বেড়া উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ |
অ স্থানাঙ্ক সংশোধন |
||
৮ নং লাইন: | ৮ নং লাইন: | ||
|চিত্র_মানচিত্র = |
|চিত্র_মানচিত্র = |
||
|মানচিত্রের_স্তরের_অবস্থান = |
|মানচিত্রের_স্তরের_অবস্থান = |
||
|স্থানাঙ্ক ={{স্থানাঙ্ক|24.4|N|89.37|E|region:BD|display=inline,title}} |
|||
|অক্ষাংশ_ডি = 24.4 |অক্ষাংশ_মি = |অক্ষাংশ_সে = |
|||
|দ্রাঘিমাংশ_ডি = 89.37 |দ্রাঘিমাংশ_মি = |দ্রাঘিমাংশ_সে = |
|||
|স্থানাঙ্ক_পাদটীকা = |
|স্থানাঙ্ক_পাদটীকা = |
||
|বিভাগ = রাজশাহী বিভাগ |
|বিভাগ = রাজশাহী বিভাগ |
||
৮৪ নং লাইন: | ৮৩ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:বেড়া উপজেলা]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বেড়া উপজেলা]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:পাবনা জেলার উপজেলা]] |
[[বিষয়শ্রেণী:পাবনা জেলার উপজেলা]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বেড়া উপজেলা]] |
২২:০০, ২৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বেড়া উপজেলা | |
---|---|
উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩′৫৩″ উত্তর ৮৯°৩৭′৪০″ পূর্ব / ২৪.০৬৪৭২° উত্তর ৮৯.৬২৭৭৮° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | পাবনা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৪৮.৬০ বর্গকিমি (৯৫.৯৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[১] | |
• মোট | ২,৩১,৪৩০ |
• জনঘনত্ব | ৯৩০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫০ ৭৬ ১৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
বেড়া বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।[২]
অবস্থান
বেড়া উপজেলার উত্তরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা ও চৌহালি উপজেলা, দক্ষিণে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা এবং রাজবাড়ী সদর উপজেলা, পূর্বে সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলা (মানিকগঞ্জ)|দৌলতপুর উপজেলা ও শিবালয় উপজেলা এবং পশ্চিমে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলা ও সাঁথিয়া উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
বেড়া উপজেলায় একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন রয়েছে। বেড়া পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। এছাড়া ইউনিয়নগুলি হচ্ছে-হাটুরিয়া-নাকালিয়া, কৈটোলা, চাকলা, নতুন ভারেঙ্গা, পুরান ভারেঙ্গা, জাতসাখিনী, রুপপুর, মাসুমদিয়া, ঢালারচর। বেড়া উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, যমুনা নদী এবং পদ্মা নদী ঘিরে রেখেছে এই উপজেলাটিকে। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, বর্তমান বেড়া থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বেদিকে যমুনা নদীর উপকূলীয় এলাকায় সাধুগঞ্জ নামে একটি নদীবন্দর ছিল। ব্রিটিশ শাসনের প্রথমদিকে সাধুগঞ্জের নিকটে মথুরা’য় ছিল একটি প্রশাসনিক থানা। তখন বেড়া ছিল একটি চরভূমি। প্রমত্ত যমুনার প্রচন্ড স্রোতে সাধুগঞ্জ এবং মথুরা নদীভাঙনের শিকার হলে থানাটিকে তখন বেড়া’য় স্থানান্তর করা হয়।কারণ প্রচন্ড নদীস্রোত, প্রমত্তা ঢেউ আর জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবাই বেড়াকে বেছে নিত। আরো একটি কথা জনশ্রুতি রয়েছে যে, পারস্য দেশের বণিকেরা এদেশে ব্যবসার জন্য এসেছিল। তাদের ভাষায় তারা ‘বেহড়া’ উচ্চারণ করত- যার বাংলা শব্দার্থ ‘নিরাপদ বন্দর’। তাদের উচ্চারণ অপভ্রংশ হয়ে ‘বেড়া’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বেড়া থানাটি ব্রিটিশ শাসক ওয়ারেন হেস্টিংস এর আমলে ১৮২৮ সালে শুধুমাত্র জলদস্যুদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীকালে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অধিক দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে মান উন্নীত করে বেড়া সার্কেল প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৬০ সালে। পরবর্তীতে প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় বেড়া থানাতে উপজেলায় উন্নীত হয় ১৫এপ্রিল ১৯৮৩ সালে।
ইতিহাস
জনশ্রুতি আছে যে, আরবী ‘‘বেড়ুহা’’ শব্দের অপভ্রংশ হচ্ছে ‘বেড়া’। এর পূর্বনাম ছিলো শম্ভুপুর। খ্রীস্ট জন্মের পূর্ব হতে উত্তরবঙ্গের নদনদীর সঙ্গমস্থল হিসেবে শম্ভুপুর ব্যাপক পরিচিত ছিল। এই শম্ভুপুরে তাই গড়ে উঠেছিল জনবসতি। নৌপথে জলদস্যুদের আক্রমণ আর প্রমত্তা নদীর উত্তাল স্রোত পেরিয়ে বেড়ার নিকটবর্তী হলেই তারা নিজেদের নিরাপদ ভাবতো। একারণে বেড়া নিরাপদ পোতাশ্রয়ের উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। যতদূর জানা যায় ৮০০ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে আরব বণিকেরা বেড়াতে তাদের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তোলে। আবার সুলতানী শাসনামলে একবার আরবদেশে ভয়ঙ্কর এক দুর্ভিক্ষ হয়। সেই দুর্ভিক্ষের সময় এই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করে বেড়া বন্দরের মাধ্যমে আরবদেশে পাঠানো হয়। ইংরেজ শাসনামলে জলদস্যু নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক থানা ‘মথুরা’ যমুনার করালগ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলে ১৮২৮ সালে যমুনার পশ্চিম উপকূলে বেড়া নামক স্থানে পুনঃস্থাপিত হয়। ১৯৬০ সালে বেড়া উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে এর কার্য পরিধি অনেক বেড়ে যায়। ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল বেড়া থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
জনসংখ্যা ২৩১,৪৩০ জন (২০০১ এর শুমারী অনুযায়ী)। পুরুষ ১২০,৬১৫ জন,মহিলা ১১০,৮১৫ জন। ঘনত্বঃ ৯৩১ জন প্রতি বর্গ কিঃমিঃতে।
শিক্ষা
সরকারী/রেজিঃ প্রাথঃ বিদ্যালয় ১০৭ টি। কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০২ টি। কিন্ডারগার্টেন ১৬ টি। এবতেদায়ী মাদ্রাসা ৪ টি। মাধ্যমিক স্কুল ১৮ টি। মাদ্রাসা ৭ টি (আলীম মাদ্রাসাঃ ২টি )। কলেজ ৪ টি। ডিগ্রি কলেজ ২ টি। কারিগরী কলেজ ১ টি। সাক্ষরতার হার ৩৩.৫৪% (পুরুষ ৩৮.০৯%,মহিলা ২৮.০৬% ) । বিশ্ববিদ্যালয় ১ টি ।
অর্থনীতি
কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব
- মোহিতমোহন মৈত্র (? - ২৮ মে, ১৯৩৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
- অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ, বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম প্রনেতা এবং বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে প্রথম এইসডী লাভ করেন ।
নদীসমূহ
বেড়া উপজেলায় ৫টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে গঙ্গা নদী, ইছামতি নদী, যমুনা নদী, বাদাই নদী এবং হুরাসাগর নদী।[৩]
দর্শনীয় স্থান
হুরাসাগর নদী তীরে বেড়া পোর্ট, কৈটোলা পাম্প হাউজ, বেড়া পাম্প হাউজ, বেড়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজ, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে বেড়া"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Population Census Wing, BBS."। ২০০৫-০৩-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১০, ২০০৬।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০২, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
বহিঃসংযোগ
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |