কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস বধ্যভূমি
কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস বধ্যভূমি কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত একটি বধ্যভূমি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি অন্যতম ঘাঁটি ছিল।[১][২]
অবস্থান[সম্পাদনা]
বধ্যভূমিটি কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইসনে অবস্থিত।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে যশোরথেকে মেজর শোয়েব-এর নেতৃত্বে ২৭ বালচু রেজিমেন্ট-এর প্রায় দুইশ পাকিস্তানি সৈন্য এসে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস ও আড়য়াপড়ায় ওয়ারলের্স কার্যালয়ে ঘাটি স্থাপন করে।[২]
পাক-সেনারা বিহারী ও রাজাকারদের সহায়তায় সন্দেহভাজন বাঙালিদের কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে ধরে নিয়ে আসতো। ধরে এনে তাদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালাত। পা ঝুলিয়ে প্রহার করা হতো, হাত-পায়ের আঙুলে আলপিন ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। যাঁদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, তাদেরকে রাজাকার ও বিহারীদের কাছে হস্তান্তর করত। এসব মানুষকে নিয়ে যাওয়া হতো পার্শ্ববর্তী রেললাইনের নির্জন স্থানে। তারপর তারা গুলি চালিয়ে, জবাই করে হত্যা করতো।[১]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ আবু সাঈদ (২০১৯-১২-২১)। "একাত্তরে কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরে পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যা ছিল ভয়াবহ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৯।
- ↑ ক খ ইমাম মেহেদী, গণমাধ্যমকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক। "মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স"। চাতাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৯।