ভেদ করে চলে গেছে দৃষ্টিনন্দন সড়ক। বাগানে হাঁটলেই চোখে পড়বে কমলা, কাঁঠাল ও সুপারি বাগান। এছাড়া ট্যাং ফল, আগর, রাবার, চন্দনসহ অনেক ওষুধি-শোভাবর্ধক বৃক্ষ রয়েছে বাগানটিতে।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "তেলিয়াপাড়া চা বাগান সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, মাধবপুর"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১১ আগস্ট ২০১৯। ১১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "তেলিয়া পাড়ার চা বাগানে"। সংগ্রামের নোটবুক। ১১ আগস্ট ২০১৯। ১১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "তেলিয়াপাড়ার ঐতিহাসিক শপথ"। Risingbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১১।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন বিভক্ত হয় ১১ সেক্টরে"। www.jaijaidinbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১১।
- ↑ ডেস্ক, ইনকিলাব। "মাধবপুরে ১৯ বস্তা ভারতীয় চা পাতা জব্দ"। DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১১।
- ↑ BanglaNews24.com। "তেলিয়াপাড়া: ইতিহাস-প্রকৃতির মাখামাখি"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১১।
- ↑ "ফিরে দেখা ॥ ইতিহাস ও তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজারস বাংলো || চতুরঙ্গ"। জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "তেলিয়াপাড়া চা বাগানে শুরু হয় মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]