ফতোয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mumin91 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Islam}}
{{Islam}}
'''ফতোয়া''' বা ফাতওয়া (আরবি: فتوى‎; বহুবচন ফাতাওয়া আরবি: فتاوى‎) হলো বিধান ও সমাধান, যা কোনো ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামী শরীয়তের দলীলের আলোকে মুফতি বা ইসলামী আইন-বিশেষজ্ঞ প্রদান করে থাকেন।<ref>[http://www.banglapedia.org/HTB/102959.htm বাংলাপিডিয়া- বাংলা ওয়েব সংস্করণ। "ফতোয়া" নিবন্ধ।]</ref> যখন কোন ব্যক্তি সরাসরি কুরআন ও হাদিস কিংবা [[ফিকহ|ফিকহে]]র আলোকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান বের করতে অপারগ হন তখন তিনি মুফতীর কাছে এই বিষয়ের সমাধান চান। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় ইসতিফতা (আরবিকে:اِسْتِفْتَاء) বলে। মুফতি তখন ইসলামী শরিআতের আলোকে স সমস্যার সমাধান জানিয়ে দেন। এই সমাধান প্রদান করাকে ইসলামের পরিভাষায় ইফতা (আরবীতে:إِفْتَاء ) বলে এবং প্রদত্ত সমাধান বা বিধানটিকে ফতোয়া বলে।<ref>[http://www.alkawsar.com/article/246 ফতোয়া, কাযা, হদ ও তা’যীর: পরিচিতি ও কিছু মৌলিক বিধান। মাওলানা আব্দুল মালেক রচিত।]</ref><ref>[http://jamiatulasad.com/?p=2205 ফাতাওয়া কী?]</ref>
'''ফতোয়া''' বা ফাতওয়া (আরবি: فتوى‎; বহুবচন ফাতাওয়া আরবি: فتاوى‎) হলো বিধান ও সমাধান, যা কোনো ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামী শরীয়তের দলীলের আলোকে মুফতি বা ইসলামী আইন-বিশেষজ্ঞ প্রদান করে থাকেন।<ref>[http://www.banglapedia.org/HTB/102959.htm বাংলাপিডিয়া- বাংলা ওয়েব সংস্করণ। "ফতোয়া" নিবন্ধ।]</ref> যখন কোন ব্যক্তি সরাসরি কুরআন ও হাদিস কিংবা [[ফিকহ|ফিকহে]]র আলোকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান বের করতে অপারগ হন তখন তিনি মুফতীর কাছে এই বিষয়ের সমাধান চান। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় ইসতিফতা (আরবিকে:اِسْتِفْتَاء) বলে। মুফতি তখন ইসলামী শরিআতের আলোকে স সমস্যার সমাধান জানিয়ে দেন। এই সমাধান প্রদান করাকে ইসলামের পরিভাষায় ইফতা (আরবীতে:إِفْتَاء ) বলে এবং প্রদত্ত সমাধান বা বিধানটিকে ফতোয়া বলে।<ref>[http://www.alkawsar.com/article/246 ফতোয়া, কাযা, হদ ও তা’যীর: পরিচিতি ও কিছু মৌলিক বিধান। মাওলানা আব্দুল মালেক রচিত।]</ref><ref>[http://jamiatulasad.com/?p=2205 ফাতাওয়া কী?]</ref>


== বাংলাদেশে ফতোয়ার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায় ==
== বাংলাদেশে ফতোয়ার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায় ==
১৩ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
{{reflist}}
{{অসম্পূর্ণ}}


[[বিষয়শ্রেণী:ইসলাম ধর্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলাম ধর্ম]]
{{অসম্পূর্ণ}}

১১:০৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফতোয়া বা ফাতওয়া (আরবি: فتوى‎; বহুবচন ফাতাওয়া আরবি: فتاوى‎) হলো বিধান ও সমাধান, যা কোনো ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামী শরীয়তের দলীলের আলোকে মুফতি বা ইসলামী আইন-বিশেষজ্ঞ প্রদান করে থাকেন।[১] যখন কোন ব্যক্তি সরাসরি কুরআন ও হাদিস কিংবা ফিকহের আলোকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান বের করতে অপারগ হন তখন তিনি মুফতীর কাছে এই বিষয়ের সমাধান চান। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় ইসতিফতা (আরবিকে:اِسْتِفْتَاء) বলে। মুফতি তখন ইসলামী শরিআতের আলোকে স সমস্যার সমাধান জানিয়ে দেন। এই সমাধান প্রদান করাকে ইসলামের পরিভাষায় ইফতা (আরবীতে:إِفْتَاء ) বলে এবং প্রদত্ত সমাধান বা বিধানটিকে ফতোয়া বলে।[২][৩]

বাংলাদেশে ফতোয়ার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায়

২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ ফতোয়াকে অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেন।[৪]রায়ে বলা হয়, একমাত্র আদালতই মুসলিম বা অন্য কোনো আইন অনুযায়ী আইনসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নে মতামত দিতে পারেন। কেউ ফতোয়া দিলে তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য হবে। ফতোয়াবিরোধী হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মুফতি মো. তৈয়ব ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আপিল করেন। দীর্ঘ এক দশক পর ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে আপিল বিভাগে মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয় এবং সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষিত হয় মে মাসের ১৯ তারিখে।[৫] সারা দেশে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি নিয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নিজেরা করি ও ব্র্যাক হাইকোর্টে একটি রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে আদালত ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তির বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও দোররা মারার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন হাইকোর্টে রিট করলে আদালত রুল জারি করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে কসবা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। বাঞ্ছারামপুরে এক তরুণীকে ১০১ ঘা দোররা মারার ঘটনা ২২ মে, ২০১০ তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।[৬] এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুব শফিক, কে এম হাফিজুল আলম ও ইমরানুল হাই একটি রিট করেন। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে, ২০১০ তারিখে আদালত রুল জারি করেন। এতে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া কেন অবৈধ ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া নিরুৎসাহিত করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে প্রবন্ধ ও অন্যান্য শিক্ষাবিষয়ক উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এসব রিটের রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৮ জুলাই, ২০১০ তারিখে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত কার্যক্রম ও শাস্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ ধরনের শাস্তি ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। দণ্ডবিধিসহ প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অপরাধের সহযোগী হিসেবে একই ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন, অবন্তী নুরুল, মাহবুব শফিক ও সালাউদ্দিন দোলন এবং সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিক আল জলিল ও আকরাম হোসেন চৌধুরী।[৭]

সমালোচনা

বাস্তবে অর্ধশিক্ষিত বা প্রায় অশিক্ষিত গ্রাম্য মৌলভীরাও ফতোয়া জারি করেন। কিংবা ইসলামী আইন চালু না থাকায় ধর্মপ্রাণ লোকেরা এই ফতোয়ার অপব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া শত্রুতা করেও অনেকে এই ফতোয়ার অপব্যবহার করে থাকেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র