বিষয়বস্তুতে চলুন

এডি পেন্টার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এডি পেন্টার
১৯৩০-এর দশকের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে এডি পেন্টার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
এডওয়ার্ড পেন্টার
জন্ম(১৯০১-১১-০৫)৫ নভেম্বর ১৯০১
অসওয়াল্ডটুইসল, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯(1979-02-05) (বয়স ৭৭)
কেইলি, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম পেস
ভূমিকাব্যাটসম্যান, আম্পায়ার
সম্পর্কডিই পেন্টার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৬৩)
১৫ আগস্ট ১৯৩১ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট২২ জুলাই ১৯৩৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২৬-১৯৪৫ল্যাঙ্কাশায়ার
১৯৩২-১৯৩৯মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২০ ৩৫২
রানের সংখ্যা ১৫৪০ ২০০৭৫
ব্যাটিং গড় ৫৯.২৩ ৪২.২৬
১০০/৫০ ৪/৭ ৪৫/৯৫
সর্বোচ্চ রান ২৪৩ ৩২২
বল করেছে ৩১০৫
উইকেট ৩০
বোলিং গড় ৪৫.৭০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/১৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৭/– ১৬০/–

এডওয়ার্ড এডি পেন্টার (ইংরেজি: Eddie Paynter; জন্ম: ৫ নভেম্বর, ১৯০১ - মৃত্যু: ৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯) ল্যাঙ্কাশায়ারের অসওয়াল্ডটুইসল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও আম্পায়ার ছিলেন। ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এডি পেন্টার

দলে তিনি আক্রমণধর্মী বামহাতি ব্যাটসম্যানফিল্ডার হিসেবে সবিশেষ নিপুণতা দেখিয়েছেন।[] কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

জুলাই ১৯২৬ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে বেশ ধীরলয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরফলে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত দলের মূল একাদশে খেলার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। পরের বছরের জুলাই মাসে নিজ ৪৮তম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে তিনি তার প্রথম শতরান করেন। এর পরপরই সফরকারী নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ১০২ রান তোলেন। ১৯৩৭ সালে নিজ কাউন্টির পক্ষে ২,৯০৪ রান তোলেন। তন্মধ্যে সাসেক্সের বিপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা সময় নিয়ে ত্রি-শতক হাঁকান।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৫ আগস্ট, ১৯৩১ তারিখে নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিন্তু নির্ধারিত ৩-দিনের টেস্টের প্রথম দুইদিন বৃষ্টির কারণে খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। একমাত্র ইনিংসে তিনি মাত্র ৩ রান তোলেন। ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় বডিলাইন সফরে অনুষ্ঠিত টেস্টে অংশগ্রহণ করে সবিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ব্রিসবেনে অবস্থানকালে টনসিলে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। ঐ সময় অস্ট্রেলিয়ার ৩৪০ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ২১৬/৬ থাকাবস্থায় ব্যাটিংয়ে নামেন। হাসপাতালে রাত কাটিয়ে ৮৩ রান করলে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যায়। এছাড়াও তিনি কয়েক ঘণ্টা ফিল্ডিং করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে স্ট্যান ম্যাককাবে’র বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়সূচক রান করেন। এ সফরে তিনি ৫ ইনিংসে ৬১.৩৩ গড়ে রান তোলেন।

এরপর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দল থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু কাউন্টি ক্রিকেটে সফলতার ফলে তাকে পুনরায় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে ১০১.৭৫ গড়ে চমৎকার ফলাফল লাভ করেন। তন্মধ্যে নটিংহামে অপরাজিত ২১৬* তোলেন যা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ টেস্টে ঐ সময়ের সর্বাধিক রানের রেকর্ড ছিল। এছাড়াও লর্ডসে আঘাতপ্রাপ্ত উইকেট-রক্ষক লেস অ্যামিসের পরিবর্তে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরের মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও নিজেকে মেলে ধরেন। ঐ সিরিজে তিন শতক ও দুই অর্ধ-শতকসহ মোট আট ইনিংসে ৮১.৬২ গড়ে রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, ডারবানে সর্বোচ্চ ২৪৩ তোলেন।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]
পূর্ণাঙ্গ টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ব্যাটিং গড়
অস্ট্রেলিয়া ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান
৯৯.৯৪
দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রেইম পোলক
৬০.৯৭
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ জর্জ হ্যাডলি
৬০.৮৩
ইংল্যান্ড হার্বার্ট সাটক্লিফ
৬০.৭৩
ইংল্যান্ড এডি পেন্টার
৫৯.২৩
ইংল্যান্ড কেন ব্যারিংটন
৫৮.৬৭
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ এভারটন উইকস
৫৮.৬১
ইংল্যান্ড ওয়ালি হ্যামন্ড
৫৮.৪৫
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ গারফিল্ড সোবার্স
৫৭.৭৮
ইংল্যান্ড জ্যাক হবস
৫৬.৯৪
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্লাইড ওয়ালকট
৫৬.৬৮
ইংল্যান্ড লেন হাটন
৫৬.৬৭

উৎস: ক্রিকইনফো
যোগ্যতা: পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে কমপক্ষে ২০ ইনিংস।

তার টেস্ট ব্যাটিং গড় ছিল ৫৯.২৩ যা সর্বকালের সেরাদের তালিকায় ৫ম ও বর্তমানে ৬ষ্ঠ।[] ইংরেজ ক্রিকেটারদের মধ্যে হার্বার্ট সাটক্লিফের পর তার অবস্থান দ্বিতীয়। কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই তার ব্যাটিং গড় ছিল ৮৪.৪২।

১৯৩৮ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন পেন্টার।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে তার। যুদ্ধ পরবর্তীকালে তিনি কয়েকটি অনানুষ্ঠানিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে কমনওয়েলথ একাদশের পক্ষে বোম্বে গভর্নর একাদশের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ইনিংসে অংশ নেন। ১৯৫১ সালে এক মৌসুমের জন্য প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আম্পায়ারেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।

৭৭ বছর বয়সে ইয়র্কশায়ারের কেইলতে তার দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "player profile of eddie paynter"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫ 
  2. "Records / Test matches / Batting records / Highest career batting average"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]