এভারটন উইকস
![]() ১৯৫১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে এভারটন উইকস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এভারটন ডিকোর্সি উইকস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোস | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১ জুলাই ২০২০ ক্রাইস্টচার্চ, বার্বাডোস | (বয়স ৯৫)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ডেভিড মারে (পুত্র) কেন উইকস (কাকাতো ভাই) রিকি হোয়েত (নাতি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৯) | ২১ জানুয়ারি ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩১ মার্চ ১৯৫৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৪-১৯৬৪ | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ এপ্রিল ২০১৫ |
স্যার এভারটন ডিকার্সি উইকস, কেসিএমজি, জিসিএম, ওবিই (ইংরেজি: Everton Weekes; জন্ম: ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৫ - মৃত্যু: ১ জুলাই, ২০২০) বার্বাডোসের সেন্ট মাইকেল এলাকার ওয়েস্টবারিতে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষস্থানীয় ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ফ্রাঙ্ক ওরেল ও ক্লাইড ওয়ালকটের সাথে তিনিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষে অংশগ্রহণ করে বৈশ্বিক ক্রিকেটে একাধিপত্য বিস্তারে সহায়তা করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাসে তারা একত্রে ‘থ্রি-ডব্লিউজ’ নামে খ্যাতি পান।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে এভারটন উইকস মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে লেগ ব্রেক ও উইকেট-রক্ষণে দক্ষ ছিলেন তিনি।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]ইংরেজ ফুটবল দল এভারটন থেকে তার বাবা নামকরণ করেছিলেন।[১] কিন্তু তিনি তার ডিকার্সি নামের উৎস সম্পর্কে অবগত নন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে, তার পরিবার ফরাসী ভাষায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।[১] উইকসের পরিবার গরিব ছিল। ফলে ৮ বছর বয়সেই তার বাবা পরিবার ফেলে রেখে ত্রিনিদাদের তৈলক্ষেত্রে কাজের সন্ধানে চলে যান। এরপর তিনি এগারো বছর পর পরিবারের সাথে মিলিত হয়েছিলেন।[২] পিতার অবর্তমানে উইকস এবং তার বোন মা লেনোর ও এক কাকীর সান্নিধ্যে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন।[২]
সেন্ট লিওনার্ড বয়েজ স্কুলে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি কোন পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হননি। পরবর্তীকালে অবশ্য হোটেল ম্যানেজম্যান্ট বিষয়ে কৃতকার্য হয়েছেন।[৩] এসময় তিনি কেবলমাত্র খেলাধূলাতেই মনোযোগী ছিলেন।[৪] ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল খেলাতেই তার দক্ষতা ছিল। ফুটবলার হিসেবে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেন।[৫]
ক্রিকেট খেলা বিনামূল্যে দেখার লক্ষ্যে বালক অবস্থায় কেনসিংটন ওভালে গ্রাউন্ডসম্যানদেরকে সহায়তা করতেন। সেখানে প্রায়শঃই তিনি পরিবর্তিত ফিল্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন।[৬] এরফলে শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদেরকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ লাভ করেছেন।[৭] ১৩ বছর বয়সে বার্বাডোস ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) ওয়েস্টশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি স্থানীয় পিকউইক ক্রিকেট ক্লাবে খেলার জন্য আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু ঐ ক্লাবে কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড়দেরকেই অন্তর্ভুক্ত করা হতো।[৮]
১৯৩৯ সালে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১৪ বছর বয়সে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। এরফলে তিনি ক্রিকেট খেলায় সফলতার জন্য আরও অনুশীলনের সুযোগ পান।[৯] ১৯৪৩ সালে ল্যান্স-কর্পোরাল পদে বার্বাডোস রেজিম্যান্টে চাকরি করেন।[৮] ১৯৪৭ সালে চাকরি ত্যাগ করেন।[৭] সামরিক বাহিনীতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বিধায় বার্বাডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃতপ্রাপ্ত গ্যারিসন স্পোর্টস ক্লাবে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান।[৮]
থ্রি-ডব্লিউজ
[সম্পাদনা]
বার্বাডোস থেকে ক্লাইড ওয়ালকট ও ফ্রাঙ্ক ওরেলের সাথে ১৯৪৮ সালে একত্রে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে উইকসের। ঐ দেশ থেকে তারা অসাধারণ ব্যাটসম্যান হিসেবে মর্যাদা পান। সকলের বয়সই ১৭ মাসের পার্থক্যে জন্মগ্রহণ করেন ও কেনসিংটন ওভালের ১ মাইলের মধ্যে তারা বসবাস করতেন।[১০] এছাড়াও ওয়ালকট বিশ্বাস করেন যে, তারা সকলেই একই ধাত্রীর হাতে জন্মেছেন।[১১]
১৬ বছর বয়সে দলের অনুশীলনীর সময়ে উইকস ওয়ালকটের সাথে প্রথম স্বাক্ষাৎ করেন।[১২] কোন সফরে যাবার সময় তার একত্রে একই কক্ষে অবস্থান করতেন।[১২] ক্রিকেট খেলার পর শনিবার রাতে ওরেলের সাথে একত্রে নাঁচতেন।[১৩]
১৯৫০ সালে ইংল্যান্ড সফরে ইংরেজ সাংবাদিকগণ তাদেরকে ‘থ্রি-ডব্লিউজ’ নামে নামাঙ্কিত করেন।[১৪] তবে, ওয়ালকট বিশ্বাস করেন যে, তিনজনের মধ্যে উইকসই সেরা ব্যাটসম্যান, ওরেল সেরা অল-রাউন্ডার ও নিজে সেরা উইকেট-রক্ষক ছিলেন।[১৫]
ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতেন। ১৯৬৭ সালে ওরেলের মৃত্যুর পর উইকস তার শবযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।[১৬] ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাভ হিল ক্যাম্পাসে থ্রি-ডব্লিউজ ওভাল তাদের সম্মানে তৈরি করা হয়। এছাড়াও ওভালের বিপরীতে একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।[১৭] ওভালের বাইরে ওরেল ও ওয়ালকটকে সমাধিস্থ করা হয়।[১৮] কিন্তু এখনও উইকস নিজ সমাধির ব্যাপারে কোন ইচ্ছা প্রকাশ করেননি।
'থ্রি ডব্লিউজ' নামে খ্যাত এভারটন উইকস, ফ্রাঙ্ক ওরেল ও ক্লাইড ওয়ালকটের সম্মানার্থে বার্বাডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ কেনসিংটন ওভালের একটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করে।[১৯]
খেলোয়াড়ী জীবন
[সম্পাদনা]![]() |
৯৯.৯৪
|
![]() |
৬০.৯৭
|
![]() |
৬০.৮৩
|
![]() |
৬০.৭৩
|
![]() |
৫৯.২৩
|
![]() |
৫৮.৬৭
|
![]() |
৫৮.৬১
|
![]() |
৫৮.৪৫
|
![]() |
৫৭.৭৮
|
![]() |
৫৬.৯৪
|
![]() |
৫৬.৬৮
|
![]() |
৫৬.৬৭
|
উৎস: ক্রিকইনফো যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে কমপক্ষে ২০ ইনিংস। |
২১ জানুয়ারি, ১৯৪৮ তারিখে ২২ বছর ও ৩২৯ দিন বয়সে কেনসিংটন ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ঐ টেস্টে ১২জন ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল। ক্লাইড ওয়ালকট, রবার্ট ক্রিস্টিয়ানি, উইলফ্রেড ফার্গুসন, বার্কলি গ্যাসকিন, জন গডার্ড ও প্রায়র জোন্স - এ সাতজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবং জিম লেকার, মরিস ট্রেমলেট, ডেনিস ব্রুকস, উইনস্টন প্লেস ও জেরাল্ড স্মিথসন - এ পাঁচজন ইংল্যান্ডের ছিলেন। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে উইকস ৩৫ ও ২৫ রান সংগ্রহ করেছিলন। টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[২০]
পরবর্তী দুই টেস্টে তার অংশগ্রহণ তেমন সুখকর ছিল না।[২১] চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে তাকে বাদ দেয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছিল। কিন্তু জর্জ হ্যাডলি আঘাত পেলে তাকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনা হয়।[২২] শূন্য রানে আউট হওয়া থেকে বেঁচে গিয়ে মহামূল্যবান ১৪১ রান তোলেন। এটি ছিল তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।[২৩] এরফলে ভারত, পাকিস্তান ও সিলন সফরের জন্য তিনি মনোনীত হন।
ভারত গমন, ১৯৪৮
[সম্পাদনা]দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে তিনি তার পরবর্তী শতক হাঁকান। নভেম্বর, ১৯৪৮ সালে ভারতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসে প্রথম সফরে[২৩] প্রথম টেস্টে ১৯৪, বোম্বেতে দ্বিতীয় টেস্টে ১৬২ ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে ১০১ রান তোলেন। মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টে ৯০ রান সংগ্রহকালে বিতর্কিতভাবে রান-আউটের শিকার হন তিনি।[২৩]
টেস্ট সিরিজ শেষে সিলনের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেন ও পাকিস্তানের বিপক্ষে অর্ধ-শতক করেন। কিন্তু ঐ সময় দলগুলো টেস্ট মর্যাদাবিহীন ছিল। দ্বাদশ ইনিংস শেষে ৮২.৪৬ ব্যাটিং গড়ে সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন যা কেবলমাত্র ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের তুলনায় কম ছিল।[২৪]
১৯৫০ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিনি তার ক্রীড়াশৈলী অক্ষুণ্ন রাখেন। ৫৬.৩৩ গড়ে ৩৩৮ রান তোলেন ও ৩-১ ব্যবধানে দলকে জয়লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[২৫] সিরিজ শেষে ১,৪১০ টেস্ট রান তোলেন ৭৪.২১ গড়ে। এছাড়াও পুরো সিরিজে ১১ ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে সেরা স্লিপ ফিল্ডার ছিলেন। পাশাপাশি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৩০৪* রান তুলেন যা অদ্যাবধি ইংল্যান্ড সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলের একমাত্র ত্রি-শতক।[২৫]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট উইকেট পেয়েছিলেন এভারটন উইকস। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। জ্যামাইকার কিংস্টনে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তার বলে ১ রান করা আর্থার মরিসের ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন গ্লেনডন গিবস। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে ৪-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এভারটন উইকস ১৫৬ মিনিটে ১৬টি চারের মারে ১০৩ রান তুলেন ইয়ান সিনক্লেয়ারের বলে বোল্ড হন। এটিই সিনক্লেয়ারের খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র উইকেট ছিল। ঐ খেলায় তার দল ইনিংস ও ৬৪ রানে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলকে পরাজিত করে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।[২৬]
রিচি বেনো মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘যে সকল অস্ট্রেলীয় উইকসের রুদ্রমূর্তি প্রদর্শনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তাঁরা একবাক্যে স্বীকার করবেন - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের সাথে তাঁকে তুলনা করা চলে।’[২৭]
অবসর
[সম্পাদনা]১৯৫৮ সালে উরুর আঘাতের কারণে টেস্ট খেলা থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন। অবসর পরবর্তীকালে অনেকগুলো দাতব্য ও প্রদর্শনী খেলায় অংশ নেন। ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে রোডেশিয়া সফরে বর্ণবৈষম্যবাদের শিকার হন ও শ্বেতাঙ্গ এলাকায় স্থানীয় আইনে কৃষ্ণাঙ্গদের নিষিদ্ধতার কবলে পড়ার অভিযোগ আনেন।[২৮] উইকস ও সতীর্থ রোহন কানহাই সফর বানচালের হুমকি দিলে রোডেশীয় সরকারের কর্মকর্তারা তাদের কাছে ক্ষমা চান।[২৯]
১৯৬০-এর দশকে বার্বাডোস ডেইলি নিউজে কাজ করতেন তিনি।[৩০] ঐ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন টনি কোজিয়ার।[৩১]
১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে কানাডা দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।[৩২] ক্রিকেটের বাইরে উইকস শান্তিবিষয়ক বিচারপতি ও বার্বাডোস সরকারের বেশ কিছু দায়িত্ব পালনসহ পুলিশ সার্ভিস কমিশনে কাজ করেন।[৩৩] ১৯৯৪ সালে আইসিসি’র ম্যাচ রেফারি মনোনীত হন তিনি। চার টেস্ট ও তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিকে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন উইকস।[৩৪]
অর্জনসমূহ
[সম্পাদনা]
ধারাবাহিকভাবে পাঁচ সেঞ্চুরি করে টেস্ট রেকর্ড গড়ে জ্যাক ফিঙ্গলটন ও অ্যালান মেলভিলের গড়া রেকর্ড ভঙ্গ করেন।[৩৫] এছাড়াও তিনি ধারাবাহিকভাবে সাতটি টেস্ট অর্ধ-শতক[২৩] করে জ্যাক রাইডার, প্যাটসি হেনড্রেন, জর্জ হ্যাডলি ও মেলভিলের গড়া যৌথ রেকর্ড অতিক্রম করেন।[৩৬] পরবর্তীতে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও শিবনারায়ণ চন্দরপল উইকসের রেকর্ডের সমকক্ষ হন।[৩৭]
ধারাবাহিকভাবে নয় টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেছেন তিনি। এরফলে অ্যালেক স্টুয়ার্ট, ম্যাথু হেইডেন, জ্যাক ক্যালিস, সাইমন ক্যাটিচ ও কুমার সাঙ্গাকারা’র দলে প্রবেশ করেন যারা প্রথম ১২ টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করতে পেরেছেন। পরবর্তীতে সুনীল গাভাস্কার ও মার্ক টেলর ও মমিনুল হক এ অর্জনের সাথে শামিল হন।[৩৮]
১৯২৯ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে আর্থার রিচার্ডসনের সর্বাধিকসংখ্যক ১১৯৩ রানের রেকর্ড পরবর্তীতে এভারটন উইকস নিজের করে নিয়েছিলেন।[৩৯] এরপর ১৯৯১ সালে পিটার স্লিপ ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে এক মৌসুমে ১,৬২১ রান তুলেন। এরফলে ৪০ বছর আগেকার ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে গড়া তার ব্যাটিং রেকর্ড ভঙ্গ হয়ে যায়।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]১৯৪৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা পান উইকস।[৪০] তার অপূর্ব ক্রীড়া নিদর্শনের প্রেক্ষিতে উইজডেন কর্তৃপক্ষ ১৯৫১ সালে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[২১][৪১] খেলোয়াড়ী জীবন শেষে উইকস অনেকগুলো সম্মানসূচক পদবী লাভ করেন। তন্মধ্যে ওবিই, জিসিএম এবং ১৯৯৫ সালে কেসিএমজি লাভ করেন।[৪২] জানুয়ারি, ২০০৯ সালে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভূক্তকারী ৫৫জন খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিও অন্তর্ভুক্ত হন। এরফলে তিনিও নতুন খেলোয়াড়দেরকে এতে অন্তর্ভুক্ত করতে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন।
পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]প্রতিপক্ষীয় দলের বিপক্ষে
[সম্পাদনা]ব্যাটিং[৪৩] | বোলিং[৪৪] | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
প্রতিপক্ষ | খেলা | রান | গড় | সর্বোচ্চ | ১০০/৫০ | রান | উইকেট | গড় | সেরা |
ইংল্যান্ড | ১৭ | ১৩১৩ | ৪৫.২৭ | ২০৬ | ৩/৭ | ৩৯ | ০ | – | – |
অস্ট্রেলিয়া | ১০ | ৭১৪ | ৩৯.৬৬ | ১৩৯ | ১/৫ | ৮ | ১ | ৮.০০ | ১/৮ |
ভারত | ১০ | ১৪৯৫ | ১০৬.৭৮ | ২০৭ | ৭/৪ | ২৯ | ০ | – | – |
নিউজিল্যান্ড | ৬ | ৪৭৮ | ৫৯.৭৫ | ১৫৬ | ৩/১ | – | – | – | – |
পাকিস্তান | ৫ | ৪৫৫ | ৬৫.০০ | ১৯৭ | ১/২ | – | – | – | – |
সর্বমোট | ৪৮ | ৪৪৫৫ | ৫৮.৬১ | ২০৭ | ১৫/১৯ | ৭৭ | ১ | ৭৭.০০ | ১/৮ |
টেস্ট শতকসমূহ
[সম্পাদনা]নিচের ছকে এভারটন উইকসের টেস্ট শতকের সংক্ষিপ্ত বিবরণী দেয়া হলো:
- রান কলামে * বলতে অপরাজিত নির্দেশ করছে।
- কলামের শিরোনামে খেলা বলতে খেলোয়াড়ী জীবনের খেলার নম্বরকে বুঝানো হয়েছে।
এভারটন উইকসের টেস্ট শতরান[৪৫] | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
# | রান | খেলা | প্রতিপক্ষ | শহর/দেশ | মাঠ | সাল | ফলাফল |
[১] | ১৪১ | ৪ | ![]() |
কিংস্টন, জ্যামাইকা | সাবিনা পার্ক | ১৯৪৮ | জয় |
[২] | ১২৮ | ৫ | ![]() |
দিল্লি, ভারত | ফিরোজ শাহ কোটলা | ১৯৪৮ | ড্র |
[৩] | ১৯৪ | ৬ | ![]() |
বোম্বে, ভারত | ব্রাবোর্ন স্টেডিয়াম | ১৯৪৮ | ড্র |
[৪] | ১৬২ | ৭ | ![]() |
কলকাতা, ভারত | ইডেন গার্ডেন্স | ১৯৪৮ | ড্র |
[৫] | ১০১ | ||||||
[৬] | ১২৯ | ১২ | ![]() |
নটিংহাম, ইংল্যান্ড | ট্রেন্ট ব্রিজ | ১৯৫০ | জয় |
[৭] | ২০৭ | ২১ | ![]() |
পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ | কুইন্স পার্ক ওভাল | ১৯৫৩ | ড্র |
[৮] | ১৬১ | ২৩ | ![]() |
পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ, ত্রিনিদাদ | কুইন্স পার্ক ওভাল | ১৯৫৩ | ড্র |
[৯] | ১০৯ | ২৫ | ![]() |
কিংস্টন, জ্যামাইকা | সাবিনা পার্ক | ১৯৫৩ | ড্র |
[১০] | ২০৬ | ২৮ | ![]() |
পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ, ত্রিনিদাদ | কুইন্স পার্ক ওভাল | ১৯৫৪ | ড্র |
[১১] | ১৩৯ | ৩১ | ![]() |
পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ, ত্রিনিদাদ | কুইন্স পার্ক ওভাল | ১৯৫৫ | ড্র |
[১২] | ১২৩ | ৩৫ | ![]() |
ডুনেডিন, নিউজিল্যান্ড | কারিসব্রুক | ১৯৫৬ জয় | |
[১৩] | ১০৩ | ৩৬ | ![]() |
ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড | ল্যাঙ্কাস্টার পার্ক | ১৯৫৬ | জয় |
[১৪] | ১৫৬ | ৩৭ | ![]() |
ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | ব্যাসিন রিজার্ভ | ১৯৫৬ | জয় |
[১৫] | ১৯৭ | ৪৪ | ![]() |
ব্রিজটাউন, বার্বাডোস | কেনসিংটন ওভাল | ১৯৫৮ | ড্র |
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]জুন, ২০১৯ সালে বার্বাডোসে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত হলে এভারটন উইকসকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।[৪৬] ১ জুলাই, ২০২০ তারিখে ৯৫ বছর বয়সে বার্বাডোসের ক্রাইস্টচার্চে এভারটন উইকসের দেহাবসান ঘটে।[৪৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Walcott p. 14.
- ↑ ক খ Weekes p. 4.
- ↑ Walcott p. 18.
- ↑ Sandiford, K. (1995) Everton DeCourcey Weekes, Famous Cricketers Series: No 29, Association of Cricket Statisticians and Historians, Nottingham. আইএসবিএন ০-৯৪৭৭৭৪-৫৫-৬
- ↑ Walcott p. 17.
- ↑ Spooner, P. (1998) "Sir Everton Weekes: My First Test", The Barbados Nation, 18 December 1998
- ↑ ক খ Walcott p. 20.
- ↑ ক খ গ Sandiford (1995) p. 6.
- ↑ Weekes, p. 5.
- ↑ Dyde p. 160.
- ↑ Walcott p. 2.
- ↑ ক খ Walcott p. vii.
- ↑ Walcott p. 7.
- ↑ Walcott p. 13.
- ↑ Walcott p. 15.
- ↑ Walcott p. 19.
- ↑ "West Indies Cricket: 3Ws Oval, Barbados" http://www.barbados.org/3ws_oval.htm Accessed 27 April 2008
- ↑ "West Indies Cricket: 3Ws Monument" http://www.barbados.org/3ws_memorial.htm Accessed 27 April 2008
- ↑ "Kensington Oval"। West Indies Cricket Board। ২০০৮-০৫-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৯।
- ↑ Cricinfo, "Scorecard, 1st Test: West Indies v England at Bridgetown, 21–26 Jan 1948" Accessed 27 April 2008
- ↑ ক খ Belson, F. (1951) "Cricketer of the Year – 1951 Everton Weekes", Wisden Cricketer's Almanack
- ↑ Sandiford (1995) p. 13.
- ↑ ক খ গ ঘ Sandiford, K. (2004) "Everton Weekes – West Indies' Whirlwind", The Journal of the Cricket Society, vol. 21 no. 4 Spring 2004
- ↑ "Cricinfo: Fastest To 1000 Runs"। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ ক খ Sandiford (1995) p. 17.
- ↑ "West Indies in New Zealand (1955 – 1956): Scorecard of second Test"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৯।
- ↑ Armstrong p. 122.
- ↑ Majumdar & Mangan p. 139
- ↑ Majumdar & Mangan p. 138-9
- ↑ Sandford, Keith (১৯৯৮)। Cricket Nurseries of Colonial Barbados: The Elite Schools, 1865–1966। Press University of the West Indies। পৃষ্ঠা 62। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৬।
- ↑ Moss, Stephen (অক্টোবর ২০০৬)। Wisden Anthology 1978–2006: Cricket's Age of Revolution। A & C Black। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৬।
- ↑ Sandiford (1998) p. 150.
- ↑ Government of Barbados, Official Gazette, 1986.
- ↑ Cricinfo, "Everton Weekes Profile", http://content-www.cricinfo.com/westindies/content/player/53241.html Accessed 24 April 2008.
- ↑ The Adelaide Advertiser, "Young West Indian's Test Record" 4 January 1949, p. 10.
- ↑ "Fifties in consecutive innings", ESPNcricinfo, Accessed 6 October 2008.
- ↑ Lynch, S. (2007) "Losing four times running, and seven fifties in a row", ESPNcricinfo, Accessed 6 October 2008.
- ↑ ইসাম, মোহাম্মদ (১৫ নভেম্বর ২০১৪)। "Mominul ton sets target of 449; Bangladesh v Zimbabwe, 3rd Test, Chittagong, 4th day"। ইএসপিএনক্রিকইনফো। সংগৃহীত ৪ জানুয়ারি ২০১৬
- ↑ The Oxford Companion to Australian Cricket, Oxford, Melbourne, 1996, p. 448.
- ↑ Cricket Archive, "Indian Cricketer Cricketers of the Year", http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Players/Overall/Indian_Cricket_Cricketers_of_the_Year.html Accessed 27 April 2008.
- ↑ "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১।
- ↑ Reuters, "Everton Weekes and Peter Blake Knighted" 16 June 1995.
- ↑ Sandiford (1995), p. 47.
- ↑ Sandiford (1995), p. 42.
- ↑ Statsguru: Everton Weekes, ESPNcricinfo, 17 March 2010.
- ↑ "Sir Everton Weekes: West Indies cricketing great suffers heart attack"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৯।
- ↑ "Sir Everton Weekes: West Indies legend dies at 95"। BBC। জুলাই ১, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১, ২০২০।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- এডি পেন্টার
- আইসিসি প্লেয়ার র্যাঙ্কিং
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেম
- ২০১৪-১৫ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Armstrong, G. (2006) The Greatest 100 Cricketers, New Holland: Sydney. আইএসবিএন ১-৭৪১১০-৪৩৯-৪.
- Bailey, T. (1968) The Greatest of My Time, Eyre & Spottiswoode: London. SBN 41326910.
- Beckles, H. (1998) The Development of West Indian Cricket, Pluto Press আইএসবিএন ০-৭৪৫৩-১৪৬২-৭.
- Belson, F. (1951) "Cricketer of the Year – 1951 Everton Weekes", Wisden Cricketer's Almanack.
- Dyde, B. (1992) Caribbean Companion: The A-Z Reference, MacMillan Press, আইএসবিএন ০-৩৩৩-৫৪৫৫৯-১.
- Edmundson, D. (1992) See the Conquering Hero: The Story of the Lancashire League 1892–1992, Mike McLeod Litho Limited, Accrington. আইএসবিএন ০-৯৫১৯৪৯৯-০-X.
- McGilvray, A. (1989) Alan McGilvray's Backpage of Cricket, Lester Townsend Publishing, Paddington.
- Majumdar, B. & Mangan, J. (2003) Cricketing Cultures in Conflict: World Cup 2003, Routledge. আইএসবিএন ০-৭১৪৬-৮৪০৭-৪.
- Sandiford, K. (1995) Everton DeCourcey Weekes, Famous Cricketers Series: No 29, Association of Cricket Statisticians and Historians, Nottingham. আইএসবিএন ০-৯৪৭৭৭৪-৫৫-৬.
- Sandiford, K. (1998) Cricket Nurseries of Colonial Barbados: The Elite Schools, 1865–1966, Press University of the West Indies, আইএসবিএন ৯৭৬-৬৪০-০৪৬-৬.
- Sobers, G. (2002) My Autobiography, Headline, London. আইএসবিএন ০-৭৫৫৩-১০০৬-৩.
- Walcott, C. (1999) Sixty Years on the Back Foot, Orion, London. আইএসবিএন ০-৭৫২৮-৩৪০৮-৮.
- Weekes, E. (2007) Mastering the Craft: Ten Years of Weekes 1948 to 1958, Universities of the Caribbean Press Inc, Barbados. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৭৬-৯৫২০১-২-৭.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে এভারটন উইকস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে এভারটন উইকস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ১৯২৫-এ জন্ম
- ২০২০-এ মৃত্যু
- ১৯৪৫-৪৬ থেকে ১৯৬৯-৭০ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার
- অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদক বিজয়ী
- আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রবেশকারী
- ইন্টারন্যাশনাল ক্যাভেলিয়ার্সের ক্রিকেটার
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেটার
- কমনওয়েলথ একাদশের ক্রিকেটার
- ক্রিকেট ম্যাচ রেফারি
- নাইটহুড খেতাবপ্রাপ্ত ক্রিকেট খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা
- বার্বাডোসের ক্রিকেটার
- বার্বাডীয় ক্রিকেটার
- অফিসার্স অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা