বারীণ মজুমদার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পণ্ডিত
বারীণ মজুমদার
প্রাথমিক তথ্য
জন্ম(১৯২১-০২-২৫)২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২১
রাধানগর, পাবনা জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু৩ অক্টোবর ২০০১(2001-10-03) (বয়স ৮০)
ঢাকা, বাংলাদেশ
ধরনরাগসঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত
পেশাসঙ্গীত শিক্ষকতা
কার্যকাল১৯৬৫-২০০০

'পণ্ডিত' বারীণ মজুমদার (২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ - ৩ অক্টোবর ২০০১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি সঙ্গীত-অধ্যক্ষ, রাগসঙ্গীত বিশারদ ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী। তাঁকে আখ্যায়িত করা হয় আগ্রা ও রঙ্গিলা ঘরানার যোগ্য উত্তরসাধক হিসেবে। সঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ১৯৮৩ সালে একুশে পদক এবং ২০০২ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।[১] তিনি রাধানগর মজুমদার একাডেমী (স্কুল এন্ড কলেজ) পাবনা থেকে মাধ্যমিক পাস করেন

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

বারীণ মজুমদার ১৯২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) পাবনা জেলার রাধানগরে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তাঁর পিতা নিশেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী ও নাট্যকার; মাতা মণিমালা মজুমদার সেতার বাজাতেন।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

বারীণ মজুমদার ইলা মজুমদারের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন। ইলা একজন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। তাদের দুই সন্তান। বড় পুত্র পার্থ প্রতীম মজুমদার লব্ধপ্রতিষ্ঠ একজন মূকাভিনয় শিল্পী। কনিষ্ঠ পুত্র বাপ্পা মজুমদারও একজন সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক।[৪]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

বারীণ মজুমদার ২০০১ সালের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশের ঢাকার হলিফ্যামিলি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৫]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

  • সঙ্গীতে অবদানের জন্য তমঘা-ই-ইমতিয়াজ়, ১৯৭০
  • সঙ্গীতে অবদানের জন্য একুশে পদক, ১৯৮৩
  • বরেন্দ্র একাডেমির সংবর্ধনা, ১৯৮৩
  • কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্ট পুরস্কার, ১৯৮৮
  • সিধু ভাই স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৯০
  • বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে গুণিজন সম্মাননা, ১৯৯১
  • জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ থেকে রবীন্দ্র পদক, ১৯৯৩
  • বেতার টেলিভিশন শিল্পী সংসদ থেকে শিল্পী শ্রেষ্ঠ খেতাব, ১৯৯৫
  • বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ, ১৯৯৭[৬]
  • জনকণ্ঠ গুণিজন সম্মাননা পদক, ১৯৯৮

এদেশের সঙ্গীতে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৭][৮][৯] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাঁকে।[১০]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ওস্তাদ বারীণ মজুমদার"দ্য রিপোর্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৭ 
  2. কমল, খালিদ হাসান। "মজুমদার, শ্রী বারীণ"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৭ 
  3. "বারীণ মজুমদার"দেশে বিদেশে। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. লিটন, তোফাজ্জল (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "বারীণ মজুমদারের জন্মদিনে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৭ 
  5. "স্মরণ : ওস্তাদ বারীণ মজুমদার"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৩ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৭ 
  6. "বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনের তালিকা"বাংলা একাডেমি। ৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  7. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  8. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭ 
  9. "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭ 
  10. "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]