লিথুয়ানিয়া জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লিথুয়ানিয়া
ডাকনামরিঙ্কটাইন (জাতীয় দল)
অ্যাসোসিয়েশনলিথুয়ানীয় ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনউয়েফা (ইউরোপ)
প্রধান কোচভালদাস উরবোনাস
অধিনায়কফেদোর চেরনিচ
সর্বাধিক ম্যাচসাউলিউস মিকোলিউনাস (৯০)
শীর্ষ গোলদাতাতমাস দানিলেভিচিউস (১৯)
মাঠএলএফএফ স্টেডিয়াম
ফিফা কোডLTU
ওয়েবসাইটlff.lt
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৩৮ হ্রাস ১ (৩১ মার্চ ২০২২)[১]
সর্বোচ্চ৩৭ (অক্টোবর ২০০৮)
সর্বনিম্ন১৪৮ (নভেম্বর ২০১৭)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১২৭ হ্রাস ৯ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[২]
সর্বোচ্চ৪৭ (সেপ্টেম্বর ২০০৮)
সর্বনিম্ন১৫০ (মে ১৯৯০)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 লিথুয়ানিয়া ০–৫ এস্তোনিয়া 
(কাউনাস, লিথুয়ানিয়া; ২৪ জুন ১৯২৩)
বৃহত্তম জয়
 লিথুয়ানিয়া ৭–০ এস্তোনিয়া 
(রিগা, লাতভিয়া; ২০ মে ১৯৯৫)
বৃহত্তম পরাজয়
 মিশর ১০–০ লিথুয়ানিয়া 
(প্যারিস, ফ্রান্স; ২৭ মে ১৯২৪)
১৯২৪ সালে লিথুয়ানিয়ার অলিম্পিক ফুটবল দল

লিথুয়ানিয়া জাতীয় ফুটবল দল (লিথুয়ানিয়ান: Lietuvos nacionalinė futbolo rinktinė, ইংরেজি: Lithuania national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে লিথুয়ানিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম লিথুয়ানিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লিথুয়ানীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৯২ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২৩ সালের ২৪শে জুন তারিখে, লিথুয়ানিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; লিথুয়ানিয়ার কাউনাসে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে লিথুয়ানিয়া এস্তোনিয়ার কাছে ৫–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট এলএফএফ স্টেডিয়ামে রিঙ্কটাইন নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় লিথুয়ানিয়ার রাজধানী রিগায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ভালদাস উরবোনাস এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন জাগেলোনিয়া বিয়াউইস্টকের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ফেদোর চেরনিচ

লিথুয়ানিয়া এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও লিথুয়ানিয়া এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি।

আন্দ্রিউস স্কেরলা, সাউলিউস মিকোলিউনাস, দেইভিদাস সেম্বেরাস, তমাস দানিলেভিচিউস এবং আরভিদাস নোভিকোভাসের মতো খেলোয়াড়গণ লিথুয়ানিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে লিথুয়ানিয়া তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (৩৭তম) অর্জন করে এবং ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৪৮তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে লিথুয়ানিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৪৭তম (যা তারা ২০০৮ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৫০। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
৩১ মার্চ ২০২২ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৩৬ অপরিবর্তিত  রুয়ান্ডা ১০৯৭.১৬
১৩৭ বৃদ্ধি  সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ১০৯২.৫৬
১৩৮ হ্রাস  লিথুয়ানিয়া ১০৯২.০৪
১৩৯ বৃদ্ধি  বুরুন্ডি ১০৮০.৬২
১৪০ হ্রাস  ইথিওপিয়া ১০৭৬.৬৭
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
৩০ এপ্রিল ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১২৫ বৃদ্ধি  জাঞ্জিবার ১৩২৮
১২৬ হ্রাস ১৬  মাদাগাস্কার ১৩২৭
১২৭ হ্রাস  লিথুয়ানিয়া ১৩২৪
১২৮ হ্রাস ১০  লাইবেরিয়া ১৩২১
১২৮ বৃদ্ধি  তানজানিয়া ১৩২১

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান
ইতালি ১৯৩৪ উত্তীর্ণ হয়নি
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০ সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১২ ২১
ফ্রান্স ১৯৯৮ ১০ ১১
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ২০
জার্মানি ২০০৬ ১০
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ১০ ১০ ১১
ব্রাজিল ২০১৪ ১০ ১১
রাশিয়া ২০১৮ ১০ ২০
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/১০ ৭৩ ১৭ ১৬ ৪০ ৫৯ ১১১

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]