এ এস এম এ খালেক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এ এস এম এ খালেক
মৃত্যু১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর প্রতীক

এ এস এম এ খালেক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতান প্রদান করে। [১][২]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

এ এস এম এ খালেকের জন্ম পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার শিয়ালকাঠিতে। তার বাবার নাম মো. সোনাম উদ্দীন। স্ত্রীর নাম রমিজা খালেক। তার দুই ছেলে ও চার মেয়ে।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে এ এস এম এ খালেক বৈমানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসে (পিআইএ)।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

সেপ্টেম্বরে মুক্তিবাহিনীর নিজস্ব বিমান উইং গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলে এ এস এম এ খালেককে তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভারত সরকার মুক্তিবাহিনীকে তিনটি বিমান দেয়। এর একটি ছিল ডিসি-৩ বা ডাকোটা। এই বিমানের জন্য নির্বাচিত হন এ এস এম এ খালেক, আবদুস সাত্তার (বীর প্রতীক) এবং আবদুল মুকিত (বীর প্রতীক)। কিলোফ্লাইট নামের অন্তরালে মুক্তিবাহিনীর বিমান উইংয়ের জন্মলগ্নে যে নয়জন বৈমানিক অন্তর্ভুক্ত হন, তাঁদের ছয়জনই ছিলেন বেসামরিক বৈমানিক। বিমান চালনার অভিজ্ঞতা থাকলেও তাঁদের বিমানের সাহায্যে যুদ্ধ করার বা বিমান থেকে বোমা ফেলার কায়দাকানুন জানা ছিল না। সে জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। প্রশিক্ষণ শেষে এ এস এম এ আবদুল খালেক অপেক্ষা করতে থাকেন অভিযানে যাওয়ার। সিদ্ধান্ত হয়, ডাকোটা বিমান নিয়ে এ এস এম এ খালেকরা ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে আক্রমণ চালাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে অভিযান তারা করতে পারেননি। পরে ওই বিমান ব্যবহূত হয় দুর্গম ঘাঁটিতে চলাচলে বা সরঞ্জামাদি পরিবহনে। দক্ষতার সঙ্গে তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ০২-০৪-২০১২[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 9789843351449 

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]