গোবিন্দচরণ কর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোবিন্দচরণ কর
জন্ম
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৬৪ সাল পর্যন্ত)
 ভারত
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
রাজনৈতিক দলঅনুশীলন সমিতি
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন,

গোবিন্দচরণ কর (ইংরেজি: Govindacharan Kar) (বিংশ শতাব্দী) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। তিনি ছাত্রাবস্থায় বিপ্লবী দলে যোগ দেন। তার জন্ম বাংলাদেশের ঢাকায়প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি আত্মগোপন করেন।[১]

সিরাজগঞ্জ খণ্ডযুদ্ধ[সম্পাদনা]

পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার তেলিজনা গ্রামে পলাতক বিপ্লবীদের একটি আশ্রয়-কেন্দ্রের সংবাদ পেয়ে তিনজন শ্বেতাঙ্গ পুলিস অফিসার সেই বাড়ি ঘেরাও করে। সেই বাড়িতে অনুশীলন সমিতির নিকুঞ্জ পাল এবং গোবিন্দচরণ কর ছিলেন। উভয় পক্ষে গুলি চলিতে থাকে এবং উভয় পক্ষেই আহত হয়। গোবিন্দচরণ করের দেহে সাতটি গুলিবিদ্ধ হয় এবং নিকুঞ্জ পাল আহত হয়েছিলেন। গোবিন্দচরণ কর পুলিসের কাছে ধরা পড়েন এবং নিকুঞ্জ পাল পাট ক্ষেতের ভিতর দিয়ে পালাতে সক্ষম হন।[২]

সিরাজগঞ্জ খণ্ডযুদ্ধের মামলায় সাজা ও মুক্তি[সম্পাদনা]

সিরাজগঞ্জ খণ্ডযুদ্ধের মামলায় গোবিন্দচরণ করের ৮ বছর দ্বীপান্তর দণ্ড হয়। তার বুকের ও হাতের মধ্যে প্রবিষ্ট গুলি বের না করেই তাকে আন্দামান সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ১৯২০ সনে মুক্তি পান এবং পুনরায় বিপ্লবী কর্মে লিপ্ত হন। যোগেষ চ্যাটার্জি গ্রেপ্তার হবার পর ১৯২৫ সনে বাংলা ও উত্তরপ্রদেশে যোগাযোগ রাখার জন্য দলের নির্দেশে উত্তরপ্রদেশে আসেন। কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি ধরা পড়েন এবং বিচারে ১০ বছরের দ্বীপান্তরিত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। মুক্তিলাভের পর কলকাতায় বাস করছিলেন। এসময় ঢাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আরম্ভ হলে বিমানযোগে ঢাকা যাত্রা করেন। বিমানটি সেখানে অবতরণমাত্র তিনি আক্রান্ত হন। মোট ২২টি ছুরিকাঘাত হলেও কোনোরকমে তখনকার মতো প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। কয়েক বছরের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২০১, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৭৩।