বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আইএটিএ: বিবিআই, আইসিএও: ভিইবিএস), ভারতীয় রাজ্য ওড়িশার রাজধানী শহর ভুবনেশ্বরে অবস্থিত। এটি ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর নামেও পরিচিত।[৪] এটি ওড়িশা রাজ্যের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়েকের নামে নামকরণ করা হয়, যিনি একজন বিখ্যাত বিমানচালক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ৫ মার্চ ২০১৩ সালে বিমানবন্দরে একটি নতুন টার্মিনাল (টি ১) উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান মন্ত্রী অজিত সিং। এই টার্মিনাল সমস্ত অন্তর্দেশীয় উড়ারনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যখন অন্য টার্মিনাল (টি ২) আন্তর্জাতিক উড়ান পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।[৫]ভারত সরকার ৩০ অক্টোবর ২০১৩ সালে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বকৃতি প্রদান করেছে।[৬] সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) দ্বারা ভারতের ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলির মধ্যে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে ১৩ তম ব্যস্ত বিমানবন্দরের স্থান পেয়েছে যা আগের বছরের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা ২৩.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমানবন্দরটি ৮৩৬ একর এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে।
টার্মিনাল টি১ এর প্রবেশ এলাকা
টার্মিনাল টি১ এর অপেক্ষা এলাকা
টার্মিনাল টি১ এর বিমান দাঁড়ানোর স্থান
বিজু পাট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমনের এলাকায় মুখোশ
টার্মিনাল ১ বা প্রান্তিক ১ মার্চ ২০১৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। এই নতুন টার্মিনাল প্রতি বছরে ৪ মিলিয়ন যাত্রী দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারবে এবং ₹১৪৫ কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত হয়েছে।[৫][৭] সারা দেশে ৩৫ অ-মেট্রো বিমানবন্দরগুলির উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নতুন টার্মিনালটি তৈরি করা হয়েছে।[৮] টার্মিনাল টি১, মোট ১৮,২৪০ বর্গ মিটার (১৯৬,৩০০ বর্গ ফুট) এলাকায় নির্মিত একটি দ্বিতল ভবন, এছাড়া টার্মিনালে রয়েছে ২ টি এ্যারোবিরেজ, ৪ টি এলিভেটর, বিভিন্ন এসক্লোটার, ১৮ টি চেক-ইন কাউন্টার, ৩ আগমনের আসন সংবহনকারী, একটি স্পা এবং একাধিক অপেক্ষা করার এলাকার। প্রস্থান এবং আগমন লাউঞ্জ ছাড়াও, টি১ টার্মিনালটিতে ভিআইপি লাউঞ্জস, পল হাইটস স্পা লাউঞ্জ, ডাকোটা লাউঞ্জ এবং মেফিয়ার লাউঞ্জ সহ অন্যান্য বেশ কিছু লাউঞ্জ আছে।[৫][৯] টার্মিনাল-১ নিকাশী প্রক্রিয়াকরণ এবং বৃষ্টি জলে ফসল ফলানোর পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিবেশ বান্ধব, সবুজ ভবন নির্মানের মান অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে।
১৫ ই ডিসেম্বর ২০১৪ সালে বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোস্ট গার্ডের এয়ার এনক্লেভের সাথে ৭৪৩ ডর্নিয়ার স্কোয়াড্রনের সাথে কমিশন করেন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাবেক মহাসচিব ভাইস অ্যাডমিরাল অনুরাগ জি থাপলিয়ালক।[১০] কোস্ট গার্ড অঞ্চলের (উত্তরপূর্ব) কার্যনির্বাহী ও প্রশাসনিক কাজ কোস্টগার্ড জেলা নং ৭ (ওড়িশা) কমান্ডারের নিয়ন্ত্রণের অধীনে সম্পর্ন হয়। উপকূলীয় ওড়িশার সমুদ্রপৃষ্ঠের সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি কৌশলগত বিমান চলাচলের ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত এবং সমন্বয়যুক্ত।[১১]