আব্দুল মোমিন ইমামবাড়ি
আব্দুল মোমিন ইমামবাড়ি | |
---|---|
আমীর, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ | |
কাজের মেয়াদ ২০০৫ – ২০২০ | |
পূর্বসূরী | আশরাফ আলী বিশ্বনাথী |
উত্তরসূরী | জিয়া উদ্দিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৩০ নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট |
মৃত্যু | ৮ এপ্রিল ২০২০ | (বয়স ৮৯–৯০)
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
রাজনৈতিক দল | জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | রাজনীতি |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
এর শিষ্য | হুসাইন আহমদ মাদানি |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
আব্দুল মোমিন ইমামবাড়ি (১৯৩০ – ৮ এপ্রিল ২০২০) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি ছিলেন। আধ্যাত্মিক জীবনে তিনি হুসাইন আহমদ মাদানির খলিফা।[১][২][৩]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]আব্দুল মোমিন ১৯৩০ সালে সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ও মাতা গুলবাহার বিবি। তিনি জামেয়া সাদিয়া রায়ধর ও ইমামবাড়ী মাদ্রাসায় পড়ার পর দারুল উলুম দেওবন্দ গমন করেন। সেখানে ৬ বছর অধ্যায়ন করে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন। দেওবন্দে তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন: হুসাইন আহমদ মাদানি, ইব্রাহিম বালিয়াভি, সৈয়দ ফখরুল হাসান, মেরাজুল হক। তিনি ছাত্রজীবনে হুসাইন আহমদ মাদানির কাছে বাইয়াত গ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি খেলাফত লাভ করেন। তার শিষ্যদের মধ্যে মুহিউদ্দীন খান অন্যতম।[৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]তিনি কর্মজীবনে ইমামবাড়ী মাদ্রাসায় ৮ বছর, দিনারপুর বালিধারা মাদ্রাসায় ১ বছর, হবিগঞ্জের উমেদনগর টাইটেল মাদ্রাসায় ২ বছর, বিশ্বনাথের জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় ২ বছর শিক্ষকতা করেন। তিনি জামিয়া মাদানিয়া নবীগঞ্জে ৪ বছর মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ইমামবাড়ী মাদ্রাসায় পুনরায় যোগদান করে ক্রমান্বয়ে শিক্ষাসচিব, মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস পদে ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় শায়খুল হাদিস হিসেবে ১ বছর এবং ২০১২ সাল থেকে আমৃত্যু জামিয়া দারুল কুরআন সিলেটের প্রধান শায়খুল হাদিস ছিলেন।[৪]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]ছাত্র জীবনে তিনি জমিয়তে তুলাবায়ে আরাবিয়ার সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম হবিগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালের ২৪ জুন তিনি জমিয়তের পৃষ্ঠপোষক নির্বাচিত হন। আশরাফ আলী বিশ্বনাথীর মৃত্যুর পর তিনি জমিয়তের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন।[৪]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ উল্লাহ, মুহাম্মদ আহসান (২০২১)। বাংলা ভাষায় হাদিস চর্চা (১৯৫২-২০১৫) (পিএইচডি)। বাংলাদেশ: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৪২৩–৪২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "জমিয়তের আমীর শায়খ আব্দুল মুমিন মারা গেছেন"। ভোরের কাগজ। ৮ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "বিদায়ী বছরে চিরবিদায়ী আলেমরা"। সময় টিভি। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ নগরী, রুহুল আমীন (৯ এপ্রিল ২০২০)। "আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী আলোকিত জীবনী"। দৈনিক সিলেটের দিনকাল। ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২২।
- দেওবন্দি ব্যক্তি
- ১৯৩০-এ জন্ম
- ২০২০-এ মৃত্যু
- সিলেট জেলার ব্যক্তি
- দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- সুন্নি ইসলামের পণ্ডিত
- হানাফি ফিকহ পণ্ডিত
- ২০শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত
- ইসলামি ব্যক্তিত্ব
- সিলেট বিভাগের ইসলামি ব্যক্তিত্ব
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ
- হুসাইন আহমদ মাদানির শিষ্য
- ২০শ শতাব্দীর বাঙালি
- ২১শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত
- ২১শ শতাব্দীর বাঙালি
- বাংলাদেশী সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত
- বাঙালি আলেম