বিষয়বস্তুতে চলুন

সুইডেন জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুইডেন
দলের লোগো
ডাকনামব্লোগুল্ট (নীল-হলুদ)
অ্যাসোসিয়েশনসুয়েডীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনউয়েফা (ইউরোপ)
প্রধান কোচইয়ানে আন্দেরশন
অধিনায়কআন্দ্রেয়াস গ্রাঙ্কভিস্ত
সর্বাধিক ম্যাচআন্দেশ সভেনসন (১৪৮)
শীর্ষ গোলদাতাজ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (৬২)
মাঠফ্রেন্ডস এরিনা
ফিফা কোডSWE
ওয়েবসাইটsvenskfotboll.se
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২৬ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ(নভেম্বর ১৯৯৪)
সর্বনিম্ন৪৫ (মার্চ ২০১৫, অক্টোবর–নভেম্বর ২০১৫, মার্চ ২০১৭)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৪৬ হ্রাস ১৭ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ(মে–জুন ১৯৪৯, অক্টোবর ১৯৪৯, জুলাই ১৯৫০)
সর্বনিম্ন৪৮ (সেপ্টেম্বর ১৯৮০, মে ১৯৮১)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 সুইডেন ১১–৩ নরওয়ে 
(গোথেনবার্গ, সুইডেন; ১২ জুলাই ১৯০৮)
বৃহত্তম জয়
 সুইডেন ১২–০ লাতভিয়া 
(স্টকহোম, সুইডেন; ২৯ মে ১৯২৭)
 সুইডেন ১২–০ দক্ষিণ কোরিয়া 
(লন্ডন, ইংল্যান্ড; ৫ আগস্ট ১৯৪৮)
বৃহত্তম পরাজয়
 যুক্তরাজ্য ১২–১ সুইডেন 
(লন্ডন, ইংল্যান্ড; ২০ অক্টোবর ১৯০৮)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ১২ (১৯৩৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যরানার-আপ (১৯৫৮)
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ৭ (১৯৯২-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যসেমি-ফাইনাল (১৯৯২)

সুইডেন জাতীয় ফুটবল দল (সুইডীয়: svenska fotbollslandslaget) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইডেনের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম সুইডেনের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সুয়েডীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০৮ সালের ১২ই জুলাই তারিখে, সুইডেন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; সুইডেনের গোথেনবার্গে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে সুইডেন নরওয়েকে ১১–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

৫৪,৩২৯ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট ফ্রেন্ডস এরিনায় ব্লোগুল্ট নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় সুইডেনের রাজধানী সোলনায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ইয়ানে আন্দেরশন এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন হেলসিংবর্গের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আন্দ্রেয়াস গ্রাঙ্কভিস্ত

সুইডেন এপর্যন্ত ১২ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা ব্রাজিলের কাছে ৫–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সুইডেন এপর্যন্ত ৭ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে উয়েফা ইউরো ১৯৯২-এ সেমি-ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা জার্মানির কাছে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

আন্দেশ সভেনসন, টমাস রাভেলি, আন্দ্রেয়াস ইসাকসন, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ এবং হেনরিক লারসনের মতো খেলোয়াড়গণ সুইডেনের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

সুইডেন ঐতিহ্যগতভাবে আন্তর্জাতিক ফুটবলের একটি শক্তিশালী দল, যেখানে তারা ১ বার বিশ্বকাপের রানার-আপ এবং অলিম্পিকে ৩টি পদক জয়লাভ করেছে।

র‌্যাঙ্কিং

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে সুইডেন তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (২য়) অর্জন করে এবং ২০১৫ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ৪৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে সুইডেনের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২য় (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৪৯ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৪৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২৪ অপরিবর্তিত  অস্ট্রিয়া ১৫৪৬.১
২৫ অপরিবর্তিত  অস্ট্রেলিয়া ১৫৩৯.২২
২৬ অপরিবর্তিত  সুইডেন ১৫৩০.১৯
২৭ অপরিবর্তিত  হাঙ্গেরি ১৫২৫.১৩
২৮ অপরিবর্তিত  তিউনিসিয়া ১৫২৩.২৩
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৪৪ হ্রাস  চিলি ১৭০০
৪৫ হ্রাস  ওয়েলস ১৬৯৬
৪৬ হ্রাস ১৭  সুইডেন ১৬৯৫
৪৭ বৃদ্ধি  মিশর ১৬৮৮
৪৮ বৃদ্ধি ১১  রোমানিয়া ১৬৭৪

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি আমন্ত্রণের মাধ্যমে উত্তীর্ণ
ইতালি ১৯৩৪ কোয়ার্টার-ফাইনাল ৮ম
ফ্রান্স ১৯৩৮ ৩য় স্থান নির্ধারণী ৪র্থ ১১ ১১
ব্রাজিল ১৯৫০ ৩য় স্থান নির্ধারণী ৩য় ১১ ১৫
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪ উত্তীর্ণ হয়নি
সুইডেন ১৯৫৮ রানার-আপ ২য় ১২ আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ
চিলি ১৯৬২ উত্তীর্ণ হয়নি ১১
ইংল্যান্ড ১৯৬৬ ১০
মেক্সিকো ১৯৭০ গ্রুপ পর্ব ৯ম ১২
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ দ্বিতীয় পর্ব ৫ম ১৭
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ গ্রুপ পর্ব ১৩তম
স্পেন ১৯৮২ উত্তীর্ণ হয়নি
মেক্সিকো ১৯৮৬ ১৪
ইতালি ১৯৯০ গ্রুপ পর্ব ২১তম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ ৩য় স্থান নির্ধারণী ৩য় ১৫ ১০ ১৯
ফ্রান্স ১৯৯৮ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ১৬
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১৬ দলের পর্ব ১৩তম ১০ ২০
জার্মানি ২০০৬ ১৬ দলের পর্ব ১৪তম ১০ ৩০
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ১৩
ব্রাজিল ২০১৪ ১২ ২১ ১৮
রাশিয়া ২০১৮ কোয়ার্টার-ফাইনাল ৭ম ১২ ২৭
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট রানার-আপ ১২/২১ ৫১ ১৯ ১৩ ১৯ ৮০ ৭৩ ১৩১ ৮০ ২১ ৩০ ২৬৭ ১২১

অর্জন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]