বিষয়বস্তুতে চলুন

ক্লেয়ার টেলর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্লেয়ার টেলর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
সামান্থা ক্লেয়ার টেলর
জন্ম (1975-09-25) ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ (বয়স ৪৯)
আমেরশ্যাম, বাকিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১২৭)
১৫ জুলাই ১৯৯৯ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১০ জুলাই ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭৮)
১৯ জুলাই ১৯৯৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই৭ জুলাই ২০১১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৩-১৯৯৯টেমস্‌ ভ্যালি ওম্যান
২০০০-২০১১বার্কশায়ার ওম্যান
২০০২-২০০৫ক্যান্টারবুরি মেজিশিয়ান্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই
ম্যাচ সংখ্যা ১৫ ১২৬ ২৭
রানের সংখ্যা ১,০৩০ ৪,১০১ ৬১৫
ব্যাটিং গড় ৪১.২০ ৪০.২০ ২৭.৯৫
১০০/৫০ ৪/২ ৮/২৩ ০/৩
সর্বোচ্চ রান ১৭৭ ১৫৬* ৭৬*
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৮/– ৪১/৫ ১২/২
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ এপ্রিল ২০১২

সামান্থা ক্লেয়ার টেলর, এমবিই (ইংরেজি: Samantha Claire Taylor; জন্ম: ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫) ইংল্যান্ডের সাবেক আন্তর্জাতিক প্রমিলা ক্রিকেট তারকা। শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ও প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা পেয়েছেন।[n ১] একবিংশ শতকের প্রথম দশকে সহ-খেলোয়াড় শার্লত এডওয়ার্ডসের সাথে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের নেতৃত্ব দেন। উভয়ে সম্মিলিতভাবে তিন সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন।[] এছাড়াও, ২০০৯ সালে দলের দু’টি বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে মূখ্য ভূমিকা রেখেছেন ক্লেয়ার টেলর[]

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

সামান্থা টেলর বাকিংহ্যামশায়ারের আমারশ্যাম এলাকায় ক্রীড়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[] ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি কোন ধরনের ক্রিকেট খেলেননি।[] তারপরও চার বছর পরই মহিলা কাউন্টি ক্রিকেটে মে, ১৯৯৩ সালে টেমস্‌ ভ্যালি দলের পক্ষে অভিষিক্ত হতে পেরেছেন।[] শুরুতে উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় নামেন মূলতঃ ব্যাটিং সীমাবদ্ধতার কারণে। ফলে, ইংল্যান্ড দলে থাকার ব্যাপারে সংগ্রাম করতে থাকেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

এপ্রিল, ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত চতুর্থ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি মাত্র এক রান করেছিলেন। এ খেলায় ইংল্যান্ডের ভরাডুবি ঘটেছিল।[] এর দুই বছরের মধ্যেই দলের অন্যতম নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন তিনি। ২০০০ সালের বিশ্বকাপে তিনি তেমন ভালো করতে পারেননি, তাই তিনি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হবার লক্ষ্যে চাকরি ছেড়ে দেন।[][] এরফলে পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি মহিলাদের ক্রিকেটে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানের আসন অলঙ্কৃত করেন। কিন্তু ২০০৫ সালের বিশ্বকাপে পুনরায় ব্যর্থ হলে তিনি ক্রিকেটের পাশাপাশি চাকরি করতে থাকেন।

বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়া স্বত্ত্বেও টেলরের ব্যাটিং উন্নতি ঘটতে থাকে। ২০০৬ সালে তিনি অপরাজিত ১৫৬* রান করেন।[] লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতের বিপক্ষে তিনি তার এ সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন।[] ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। পরের বছর ২০১০ সালের বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচিত হলেও তার ব্যাটিং নৈপুণ্য দূর্বলতর হতে থাকে। তবে, দু’টি চারদেশীয় প্রতিযোগিতায় ভাল ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখিয়েছেন।[১০] অবসর গ্রহণের সময় টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪০-এর উপরে।[১১]

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

ব্যাটিংয়ে অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করায় ২০০৭ ও ২০০৮ সালের আইসিসি বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম উঠে।[১২] অবশেষে ২০০৯ সালে তিনি আইসিসি বর্ষসেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে স্বীকৃতি পান।[১৩]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Statistics / Statsguru / Women's One-Day Internationals / Batting records". ESPNcricinfo. Retrieved 2 May 2012.
  2. Roesler, Jenny (৬ মার্চ ২০০৯)। "Buoyant England seek World Cup revenge"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১২ 
  3. "Player Profile: Claire Taylor"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২ 
  4. Berry (2009), pp. 74–75.
  5. "Women's limited overs Matches played by Claire Taylor (284)"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২ 
  6. "England Women v Australia Women: Australia Women in British Isles 1998 (4th ODI)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১২ 
  7. Whiting, Steve (২০০২)। "CricInfo Women's World Cup, 2000/01"। Wright, Graeme। Wisden Cricketers' Almanack 2002 (139 সংস্করণ)। Alton, Hampshire: John Wisden & Co. Ltd। পৃষ্ঠা 1306। আইএসবিএন 0-947766-70-7 
  8. Brenkley, Stephen (৯ জুলাই ২০১১)। "Retiring Taylor changed the face of women's game"The Independent। Independent Print Limited। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১২ 
  9. "England Women v India Women: India Women in British Isles 2006 (1st ODI)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১২ 
  10. "Batting and Fielding in NatWest Women's ODI Series 2011 (Ordered by Average)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১২ 
  11. ESPNcricinfo staff (৮ জুলাই ২০১১)। "Claire Taylor announces retirement"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১২ 
  12. Cricinfo staff (৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Sthalekar, Goswami and Taylor shortlisted"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১২ 
  13. Berry (2009), p. 21.

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. In women's cricket, "batsman" is commonly used, alongside "batter".

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জী

[সম্পাদনা]
পূর্বসূরী
শার্লত এডওয়ার্ডস
বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার
২০০৯
উত্তরসূরী
শেলি নিশকে