লক্ষ্মী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লক্ষ্মী
মা দেবী,
সমৃদ্ধির দেবী, ভাগ্য, সম্পদ, শক্তি, প্রেম, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য[১][২] এবং মায়া

বৈষ্ণবধর্মে পরম দেবী[৩]

পরব্রহ্ম[৪]
ত্রিদেবী এবং পঞ্চ প্রকৃতির গোষ্ঠীর সদস্য
রাজা রবি বর্মার আঁকা "শ্রী গজা লক্ষ্মী" (১৮৯৬)
অন্যান্য নামশ্রী, নারায়ণী, ভার্গবী, ভগবতী, পদ্মা, কমলা, বৈষ্ণবী, লক্ষ্মী
দেবনাগরীलक्ष्मी
অন্তর্ভুক্তি
আবাসবৈকুণ্ঠ, মণিদ্বীপ
মন্ত্রওঁ শ্রীং লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ
গায়ত্রী মন্ত্র : ওঁ মহালক্ষ্ম্যৈ বিদ্মহে মহাশ্রীয়ৈ ধীমহি তন্নোঃ শ্রী প্রচোদয়াৎ।
প্রনাম মন্ত্র : ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে। সর্ব্বত পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমহস্তুতে।।
প্রতীকসমূহপদ্ম, শঙ্খ, চক্র, গদা, জ্ঞান মুদ্রা, গদা, বরদমুদ্রা, স্বর্ণ
দিবসবৃহস্পতিবার
বাহনগরুড় , পেঁচা, হাতি, সিংহ
উৎসবদীপাবলি (লক্ষ্মীপূজা), শারদ পূর্ণিমা, ভারলক্ষ্মী ব্রত, নবরাত্রি, সংক্রান্তি[৫]
ব্যক্তিগত তথ্য
সহোদরজ্যেষ্ঠা বা অলক্ষ্মী, চন্দ্র
সঙ্গীবিষ্ণু[৯]
সন্তানকামদেব[৬]

• বালা এবং উত্সাহ (বায়ুপুরাণ)[৭]

• কর্দমা, চিকলিতা এবং অন্যান্য ১৬ জন পুত্র (ঋগ্বেদ)[৮]
লক্ষ্মী (Lakṣmī)
শব্দের অনুবাদসমূহ
বাংলালক্ষ্মী (Lakṣmī)
সংস্কৃতलक्ष्मी (Lakṣmī)
গুজরাটিલક્ષ્મી (Lakṣmī)
হিন্দিलक्ष्मी (Lakṣmī)
কন্নড়ಲಕ್ಷ್ಮೀ (Lakṣmī)
মারাঠিलक्ष्मी (Lakṣmī)
ওড়িয়াଲକ୍ଷ୍ମୀ (Lakṣmī)
তামিলலக்ஷ்மீ (Lakṣmī)
তেলুগুలక్ష్మీ (Lakṣmī)
হিন্দুধর্মের প্রবেশদ্বার

লক্ষ্মী (সংস্কৃত: लक्ष्मी) হলেন একজন হিন্দু দেবী। তিনি ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী।পার্বতী এবং সরস্বতীর সাথে তিনি ত্রিদেবীর একজন।[১০] তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী ইনি স্বত্ত্ব গুন ময়ী। জৈন স্মারকগুলিতেও লক্ষ্মীর ছবি দেখা যায়। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। লক্ষ্মী ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তিনি বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস। মহাবিশ্বের সৃষ্টি, সুরক্ষা এবং রূপান্তর করতে বিষ্ণুকে সহায়তা করেন।[১১] যখন বিষ্ণু অবতার হিসেবে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন, তখন লক্ষ্মী তার সাথে সঙ্গী হিসেবে আসেন।[১২] যেমন রামকৃষ্ণ রূপে অবতার গ্রহণ করলে, লক্ষ্মী সীতা,রাধা, রুক্মিণী রূপে তাঁদের সঙ্গিনী হন।[১৩][১৪][১৫] [১৬] লক্ষ্মীর আটটি বিশিষ্ট প্রকাশ অষ্টলক্ষ্মী, যা সম্পদের আটটি উৎসের প্রতীক।[১৭] প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার এবং প্রাচীন মুদ্রাগুলি খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দের মধ্যে লক্ষ্মীর প্রতি স্বীকৃতি এবং শ্রদ্ধার ইঙ্গিত দেয়।[১৮][১৯] লক্ষ্মীর মূর্তি ও মূর্তিগুলি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে হিন্দু মন্দিরগুলিতেও পাওয়া গেছে, অনুমান করা হয় এগুলি প্রথম সহস্রাব্দের দ্বিতীয়ার্ধর।[২০][২১] লক্ষ্মী পূজা অধিকাংশ হিন্দুর গৃহেই অনুষ্ঠিত হয়। নবরাত্রির সময় দীপাবলিশারদ পূর্ণিমা বা কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তার বিশেষ পূজা হয়।[২২] এটি কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা নামে খ্যাত। বাঙালি হিন্দুরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করে থাকেন।[২৩]

ব্যুৎপত্তি ও উপাধি[সম্পাদনা]

প্রতীকতা ও মূর্তিতত্ত্ব[সম্পাদনা]

বৌদ্ধ সাঁচি স্তূপে গজলক্ষ্মীর বাস কারুশিল্প , স্তূপ I, উত্তর প্রবেশদ্বার, সাতবাহন সাম্রাজ্যের ভাস্কর্য, ১ম শতাব্দী খ্রি. [২৪]

লক্ষ্মী হলেন ত্রিদেবীর একজন। তিনি রজঃ গুণ এবং ইচ্ছাশক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন ।[২৫][২৬]

লক্ষ্মীর মূর্তি, প্রতিমা এবং ভাস্কর্যগুলিকে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করা হয়। লক্ষ্য জানা এবং উদ্দেশ্য বোঝার জন্য তার নাম সংস্কৃত মূল শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে।[২৭] তার চার হাত চার পুরুষার্থের প্রতীক বলে বিবেচিত হয়, যেগুলো হচ্ছে: ধর্ম (নৈতিক, নৈতিক জীবনের সাধনা), অর্থ (ধন-সম্পদ, জীবনের উপায়), কাম (প্রেমের সাধনা, মানসিক পরিপূর্ণতা), এবং মোক্ষ (আত্ম-জ্ঞানের সাধনা, মুক্তি)।[২৮][২৯]

লক্ষ্মীর প্রতীকীচিত্রে, তিনি পদ্মের উপর বসে থাকেন বা দাঁড়িয়ে থাকেন এবং প্রথম অথবা দ্বিতীয় হস্তে সাধারণত পদ্ম ধারণ করেন। পদ্ম হিন্দুধর্ম এবং অন্যান্য ভারতীয় ঐতিহ্যে প্রতীকী অর্থ বহন করে। এটি বৈদিক প্রেক্ষাপটে জ্ঞান, আত্মোপলব্ধি এবং মুক্তির প্রতীক এবং তন্ত্র ( সহস্রার ) প্রসঙ্গে বাস্তবতা, চেতনা এবং কর্মের প্রতিনিধিত্ব করে।[৩০] পরিষ্কার বা অপরিষ্কার জলে পদ্ম ফুটে, যা ভাল অথবা খারাপ পরিস্থিতি নির্বিশেষে বিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি একটি অনুস্মারক যে ভাল এবং সমৃদ্ধি প্রস্ফুটিত হতে পারে এবং একজনের আশেপাশের মন্দ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে না।[৩১][৩২]

স্কন্দপুরাণে লক্ষ্মী সহস্রনাম , লক্ষ্মী তন্ত্র , মার্কন্ডেয় পুরাণ , দেবী মাহাত্ম্য এবং বৈদিক শাস্ত্রে লক্ষ্মীর আঠারো হাতের কথা বর্ণনা করা আছে এবং তার আঠার হাতে জপমালা, কুঠার, গদা, শর, বজ্র, পদ্ম, কলস, দণ্ড, তরবারি, ঢাল, শঙ্খ, ঘণ্টা, মদিনা পাত্র, ত্রিশূল, ফাঁস এবং চক্র রয়েছে।[৩৩][৩৪][৩৫]

লক্ষ্মীর নীচে, পিছনে বা পাশে, প্রায়শই এক বা দুটি হাতি (যা গজলক্ষ্মী নামে পরিচিত) এবং মাঝে একটি পেঁচা দেখানো হয়।[৩৬] হাতিকে ব্যাপক সমৃদ্ধির জন্য কাজ, শক্তি, জল, বৃষ্টি এবং উর্বরতার প্রতীক ধরা হয়।[৩৭] আর যখন চারপাশে অন্ধকার থাকে, পেঁচা তখন রোগী পর্যবেক্ষণ, দৃষ্টি ও জ্ঞান আবিষ্কারের প্রচেষ্টা করে। দিনের আলোতে অন্ধ হয়ে যাওয়া একটি পাখি হিসাবে, পেঁচা জ্ঞান এবং সম্পদ অর্জনের পরে অন্ধত্ব এবং লোভ থেকে বিরত থাকার প্রতীকী অনুস্মারক হিসাবেও দেখা হয়।[৩৮] ঐতিহাসিক ডিডি কোসাম্বির মতে, অধিকাংশ ইম্পেরিয়াল গুপ্ত রাজা বৈষ্ণব ছিলেন এবং দেবী লক্ষ্মীকে সর্বোচ্চ সম্মান করতেন।[৩৯] তাদের শাসনামলে বেশিরভাগ মুদ্রায় দেবী লক্ষ্মী সিংহবাহিনী (সিংহের মতো পর্বত) ছিল।[৪০] গুপ্ত শাসক প্রকাশদিয়ার শাসনামলের মুদ্রায় গরুড়ধ্বজা এবং উল্টোদিকে লক্ষ্মী রয়েছে।[৩৯] গুপ্ত যুগের ভাস্কর্য শুধুমাত্র লক্ষ্মীর সাথে সিংহকে যুক্ত করা হতো, কিন্তু পরে দুর্গা বা উভয় দেবীর সম্মিলিত রূপকে প্রকাশ করা হয়েছিল। [৪১][৪২][৪৩] সিংহ আবার বীর লক্ষ্মীর সাথে যুক্ত, যিনি অষ্টলক্ষ্মীর একজন।[৪৪] ইতিহাসবিদ বিসি ভট্টাচার্য মতে, “দুটি সিংহের সাথে গজলক্ষ্মীর একটি মূর্তি পাওয়া যায় - একটি তার দুই পাশে। তার মাথার কাছে দুটি হাতিও দেখানো হয়েছে এবং এর দ্বারা আমরা বলতে পারি যে গরুড়ের সাথে সিংহও লক্ষ্মীর বাহন।"[৪৫]

তার একটি হাতে কলসীতে বিদ্যমান যা মূল্যবান সম্পদের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক সম্পদেরও প্রতীকীরূপ।[৩০] তার খোলা হাতে একটি মুদ্রা রয়েছে যা করুণা বা দান করা বোঝায়।[২৯]

লক্ষ্মীর পোশাকটি লাল বর্ণের স্বর্ণখোচিত কারুকাজ করা, যা সৌভাগ্য এবং সম্পদের প্রতীক। তিনি ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী, প্রায়শই তার স্বামী বিষ্ণুর সাথে প্রতিনিধিত্ব করেন। বিষ্ণু হলো পালনকর্তা, যিনি ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ মানব জীবন বজায় রাখেন। এর প্রতীকী অর্থ সম্পদ এবং সমৃদ্ধি জীবন, ন্যায়বিচার এবং শান্তির পৃষ্টপোষক।[৩০]

অন্ডাল দেবীর কোলে মাথা রেখে ভগবান বিষ্ণু

জাপানে দেবী লক্ষ্মী কিশোতেন নামে পরিচিত , তাকে সাধারণত তার হাতে নিয়োইজু রত্ন (如意宝珠 / চিন্তামনি) দিয়ে চিত্রিত করা হয়।

সাহিত্য[সম্পাদনা]

বেদ ও ব্রাহ্মণ[সম্পাদনা]

মহাকাব্য[সম্পাদনা]

উপনিষদ[সম্পাদনা]

স্তোত্রম এবং সূত্র[সম্পাদনা]

পুরাণ[সম্পাদনা]

সুভাষিত, জিনোমিক এবং শিক্ষামূলক সাহিত্য[সম্পাদনা]

পৌরাণিক ও লৌকিক কথা[সম্পাদনা]

ব্রতকথা[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলি পাঁচালির আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। একে লক্ষ্মীর পাঁচালি বলে। লক্ষ্মীর ব্রতকথাগুলির মধ্যে "বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা" সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও "বারোমাসের পাঁচালি"-তেও লক্ষ্মীকে নিয়ে অনেক লৌকিক গল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা[সম্পাদনা]

পেচকবাহিনী লক্ষ্মী

বাঙালি হিন্দুরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর সাপ্তাহিক পূজা করে থাকেন। এই পূজা সাধারণত বাড়ির সধবা স্ত্রীলোকেরাই করে থাকেন। "বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা"-য় এই বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীব্রত ও পূজা প্রচলন সম্পর্কে একটি যে লৌকিক গল্পটি রয়েছে, তা এইরকম: এক দোলপূর্ণিমার রাতে নারদ বৈকুণ্ঠে লক্ষ্মী ও নারায়ণের কাছে গিয়ে মর্ত্যের অধিবাসীদের নানা দুঃখকষ্টের কথা বললেন। লক্ষ্মী মানুষের নিজেদের কুকর্মের ফলকেই এই সব দুঃখের কারণ বলে চিহ্নিত করলেন।. কিন্তু নারদের অনুরোধে মানুষের দুঃখকষ্ট ঘোচাতে তিনি মর্ত্যলোকে লক্ষ্মীব্রত প্রচার করতে এলেন। অবন্তী নগরে ধনেশ্বর নামে এক ধনী বণিক বাস করতেন। তার মৃত্যুর পর তার ছেলেদের মধ্যে বিষয়সম্পত্তি ও অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া চলছিল। ধনেশ্বরের বিধবা পত্নী সেই ঝগড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে বনে আত্মহত্যা করতে এসেছিলেন। লক্ষ্মী তাকে লক্ষ্মীব্রত করার উপদেশ দিয়ে ফেরত পাঠালেন। ধনেশ্বরের স্ত্রী নিজের পুত্রবধূদের দিয়ে লক্ষ্মীব্রত করাতেই তাদের সংসারের সব দুঃখ ঘুচে গেল। ফলে লক্ষ্মীব্রতের কথা অবন্তী নগরে প্রচারিত হয়ে গেল। একদিন অবন্তীর সধবারা লক্ষ্মীপূজা করছেন, এমন সময় শ্রীনগরের এক যুবক বণিক এসে তাদের ব্রতকে ব্যঙ্গ করল। ফলে লক্ষ্মী তার উপর কুপিত হলেন। সেও সমস্ত ধনসম্পত্তি হারিয়ে অবন্তী নগরে ভিক্ষা করতে লাগল। তারপর একদিন সধবাদের লক্ষ্মীপূজা করতে দেখে সে অনুতপ্ত হয়ে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চাইল। লক্ষ্মী তাকে ক্ষমা করে তার সব ধনসম্পত্তি ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে সমাজে লক্ষ্মীব্রত প্রচলিত হল।[৪৬]

প্রকাশ এবং দিক[সম্পাদনা]

সৃষ্টি এবং কিংবদন্তি[সম্পাদনা]

পূজা[সম্পাদনা]

ধ্যানমন্ত্র[সম্পাদনা]

ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ-সৃণিভির্ষাম্য-সৌম্যয়োঃ।
পদ্মাসনাস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলোক্যমাতরম্।।
গৌরবর্ণাং সুরুপাঞ্চ সর্বলঙ্কার-ভূষিতাম্।
রৌক্মপদ্ম-ব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।

অর্থঃ দক্ষিণহস্তে পাশ, অক্ষমালা এবং বামহস্তে পদ্ম ও অঙ্কুশধারিণী, পদ্মাসনে উপবিষ্টা, শ্রীরূপা, ত্রিলোকমাতা, গৌরবর্ণা, সুন্দরী, সর্বালঙ্কারভূষিতা, ব্যগ্রহস্তে স্বর্ণপদ্মধারিণী এবং দক্ষিণহস্তে বরদাত্রী দেবীকে ধ্যান করি।

পুজো শুরুর আগে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিন নিজের ও সকলের মাথায় ও পূজার স্থানে। তারপর নারায়ণকে মনে মনে স্মরণ করে পূজা শুরু করুন। পূজার স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখুন। এই জল সূর্য দেবতাকে অর্পণ করার জন্য। তিনি সকল শক্তির উৎস। তাকে ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। তাই তাকে জল দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যদেবতাকে স্মরণ করুন।

এরপর ঘট স্থাপনের পালা। মাটির একটি গোল ডেলা মত করে নিন, সমান করে নিন। তার ওপর ঘট বসান। এবং ঘটের সামনে একটু ধান ছড়িয়ে দিন। ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন সিঁদুর দিয়ে। ঘটের ওপর আমের পাতা রাখুন। পাতার সংখ্যা যেন বিজোড় হয়। আর পাতার ওপর তেল সিঁদুরের ফোঁটা দেবেন। ঘটে গঙ্গাজল দিয়ে তার ওপর আমের পাতা রাখুন। পাতার ওপর একটা হরিতকী, ফুল, দুব্বো, সব দিয়ে ঘট সাজান। ইচ্ছা করলে ঘটে ও লক্ষ্মীকে একটি করে মালাও পরাতে পারেন।

ঘট স্থাপনের পর মাকে প্রণাম করার পালা। ধ্যান মন্ত্রে মা কে

প্রণাম করুন।

এরপর মা লক্ষ্মীকে আপনার ঘরে আবাহন করবেন আহবান মন্ত্র সহযোগে। না জানলে মাকে মনে মনে আহবান জানান। হাত নমস্কার করে চোখ বন্ধ করে, বলুন এসো মা আমার গৃহে প্রবেশ কর। আমার গৃহে অধিষ্ঠান কর। আমার এই সামান্য আয়োজন, নৈবিদ্য গ্রহণ কর মা। এইভাবে মাকে আহবান জানাবেন ।

এরপর আপনার পূজাদ্রব্যগুলি একে একে লক্ষ্মীকে দেবেন।

লক্ষ্মী আপনার গৃহে পূজা নিতে এলেন, তাই প্রথমেই একটুখানি জল ঘটের পাশে লক্ষ্মীপদচিহ্নে দেবেন। এটি মা লক্ষ্মীর পা ধোয়ার জল। এরপর দুর্বা ও একটু আতপ চাল ঘটে দেবেন। এটি হল অর্ঘ্য। এর সঙ্গে একটি ফুলও দিতে পারেন। এরপর লক্ষ্মীকে একটি চন্দনের ফোঁটা দেবেন। লক্ষ্মীর প্রতিমা না থাকলে ফুলে চন্দন মাখিয়ে ঘটে দেবেন। এরপর লক্ষ্মীকে ফুল দেবেন। তারপর প্রথমে ধূপ ও তারপর প্রদীপ দেখাবেন। শেষে নৈবেদ্যগুলি নিবেদন করে দেবেন। তারপর ফুল দিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দেবেন। মন্ত্র— এয সচন্দনপুষ্পাঞ্জলি ওঁ শ্রী লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ। (শ্রী উচ্চারণ হবে শ্রীং, নমঃ উচ্চারণ হবে নমহ।) পুষ্পাঞ্জলি এক, তিন বা পাঁচ বার দিতে পারেন। পুষ্পাঞ্জলির পর নারায়ণের উদ্দেশ্যে একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা ঘটে দেবেন। তারপর ইন্দ্র ও কুবেরের নামে দুটি ফুলও ঘটে দেবেন। মা লক্ষ্মীর পেচককেও একটি ফুল দেবেন। তারপর দেবীকে প্রণাম করুন। এরপর সবশেষে লক্ষ্মীদেবীর পাঁচালী পড়ে পূজা শেষ করুন।

মা লক্ষ্মীপূজায় নিষিদ্ধ বিষয় ১. মায়ের পূজায় লোহা বা স্টিলের বাসনকোসন ব্যবহার করবেন না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে মা লক্ষ্মী ত্যাগ করে যান।

২. মায়ের পূজায় কাঁসর ঘণ্টা বাজাতে নেই, শুধু শাঁখ বাজান

৩. দেবীর ঘটে তুলসীপাতাও দেবেন না।

৪. ঘটের পাশে মায়ের একটি পা অবশ্যই আঁকবেন ।

৫. লক্ষ্মীপূজার পর একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা দিয়ে শ্রী নারায়ণকে পূজা করতে হয়।

৬. লক্ষ্মীপূজা সাধারণত সন্ধ্যাবেলা করে, তবে অনেকে

সকালেও করে থাকেন। সকালে করলে সকাল ন-টার মধ্যে

করে নেওয়াই ভাল।

লক্ষ্মীপূজা

মন্দির[সম্পাদনা]

স্তব[সম্পাদনা]

নমস্তেহস্তু মহামাযে শ্রীপীঠে সুরপূজিতে ।

শঙ্খচক্রগদাহস্তে মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ১ ৷৷

নমস্তে গরুডারূটে কোলাসুরভয়ঙ্করি ।

সর্বপাপহরে দেবি মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ৷৷ ২৷৷

সর্বজ্ঞে সর্ববরদে সর্বদুষ্টভযঙ্করি । সর্বদুঃখহরে দেবি মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ৩।।

সিদ্ধিবুদ্ধিপ্রদে দেবি ভুক্তিমুক্তিপ্রদাযিনি ।

মন্ত্রপূতে সদা দেবি মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। 8 ।।

আদ্যন্তরহিতে দেবি আদ্যশক্তিমহেশ্বরি । যোগজে যোগসম্ভূতে মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।৷ ৫৷৷

স্থূলসূক্ষ্মমহারৌদ্রে মহাশক্তিমহোদরে । মহাপাপহরে দেবি মহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ৬৷৷

পদ্মাসনস্থিতে দেবি পরব্রহ্মস্বরূপিণি । পরমেশি জগন্মাতমহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ৭৷৷

শ্বেতাম্বরধরে দেবি নানালঙ্কারভূষিতে । জগতিস্থতে জগন্মাতমহালক্ষ্মি নমোহস্তুতে ।। ৮৷৷

মহালক্ষ্ম্যষ্টকং স্তোত্রং যঃ পঠেদ্ভক্তিমান্নরঃ । সর্বসিদ্ধিমবাপ্নোতি রাজ্যং প্রাপ্নোতি সর্বদা ৷৷ ৯৷৷

এককালে পঠেন্নিত্যং মহাপাপবিনাশনম্ । দ্বিকালং যঃ পঠেন্নিত্যং ধনধান্যসমন্বিতঃ ।।১০।।

ত্রিকালং যঃ পঠেন্নিত্যং মহাশত্রুবিনাশনম্ । মহালক্ষ্মিভবেন্নিত্যং প্রসন্না বরদা শুভা ।। ১১ ৷৷

ইতি শ্রীমহালক্ষ্মীস্তব ।।

প্রত্নতত্ত্ব[সম্পাদনা]

হিন্দু ধর্মের বাইরে[সম্পাদনা]

জৈন ধর্ম[সম্পাদনা]

বৌদ্ধধর্ম[সম্পাদনা]

অবতার[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

    1. Journal of Historical Research, Volumes 28-30। Department of History, Ranchi University। ১৯৯১। পৃষ্ঠা 3। Lord Visnu is the refuge of the world and Goddess Lakshmi is the energy behind the Universe. 
    2. Amulya Mohapatra; Bijaya Mohapatra (১ জানুয়ারি ১৯৯৩)। Hinduism: Analytical Study। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 26। আইএসবিএন 9788170993889Sri or Laxmi is the goddess of wealth and fortune , power and beauty. 
    3. Bulbul Sharma (২০১০)। The Book of Devi। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 9780143067665Sri or Lakshmi, as depicted in the sacred texts, is the goddess of wealth and fortune, royal power and beauty. 
    4. Stephen Knapp (২০১২)। Hindu Gods & Goddesses। Jaico Publishing House। পৃষ্ঠা 132। আইএসবিএন 9788184953664Goddess Lakshmi is the consort and shakti, or potency, of Lord Vishnu. Lakshmi, or Sri when she is especially known as the goddess of beauty (though sometimes considered to be separate entities), is the goddess of fortune, wealth, power, and loveliness. 
    5. David Kinsley (১ জানুয়ারি ১৯৮৯)। The Goddesses' Mirror: Visions of the Divine from East and West। SUNY Press। পৃষ্ঠা 55। আইএসবিএন 9780887068362 
    6. David Monaghan; Ariane Hudelet; John Wiltshire (১০ জানুয়ারি ২০১৪)। The Cinematic Jane Austen: Essays on the Filmic Sensibility of the Novels। McFarland & Company। পৃষ্ঠা 153। আইএসবিএন 9780786453221In Hindu mythology, Lakshmi is the goddess of wealth, power and beauty. 
    7. Kaushal Kishore Sharma (১৯৮৮)। Rabindranath Tagore's Aesthetics। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 26। আইএসবিএন 9788170172376Lakshmi, our Goddess of wealth, represents not only beauty and power but also the spirit of goodness. 
  1. lakṣmī ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ মে ২০১৫ তারিখে, Monier-Williams' Sanskrit–English Dictionary, University of Washington Archives
  2. Lakshmi Tantra, Volumes -13। Motilal Banarasidas Publishers। ২০০৭। পৃষ্ঠা 70। আইএসবিএন 9788120817357 
  3. Mahalakshmi AshtakamPadmaasanasthite Devi Parabrahma Svaroopini Paramesi Jaganmaata, Mahalakshmi Namostu Te.O Devi, You are seated on the lotus, You are the Supreme Brahman, You are the great Lord and Mother of the universe, O Mahaalakshmi, obeisance to Thee. 
  4. "Translating the secrets of Makara Sankranti"। Times of India। ১৪ জানুয়ারি ২০২১। 
  5. "The Seven Holy Cities [Chapter 7]"। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০। 
  6. http://gdurl.com/2-Uk টেমপ্লেট:Bare URL inline
  7. "Prayers to Goddess Lakshmi" 
  8. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; anandrao167 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  9. Mark W. Muesse। The Hindu Traditions: A Concise Introduction। Fortress Press। পৃষ্ঠা 157। আইএসবিএন 978-1451414004 
  10. Sashi Bhusan Dasgupta (২০০৪)। Evolution of Mother Worship in India। Advaita Ashrama (A Publication House of Ramakrishna Math, Belur Math)। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 9788175058866 
  11. Williams, George M. (২০০৩)। Handbook of Hindu Mythology। ABC-CLIO, Inc। পৃষ্ঠা 196–8। আইএসবিএন 1-85109-650-7 
  12. Encyclopaedia of Hindu Gods and Goddesses; by Suresh Chandra
  13. "Radha - Goddess Radha, Sri Radharani, Radha-Krishna, Radhika"। Festivalsinindia.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৯ 
  14. Radha in Hinduism, the favourite mistress of the god Krishna, and an incarnation of Lakshmi. In devotional religion she represents the longing of the human soul for God: The Oxford Dictionary of Phrase and Fable (2006); Elizabeth Knowles |
  15. Essential Hinduism; by Steven Rosen (2006); p. 136
  16. James G. Lochtefeld (১৫ ডিসেম্বর ২০০১)। The Illustrated Encyclopedia of Hinduism, Volume 1। The Rosen Publishing Group। পৃষ্ঠা 65। আইএসবিএন 978-0823931798 
  17. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; usingh2 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  18. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ashav2 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  19. Roveda, Vitorio. 2004. "The Archaeology of Khmer Images." Aséanie 13(13):11–46.
  20. Jones, Soumya. 2007. "O goddess where art thou?: Reexamining the Female Divine Presence in Khmer art ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে." SEAP Bulletin (Fall):28–31.
  21. Jones, Constance. 2011. In Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations, edited by J. G. Melton. আইএসবিএন ৯৭৮-১৫৯৮৮৪২০৫০, pp. 253–54, 798.
  22. "আজ লক্ষ্মীবার, সংসারে সুখ আনতে পালন করুন এই নিয়ম!"EI Samay। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০১ 
  23. The Toranas are dated to the 1st century CE. See: Ornament in Indian Architecture, Margaret Prosser Allen, University of Delaware Press, 1991, p.18 [১]
  24. "The Calcutta Review"। ১৮৫৫। 
  25. Vanamali (২০০৮-০৭-২১)। Shakti: Realm of the Divine Mother (ইংরেজি ভাষায়)। Simon and Schuster। আইএসবিএন 978-1-59477-785-1 
  26. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; carol নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  27. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ttgov নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  28. Parasarthy, A. 1983. Symbolism in Hinduism. Chinmaya Mission Publication. আইএসবিএন ৯৭৮-৮১৭৫৯৭১৪৯৩. pp. 57–59.
  29. Parasarthy, A. 1983. Symbolism in Hinduism. Chinmaya Mission Publication. আইএসবিএন ৯৭৮-৮১৭৫৯৭১৪৯৩. pp. 91–92, 160–62.
  30. Nathan, R. S. 1983. Symbolism in Hinduism. Chinmaya Mission Publication. আইএসবিএন ৯৭৮-৮১৭৫৯৭১৪৯৩. p. 16.
  31. Gibson, Lynne. 2002. Hinduism. Heinemann. আইএসবিএন ৯৭৮-০৪৩৫৩৩৬১৯৬. p. 29.
  32. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; D. R. Rajeswari 1989 19 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  33. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Saligrama Krishna Ramachandra Rao 1991 65 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  34. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; H. C. Das 1985 337 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  35. Laura Amazzone (২০১২)। Goddess Durga and Sacred Female Power। University Press of America। পৃষ্ঠা 103–104। আইএসবিএন 978-0-7618-5314-5। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৬ 
  36. Werness, Hope. 2007. Continuum Encyclopedia of Animal Symbolism in World Art. Bloomsbury. আইএসবিএন ৯৭৮-০৮২৬৪১৯১৩২. pp. 159–67.
  37. Ajnatanama. 1983. Symbolism in Hinduism. Chinmaya Mission Publication. আইএসবিএন ৯৭৮-৮১৭৫৯৭১৪৯৩. pp. 317–18.
  38. Damodar Dharmanand Kosambi (১৯৭৭)। D. D. Kosambi Commemoration Volume। Banaras Hindu University। পৃষ্ঠা 97। 
  39. Damodar Dharmanand Kosambi (১৯৭৭)। D. D. Kosambi Commemoration Volume। Banaras Hindu University। পৃষ্ঠা 79। 
  40. Journal, Volumes 6-7। Asiatic Society (Kolkata, India)। ১৯৬৪। পৃষ্ঠা 96। From the occurrence of cornucopiae, lotus flower and lion mount the goddess has been described as Lakshmi - Ambikā — a composite icon combining the concepts of Śrī or Lakshmi, the goddess of prosperity, and Ambikā, the mother aspect of Durga. 
  41. Jackie Menzies (২০০৬)। Goddess: Divine Energy। Art Gallery of New South Wales। পৃষ্ঠা 113। আইএসবিএন 9780734763969 
  42. Mihindukalasūrya Ār. Pī. Susantā Pranāndu (২০০৫)। Rituals, Folk Beliefs, and Magical Arts of Sri Lanka। Susan International। পৃষ্ঠা 228। আইএসবিএন 9789559631835Lion: It was a 'vahana' of Lakshmi, the Goddess of Prosperity, and Parvati, the wife of Siva. 
  43. D. R. Rajeswari (১৯৮৯)। Sakti Iconography। Intellectual Publishing House। পৃষ্ঠা 22। আইএসবিএন 9788170760153In some places Gazalakshmi also has been given Lion as her Vahana. In South India Veera Lakshmi, one of the forms of eight Lakshmis is having Lion as her Vahana. In Rameshwaram also for Veera Lakshmi Lion is Vahana. She carries Trisula, Sphere, Sankha, Chakra, and Abhaya and Varada mudras. 
  44. Urmila Agarwal (১৯৯৫)। North Indian temple sculpture। Munshiram Manoharlal Publishers। পৃষ্ঠা 60। 
  45. "শ্রীশ্রীলক্ষ্মীদেবীর ব্রতকথা ও পাঁচালী", মেয়েদের ব্রতকথা, কালীকিশোর বিদ্যাবিনোদ সম্পাদিত, অক্ষয় লাইব্রেরি, কলকাতা, ২০১১, পৃ. ১৮৬-৯১

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]