আব্দুল খালেক সাম্ভলী
আব্দুল খালেক সাম্ভলী | |
---|---|
নায়েবে মুহতামিম, দারুল উলুম দেওবন্দ | |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ৩০ জুলাই ২০২১ | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | সাম্ভল, ভারত | ৪ জানুয়ারি ১৯৫০
মৃত্যু | ৩০ জুলাই ২০২১ মজঃফরনগর, ভারত | (বয়স ৭১)
ধর্ম | ইসলাম |
যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
শিক্ষক | |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
শিক্ষার্থী |
আব্দুল খালেক সাম্ভলী (৪ জানুয়ারি ১৯৫০ – ৩০ জুলাই ২০২১) ছিলেন একজন ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও সাহিত্যিক। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন এবং তার শিক্ষকদের মধ্যে মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী, মুহাম্মদ তৈয়ব কাসেমি ও সৈয়দ ফখরুদ্দিন আহমদ অন্যতম। তিনি আব্দুল মাজিদ আল-জিনদানির আত তাওহীদ গ্রন্থটি উর্দুতে অনুবাদ করেন। মুহাম্মদ নাজিব কাসেমি তার ছাত্র।
জীবনী
[সম্পাদনা]আব্দুল খালেক ১৯৫০ সালের ৪ জানুয়ারি সাম্ভলে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি সাম্ভলের মাদ্রাসা খায়রুল মাদারিস এবং মাদ্রাসা শামসুল উলুমে পড়াশোনা করেছেন। তিনি হাফিজ ফরিদুদ্দিনের তত্ত্বাবধানে কুরআন মুখস্থ করেন।[২] ১৯৬৮ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন[১] এবং ১৯৭২ সালে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতক) সমাপ্ত করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে আরবি সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।[৩] তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দ ফখরুদ্দিন আহমদ, মুহাম্মদ তৈয়ব কাসেমি এবং মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী।[২]
তিনি ১৯৭৩ সালে হাপুরের মাদ্রাসা খাদিমুল ইসলামে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ১৯৭৯ সালে মোরাদাবাদের মাদ্রাসা জামিয়ুল হুদায় চলে যান।[৩] ১৯৮২ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষক নিযুক্ত হন।[১] ২০০৮ সালে তিনি মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম হিসেবে পদোন্নতি পান।[৩] তিনি আরবি ও উর্দু ভাষার একজন সাহিত্যিক ছিলেন এবং দেওবন্দে সুনানে ইবনে মাজাহ সহ হাদিসের পাঠ দিয়েছেন।[৪][৫] দেওয়ানে মুতান্নবির কবিতাগুলো নিয়ে তার দেওয়া বক্তৃতা সমূহ জনপ্রিয় হয়েছিল।[৫] তার ছাত্রদের মধ্যে মুহাম্মদ নাজিব কাসেমি অন্যতম।[৬]
তালেবানদের নারীদের স্কুল বন্ধ করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ২০০৯ সালের মে মাসে ডেকান হেরাল্ডকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমরা নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে নই, আমরা সহশিক্ষার বিরুদ্ধে।’[৭] মুসলিম নারী (বিয়ে সংক্রান্ত অধিকার সুরক্ষা) বিল, ২০১৭ সম্পর্কে তিনি বলেন, শরিয়তের আদেশ পরিবর্তনের ক্ষমতা কারও নেই।[৮] তিনি আব্দুল মাজিদ আল-জিনদানির বই আত তাওহীদ উর্দুতে অনুবাদ করেছেন।[৩] মওদুদীবাদের সমালোচনা নিয়ে তার বক্তৃতা সমূহ বেশ কয়েকটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।[৩]
২০২১ সালের ৩০ জুলাই মজঃফরনগরে তার মৃত্যু হয়।[৬] দেওবন্দের মাজারে কাসেমিতে তাকে সমাহিত করা হয়।[৪] আবুল কাসেম নোমানী, আরশাদ মাদানি, মাহমুদ মাদানি, মুহাম্মদ সুফিয়ান কাসেমি প্রমুখ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।[৯]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "দারুল উলুম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম আব্দুল খালেক সাম্ভলী ইন্তেকাল করেছেন"। বাছিরাত অনলাইন। ৩০ জুলাই ২০২১।
- ↑ ক খ "দারুল উলুম দেওবন্দের মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল খালেক সাম্ভলী দীর্ঘ অসুস্থতার পর ইন্তেকাল করেছেন"। মিল্লাত টাইমস (উর্দু ভাষায়)। ৩০ জুলাই ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ কাসেমি ২০২০, পৃ. ৬৮৯।
- ↑ ক খ "দারুল উলুম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেক সাম্ভলী ইন্তেকাল করেছেন"। রোজনামা খবরীন (উর্দু ভাষায়)। ৩০ জুলাই ২০২১।
- ↑ ক খ তালহা, মুহাম্মদ আবু (৩১ জুলাই ২০২১)। "খোদা ইয়াদ আয়ে জিনহে দেখ কার: মুহতারাম মাওলানা আব্দুল খালেক সাম্ভলী"। কিন্দেল অনলাইন।
- ↑ ক খ "দারুল উলুম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম মারা গেছেন"। দি চেনাব টাইমস। ৩০ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১।
- ↑ "মুসলিম পলিটিশিয়ানস হেভ লস্ট বন্ড উইথ দি কমিউনিটি"। ডেকান হেরাল্ড (সাক্ষাৎকার)। ১৪ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২১।
- ↑ শার্মা, সোয়াতি (২২ আগস্ট ২০১৭)। "আমরা 'তিন তলাক' ইস্যুতে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের পাশে আছি: দারুল উলুম দেওবন্দ"। দি স্টেটমেন্টস। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২১।
- ↑ ভাট, প্রেম দত্ত (৩০ জুলাই ২০২১)। "দারুল উলুমের নায়েব মোহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেক সাম্ভলী মারা গেছেন"। জাগরণ (হিন্দি ভাষায়)।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- কাসেমি, মুহাম্মদুল্লাহ (২০২০)। দারুল উলুম দেওবন্দ কি জামি ওয়া মুখতাসার তারিখ। দেওবন্দ, ভারত: শায়খুল হিন্দ একাডেমি।
- কাসেমী, সলিমুদ্দিন মাহদি। "আল্লামা আবদুল খালেক সাম্ভলী (রহ:) জীবন ও কর্ম"। মাসিক আত তাওহীদ। আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া। ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- হযরত মাওলানা আব্দুল খালেক সাম্ভলী: ১৯৫০–২০২১ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে