ধন্বন্তরি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধন্বন্তরি
আয়ুর্বেদের দেবতা
দেববৈদ্য[১]
ধন্বন্তরির মূর্তি
দেবনাগরীधन्वन्तरि
অন্তর্ভুক্তিবৈষ্ণবধর্ম, আদি পুরুষ, দেবতা, সিদ্ধ
আবাসসমুদ্র
মন্ত্রওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় ধন্বন্তরে অমৃত কলশ হস্তায় সর্ব মায়া বিনাশায় ত্রৈলোক্যনাথায় শ্রীমহাবিষ্ণবে নমঃ
অস্ত্রশঙ্খ, চক্র
প্রতীকসমূহঅমৃত, জোঁক
বাহনজলপদ্ম
উৎসবধনতেরাস
ব্যক্তিগত তথ্য
মাতাপিতা
  • দীর্ঘতপা [২] (পিতা)
সন্তানকেতুমান

ধন্বন্তরি (সংস্কৃত: ধন্বন্তরি, প্রতিবর্ণীকৃত: Dhanvantari, অনুবাদ'বক্রভাবে চলেন যিনি') [৩] হলেন হিন্দুধর্মে দেবগণের চিকিৎসক। [৪][৫] তাকে বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করা হয়। পুরাণে তিনি আয়ুর্বেদের সাথে সম্পর্কিত দেবতা রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। [৬]

পৃথিবীতে অবতাররূপ পরিগ্রহ করে, তিনি কাশীতে রাজত্ব করেছিলেন। প্রাচীন কাশী বর্তমানে স্থানীয়ভাবে বারাণসি নামে পরিচিত। ধন্বন্তরীকে বিষ্ণু পুরাণে কাশীর পৌরাণিক রাজা দিবোদাসের প্রপিতামহ বলা হয়েছে। [৭][৮]

মূর্তিকল্প[সম্পাদনা]

ধন্বন্তরীর চিত্র।

প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থ বিষ্ণুধর্মোত্তর অনুসারে, ধন্বন্তরি একজন সুদর্শন ব্যক্তি ও চতুর্ভুজ, তার এক বা দু'হাতে তিনি অমৃতপাত্র' (অমরত্বের রসায়ন) বহন করেন। [৯] ধন্বন্তরি বিষ্ণুর মতোই চার হাতে শঙ্খ, চক্র, জলৌকা (জোঁক) ও অমৃত সম্বলিত একটি পাত্র ধারণ করেন। প্রায়শই তার হাতে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের পরিবর্তে একটি জোঁক দেখা যায়, যা রক্তক্ষরণের দ্বারা ঐতিহাসিক চিকিৎসার অনুশীলনকে নির্দেশ করে। [১০]

কিছু গ্রন্থে তিনি শঙ্খ, অমৃত, ঔষধি বৃক্ষ ও আয়ুর্বেদ বই ধারণ করেন বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

কিংবদন্তি[সম্পাদনা]

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

রামায়ণ-এর বালকাণ্ড [১১]ভাগবত পুরাণ অনুসারে, দেবতাঅসুরগণ যখন মন্দার পর্বতকে মন্থনদণ্ড ও সর্পরাজ বাসুকিকে মন্থনরজ্জুরূপে ব্যবহার করে অমৃত প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে ক্ষীর সমুদ্র মন্থন করছিলেন তখন ধন্বন্তরি অমৃতপাত্র হস্তে সমুদ্র থেকে উদ্ভূত হয়েছিলেন। অমৃতের পাত্রটি তার হাত থেকে অসুররা বলপূর্বক অপহরণ করলে বিষ্ণুর রমণী অবতার মোহিনী আবির্ভূত হন ও অসুরদের কাছ থেকে অমৃত পুনরায় উদ্ধার করেন। প্রচলিত বিশ্বাস মতে, ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদ চিকিৎসার প্রবর্তন করেছিলেন।[১২] বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ধন্বন্তরী-নির্ঘন্টু গ্রন্থে সম্পূর্ণরূপে ধন্বন্তরির ঔষধি উদ্ভিদের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।[১৩]

ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ-এ চিকিৎসক ধন্বন্তরির উৎপত্তি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে :[১৪]

হে ব্রাহ্মণগণ!ধন্বন্তরীর উৎপত্তি শ্রবণ করুন। পূর্বে অমৃতপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে সমুদ্র মন্থন সময়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রথমে তিনি অমৃত কলশ হস্তে আবির্ভূত হন। চতুর্দিকে থেকে তিনি ছিলেন উদ্দীপ্ত জ্যোতির্বলয়ে পরিবৃত। হঠাৎ তাকে তার কাজ সম্পন্ন করতে দেখে পাশে দণ্ডায়মান বিষ্ণু বললেন- "তুমি জল থেকে জন্ম নিয়েছ"। তাই তোমাকে অব্জ (জলজাত) হিসাবে স্মরণ করা হবে। অব্জ বিষ্ণুকে বললেন- “হে প্রভু পরমেশ্বর! আমি আপনার পুত্র। পৃথিবীতে আমার যজ্ঞভাগ ও স্থান নির্ধারণ করুন ।" এইভাবে বলা হলে, ভগবান বাস্তবিক অবস্থান পর্যালোচনা করার পর বললেন, "যজ্ঞের বিভাজন ইতিমধ্যেই দিতিপুত্রগণের পাশাপাশি সুরগণও সম্পন্ন করেছেন। হোম প্রভৃতির যথাযথ কার্যকারিতা মহর্ষিগণ বেদে নির্ধারণ করেছেন। তুমি বেদের পরে জন্মেছো। তাই যজ্ঞে আবাহনের উপযুক্ত তোমার কোনো মন্ত্র নেই । হে দেব! তোমার দ্বিতীয় অবতারে তুমি পৃথিবীতে যশ লাভ করবে। তখন তুমি অণিমাদি বিবিধ সিদ্ধি অর্জন করবে। দেব! স্বয়ং এই দেহে তুমি দেবত্ব লাভ করবে। ব্রাহ্মণ (ও অন্যান্য দ্বিজাতিগণ) চতুর্মন্ত্র (অর্থাৎ চার বেদের মন্ত্র), ঘি ও গব্য (দুধ ও দুধ থেকে প্রাপ্ত পূজার উপকরণ) দ্বারা তোমার পূজা করবে। তুমি পুনর্বার আয়ুর্বেদের (চিকিৎসা বিজ্ঞান) প্রচলন করবে। (আমার দ্বারা তোমার প্রতি কথিত) এই ঘটনাবলী অনিবার্য ও ইতিমধ্যেই পদ্মযোনি (ব্রহ্মা) কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে। নিঃসন্দেহে তুমি দ্বিতীয় দ্বাপর যুগে জন্মগ্রহণ করবে”। অতএব বর দেওয়ার পর বিষ্ণু অন্তর্হিত হয়ে গেলেন।

— ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ, অধ্যায় ৬৭

অবতার[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় দ্বাপর যুগে, কাশীরাজ দীর্ঘতপা পুত্র কামনায় বৈদ্য ধন্বন্তরির আরাধনা করেন। দেবতা বর হিসেবে কাঙ্খিত সন্তান রূপে স্বয়ং অবতরণ করতে রাজি হন। ধন্বন্তরি এক মহান রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তাকে "সমস্ত ব্যাধি দূরকারী" বলে বর্ণনা করা হয়। তিনি জরামুক্ত ও "সর্বজনীন জ্ঞানের গুরু" হিসাবেও স্বীকৃত।[৮] ঋষি ভরদ্বাজ তাকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার পাঠ শিক্ষা দান করেন তথা ঔষধিবিদ্যার আদি জনক করে তোলেন। রাজা তার চিকিৎসাবিদ্যাজ্ঞানের আটটি ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করে বিভিন্ন শিষ্যের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেন।[১৪]

ধন্বন্তরী ও মনসা[সম্পাদনা]

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে, একবার ধন্বন্তরী তাঁর শিষ্যযুক্ত হয়ে কৈলাশে যাত্রা করছিলেন। পথে তক্ষক নামে এক নাগ বিষ নিক্ষেপ করে হিসহিস্ করতে লাগল। এক শিষ্য তক্ষকের মস্তকের হীরেটি ছিনিয়ে নিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে মারল। এই ঘটনাগুলি জানতে পেরে, শক্তিশালী সর্প-রাজ বাসুকি দ্রোণ, পুণ্ডরিক ও ধনঞ্জয়ের নেতৃত্বে হাজার হাজার সর্পকে শিষ্যদলের বিরুদ্ধে জড়ো করেন। বিষ নির্গতকারী এই সমস্ত সর্পগণ একত্রে ধন্বন্তরীর শিষ্যদের অজ্ঞান করে দেয়। অবিলম্বে, ধন্বন্তরী "বনস্পতি" থেকে একটি ওষুধ তৈরি করেন। তার ফলে তার শিষ্যরা সুস্থ হয়ে ওঠে ও সাপগুলিকে একে একে অজ্ঞান করে দেয়। যখন বাসুকি বুঝতে পারলেন কি ঘটেছে, তিনি ধন্বন্তরীর মুখোমুখি হওয়ার জন্য শৈব সর্প দেবী মনসাকে প্রেরণ করেন। মনসা ধন্বন্তরীর শিষ্যদের অজ্ঞান করে দেন। কিন্তু যেহেতু ধন্বন্তরি "বিশ্ববিদ্যা" শিল্পে পারদর্শী ছিলেন, তাই তিনি শীঘ্রই তার শিষ্যদের চেতনা ফিরিয়ে আনেন। মনসা যখন ধন্বন্তরী বা তাঁর শিষ্যদের পরাজিত করা অসম্ভব বলে মনে করলেন তখন তিনি শিবের দেওয়া ত্রিশূল ধারণ করে তা ধন্বন্তরীর প্রতি নিক্ষেপ করতে উদ্যত হলেন। তা দেখে শিবব্রহ্মা তাদের সামনে আবির্ভূত হয়ে শান্তি স্থাপন করে তাদের সকলকে স্ব-স্ব স্থানে পাঠিয়ে দিলেন।[১৫]

তারকেশ্বর মন্দিরে ধন্বন্তরীর মূর্তি

মন্দির[সম্পাদনা]

ভারত[সম্পাদনা]

ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদ সংকুল আনন্দে যা ভারতের মিল্ক সিটি, আনন্দ, গুজরাটে অবস্থিত আয়ুর্বেদ-এর একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান।

মহারাষ্ট্র[সম্পাদনা]

কোঙ্কনে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার দাপোলিতে একটি ধন্বন্তরি মন্দির রয়েছে। এটি ডোঙ্গারে পরিবারের অন্তর্গত ও বৈদ্য অনিরুদ্ধ ডোঙ্গারের মালিকানা ও পরিচালনাধীন। কোঙ্কন ও মহারাষ্ট্রের অনেক ভক্ত মন্দিরে যান ও প্রার্থনা করেন।

কেরালা, তামিলনাড়ু, ও পুদুচেরি[সম্পাদনা]

দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে কেরালাতামিলনাড়ু ধন্বন্তরীর উদ্দেশ্যে কয়েকটি উৎসর্গীকৃত মন্দির রয়েছে। সেখানে আয়ুর্বেদ অত্যন্ত চর্চা ও পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। কেরালার থট্টুভা ধন্বন্তরি মন্দির একটি বিশেষ বিখ্যাত মন্দির যেখানে ভগবান ধন্বন্তরির মূর্তি প্রায় ছয় ফুট লম্বা ও পূর্বমুখী। ডান হাতে ভগবান অমৃত ও বাম হাতে অট্ট, শঙ্কু ও চক্র ধারণ করেন। 'একাদশী' দিবস উদযাপন 'গুরুবায়ুর একাদশী'-এর মতো একই দিনে পড়ে যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

তামিলনাড়ু-এর শ্রী রঙ্গনাথস্বামী মন্দির, শ্রীরঙ্গম প্রাঙ্গণে একটি ধন্বন্তরী মন্দির আছে যেখানে প্রতিদিন দেবতার পূজা করা হয়। এই মন্দিরের সামনে একটি খোদাই করা পাথর রয়েছে যা ১২ শতকের বলে ধারণা করা হয়। শিলালিপি অনুসারে, মহান্ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক গরুড় বাহন ভট্ট মন্দিরের ভিতরে মূর্তিটি স্থাপন করেছিলেন। একটি প্রসাদ তীর্থম বা ভেষজের ক্বাথ দর্শনার্থীদের দেওয়া হয়। মন্দিরটি রাজ্যের প্রাচীনতম ধন্বন্তরী মন্দির৷[১৬] কাঞ্চিপুরম-এর বরদরাজ পেরুমল মন্দিরের দ্বিতীয় প্রাঙ্গণে আরো একটি ধন্বন্তরী মন্দির পাওয়া যায়।[১৭]

তামিলনাড়ু-এর সিদ্ধর ঐতিহ্যে, ধন্বন্তরি প্রাচীনকালের ১৮ জন সম্মানিত সিদ্ধরের একজন। বৈতীশ্বরন কোয়েল বা বৈঠীশ্বরনকোয়েল, মায়িলাদুথুরাই, তামিলনাড়ু-তে পুলিরুকুবেলুর গ্রামে তার জীব সমাধি বাড়ি।[১৮][১৯][২০]

কেরালা, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির ধন্বন্তরী মন্দিরগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • নেলুভাই ধন্বন্তরি মন্দির, ওয়াদাক্কাঞ্চেরি, ত্রিশুর, কেরালা।
  • শ্রী দানবন্ত্রী আরোগ্য পীড়ম, ওয়ালাজাপেট, ভেলোর জেলা, তামিলনাড়ু। [২১]
  • থেভালাক্কাডু শ্রী ধন্বন্তরি মন্দির, কুলশেখরমঙ্গলম পোস্ট, ভাইকম, কোট্টায়াম, কেরালা। [২২]
  • আনাক্কাল ধনোয়ান্তরি মন্দির, থানিয়াথুকুনু, ত্রিশুর। [২৩]
  • শ্রী ধন্বন্তরী মন্দির, রমানাথপুরম, কোয়েম্বাটোর, তামিলনাড়ু। [২৪]
  • শ্রী ধন্বন্তরী মন্দির, মারুথরভাত্তম, চেরথালা, কেরালা। [২৫]
  • শ্রী ধন্বন্তরী মন্দির, প্রায়িকারা, মাভেলিকারা, আলেপ্পি, কেরালা। [২৬]
  • শ্রী ধন্বন্তরী মন্দির এলানথুর, পাঠানমথিট্টা, কেরালা
  • শ্রী ধন্বন্তরী মন্দির কানাক্কুর, আলাপ্পুঝা, কেরালা
  • শ্রী ধন্বন্তরী মন্দির পুথাকুলাম, কোল্লাম, কেরালা
  • শ্রী ধন্বন্তরী মন্দির, গোপবন্ধু আয়ুর্বেদ মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাস, পুরী, ওড়িশা
  • সঞ্জীবী বিনয়কর মন্দির, জিপমার ক্যাম্পাসের মধ্যে শ্রী ধন্বন্তরী স্বামী সন্নিধি
  • শ্রী অলক্কলমান্না ধনোয়ানথারি মন্দিরটি মালাপ্পুরম জেলার পেরিন্তালমান্না তালুকের অঙ্গদিপপুরম পঞ্চায়েতের এরানথোদ গ্রামে অবস্থিত।
  • কোল্লাম জেলায় (বুথকুলাম) পারভুরে শ্রী মুরারি ধন্বন্তরী মূর্তি ক্ষেত্রম মন্দির রয়েছে। এটি থুন্ডাবিল্ল নামক একটি পরিবারের অন্তর্গত। এটি পরিবারের সদস্যদেরই মালিকানাধীন ও তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়। মানুষ সেখানে প্রিয়জনদের জন্য প্রার্থনা করুন ও ভগবানের কাছে পালপায়সম নিবেদন করেন।
  • শ্রী ধন্বন্তরী মন্দির, পল্লুরুথি, কোচি, কেরালা হল একটি ছোট মন্দির যা গৌড় সারস্বত ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় দ্বারা পরিচালিত হয়।

অন্যবিধ[সম্পাদনা]

বারাণসেয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, বারাণসি, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে ধন্বন্তরীর একটি মূর্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাদুঘরে রয়েছে। দুটি মূর্তি আয়ুর্বেদ ও সিদ্ধে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ফর রিসার্চ-এর নয়া দিল্লি সদর দফতরে রয়েছে। আয়ুর্বেদ মহাসম্মেলন অফিসের ভিতরে আরেকটি মূর্তি রয়েছে।নয়াদিল্লির ধন্বন্তরী ভবন ও ধন্বন্তরীর একটি মূর্তি হরিদ্বার-এর মহিয়াল আশ্রমে রয়েছে৷

নেপাল[সম্পাদনা]

ধন্বন্তরী মন্দির, জয়বাগেশ্বরী, কাঠমান্ডু

কাঠমান্ডু-এর জয়বাগেশ্বরী পাড়ায় ধন্বন্তরিকে উৎসর্গিত একটি শিকার শৈলীর মন্দির রয়েছে। মন্দিরটি বিখ্যাত পশুপতিনাথ মন্দির-এর কাছাকাছি।

স্মরণ[সম্পাদনা]

দীপাবলির দুই দিন আগে, ধনতেরাস-এ নিজের ও আত্মীয়-পরিজনদের সুস্থ স্বাস্থ্যের উদ্দেশ্যে ভক্তরা ধন্বন্তরীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।[২৭] এ দিনটি ভারতে জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবেও পালিত হয় যা ২০১৬ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল।[২৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Dhanvantari, Dhanvamtari: 22 definitions"। ২৯ জুন ২০১২। 
  2. Bhagavata Purana Skandha IX Chapter 17
  3. Hudson, D. Dennis (২০০৮-০৯-২৫)। The Body of God: An Emperor's Palace for Krishna in Eighth-Century Kanchipuram (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 548। আইএসবিএন 978-0-19-970902-1 
  4. www.wisdomlib.org (২০১২-০৬-২৯)। "Dhanvantari, Dhanvamtari: 22 definitions"www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৬ 
  5. Frawley, David (২০১২)। Soma in Yoga and Ayurveda: The Power of Rejuvenation and Immortality (ইংরেজি ভাষায়)। Lotus Press। পৃষ্ঠা 287। আইএসবিএন 978-0-940676-21-3 
  6. www.wisdomlib.org (২০১২-০৬-২৯)। "Dhanvantari, Dhanvamtari: 22 definitions"www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০২ 
  7. Gray, Louis H. (১৯২২)। "The Indian God Dhanvantari"Journal of the American Oriental Society42: 323–337। আইএসএসএন 0003-0279জেস্টোর 593645ডিওআই:10.2307/593645 
  8. www.wisdomlib.org (২০১৪-০৮-৩০)। "Lineage of Ayu and origin of Dhanvantari [Chapter VIII]"www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০২ 
  9. Stutley, Margaret (২০১৯-০৪-০৯)। The Illustrated Dictionary of Hindu Iconography (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 123। আইএসবিএন 978-0-429-62425-4 
  10. Lad, Vasant (২০০২)। Textbook of Ayurveda (ইংরেজি ভাষায়)। Ayurvedic Press। পৃষ্ঠা 119। আইএসবিএন 978-1-883725-07-5 
  11. Harekrishna Satapathy (২০১০)। Valmiki Ramayana: Balakanda। Rashtriya Sanskrit Vidyapeetha। পৃষ্ঠা 556। 
  12. Madhavan 2007, p. 107
  13. [১][২][৩][৪] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে[৫]Dhanvantari-Nighantu
  14. www.wisdomlib.org (২০১৯-০৬-২১)। "The origin of Dhanvantari [Chapter 67]"www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০২ 
  15. www.wisdomlib.org (২০১৯-০১-২৮)। "Story of Dhanvantari"www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০২ 
  16. Madhavan 2007, p. 108
  17. Madhavan 2007, p. 110
  18. R. N. Hema (ডিসেম্বর ২০১৯)। Biography of the 18 Siddhars (গবেষণাপত্র)। National Institute of Siddha। 
  19. "Siddhars"www.bestnadiastrologer.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-৩০ 
  20. "18 Siddhars"www.satsang-darshan.com। ২০২৩-০৫-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২ 
  21. "Sri Danvantri Temple"www.danvantritemple.org 
  22. "Thevalakkadu Sree Dhanwanthari Temple Kulasekharamangalam, Vaikom, Kottayam, Kerala, India"www.sreedhanwantharitemple.in। ১০ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২৩ 
  23. "Welcome"। ২২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  24. http://temples.avpayurveda.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ মার্চ ২০১৪ তারিখে
  25. "Official website of Maruthorvattom Sree Dhanwanthari Temple: Temple of Lord Dhanwanthari, the Master God of Ayurveda"www.dhanwantharitemple.org। ৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২৩ 
  26. "Sree Dhanwanthari Temple Prayikara, Mavelikara"sreedhanwantharitemple.com 
  27. "Dhanteras to be observed as National Ayurveda Day - Times of India"The Times of India 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]