ইব্রাহিম বালিয়াভি
মাওলানা শায়খুল মাকুলাত ওয়াল মানকুলাত ইব্রাহিম বালিয়াভি | |
---|---|
ابراہیم بلیاوی | |
অধ্যক্ষ, দারুল উলুম দেওবন্দ | |
অফিসে ১৯৫৭ – ১৯৬৭ | |
পূর্বসূরী | হুসাইন আহমদ মাদানি |
ব্যক্তিগত | |
জন্ম | ১৮৮৬ ইং বালিয়া, উত্তরপ্রদেশ, ভারত |
মৃত্যু | ২৭ ডিসেম্বর ১৯৬৭ | (বয়স ৮০–৮১)
সমাধিস্থল | মাজারে কাসেমি |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | হাদিস |
যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
শিক্ষক | মাহমুদ হাসান দেওবন্দি |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
![]() |
মুহাম্মদ ইব্রাহিম বালিয়াভি (১৮৮৬ – ২৭ ডিসেম্বর ১৯৬৭) ছিলেন একজন ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত এবং যুক্তিবিদ্যা ও দর্শনের শিক্ষক।[১] যিনি প্রায় ৬০ বছর হাদিসের শিক্ষকতা করেছিলেন। তিনি মাহমুদ হাসান দেওবন্দির ছাত্র ছিলেন। হুসাইন আহমদ মাদানির মৃত্যুর পর তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। তার শিষ্যের সংখ্যা সহস্রাধিক।
জীবনী[সম্পাদনা]
ইব্রাহিম বালিয়াভি ১৮৮৬ সালে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার পাঞ্জাবের ঝং জেলা থেকে জৌনপুরে এসেছিল এবং কিছুকাল পরে বালিয়াতে বসতি স্থাপন করেছিল। জৌনপুরে তিনি হাকিম জামিলুদ্দিনের কাছ থেকে ফার্সি ও আরবি ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেন এবং ফারুক আহমেদ চিরিয়াকোটি এবং হেদায়েতুল্লাহ খানের কাছে যুক্তিবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির শিষ্য আব্দুল গাফফারের কাছে তিনি ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন। ১৯০৭ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন এবং ১৯০৯ সালে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন।[২]
১৯০৯ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। এর মধ্যে রয়েছে: মাদ্রাসায়ে আলিয়া ফতেহপুর, দারুল উলুম দেওবন্দ, দারুল উলুম মৌ, মাদ্রাসায়ে ইমদাদিয়া বিহার, জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুদ্দিন ডাভেল এবং দারুল উলুম হাটহাজারী। তবে তার অধ্যাপনার বেশিরভাগ সময়ই দারুল উলুম দেওবন্দে অতিবাহিত হয়। হুসাইন আহমদ মাদানির মৃত্যুর পর তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। তার শিষ্যের সংখ্যা সহস্রাধিক।[২]
১৯৬৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে মাজারে কাসেমিতে দাফন করা হয়।[২]
প্রকাশনা[সম্পাদনা]
তার রচনার মধ্যে রয়েছে: উর্দুতে রিসালায়ে মুসাফাহা এবং রিসালায়ে তারাবীহ এবং ফার্সিতে যুক্তি ও দর্শনের উপর আনোয়ারুল হিকমত। আরবিতে সাল্লামুল উলুমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ জিয়ায়ুন নুজুম। তিনি মেবাজী ও খেয়ালির উপরও ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেছিলেন কিন্তু সেগুলো হারিয়ে গেছে। তিনি সুনান আত-তিরমিজীর একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ রচনায় হাত দিয়েছিলেন কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ করতে পারেননি।[৩]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]
- ↑ The Islamic Law, Marriage, Divorce, Inheritance: The Article-wise Arrangement and Compilation of the Islamic Law with Authentic References and Necessary Explanations from the Qur'an, Hadith and Fiqh (ইংরেজি ভাষায়)। Darus Salam Islamic Centre। ২০০০। পৃষ্ঠা ২২।
- ↑ ক খ গ রিজভী, সৈয়দ মেহবুব (১৯৯২)। তারীখে দারুল উলুম দেওবন্দ [দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস] (উর্দু ভাষায়)। ২ খণ্ড। দেওবন্দ, উত্তরপ্রদেশ , ভারত: ইদারায়ে ইহতেমাম, দারুল উলুম। পৃষ্ঠা ৭২। ওসিএলসি 20222197।
- ↑ "দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিস"। দারুল উলুম দেওবন্দ। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২১।
গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]
- বাবুনগরী, জুনায়েদ (২০০৩)। দারুল উলুম হাটহাজারীর কতিপয় উজ্জ্বল নক্ষত্র (১ম সংস্করণ)। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: বুখারী একাডেমি। পৃষ্ঠা ১৫–১৬।
- জাফিরুদ্দিন, মুহাম্মদ (১৯৮০)। মাশাহিরে উলামায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ। দারুল উলুম দেওবন্দ। পৃষ্ঠা ৭০–৭২।
- মাযহারুল ইসলাম ওসমান কাসেমী, মুফতী (২০১৫)। বিখ্যাত ১০০ ওলামা-মাশায়েখের ছাত্রজীবন (৩য় সংস্করণ)। ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা: বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ৮৩–৮৪। আইএসবিএন 98483916605।