পূর্ণচন্দ্র সেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পূর্ণচন্দ্র সেন
বিপ্লবী পূর্ণচন্দ্র সেন
জন্ম১৮৮৬
ঘাটাল মহকুমার দাসপুর থানার চাঁদপুর গ্রাম
মৃত্যু
কলকাতা
প্রতিষ্ঠানভারতীয় বিপ্লবী
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • যোগেন্দ্রনাথ সেন (পিতা)

পূর্ণচন্দ্র সেন ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী।[১]

জন্ম[সম্পাদনা]

পূর্ণচন্দ্র সেন ১৮৮৬ সালে ঘাটাল মহকুমার দাসপুর থানার চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা যোগেন্দ্রনাথ সেন মেদিনীপুর জজ কোর্টের উকিল ছিলেন। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করে তমলুক হ্যামিল্টন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলেন।[২]

শিক্ষা এবং বিপ্লবী তৎপরতা[সম্পাদনা]

১৯০৪ সালে হ্যামিল্টন থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর পুরাণচন্দ্র মেদিনীপুর কলেজে ভর্তি হন। এখানেই জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসু তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন; মেদিনীপুরের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তাঁর উৎসর্গ অনুশীলন সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তিনি নিজেকে মানিকতলা ডিনামাইট ষড়যন্ত্র এবং আলিপুর বোমা মামলায় জড়িত দেখতে পান, যার ফলে অরবিন্দ ঘোষের পাশাপাশি তাকে কারাবরণ করতে হয়।

পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯২০ সালে কলকাতা কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনের পর পূর্ণচন্দ্র দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রাইভেট সেক্রেটারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নাগপুর কংগ্রেস অধিবেশনে তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্ব অনুসরণ করে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগের আদর্শের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। অসহযোগ আন্দোলনের সময়ই তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে নিবেদিত সংবাদপত্রের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন, যার ফলে তিনি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি সার্ভেন্ট, অমৃতবাজার পত্রিকায় অবদান রাখেন এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের চাপিয়ে দেওয়া কষ্ট সহ্য করে দেশবন্ধুর অগ্রসর পত্রিকা পরিচালনা করেন।[৩]

ভারতের স্বাধীনতার পর পূর্ণচন্দ্র সেন কলকাতা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি ক্যালকাটা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ণচন্দ্র কলকাতায় তাঁর বাসভবনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রায়, প্রকাশ (২০২১)। বিস্মৃত বিপ্লবী পঞ্চম খণ্ডচেন্নাই: নোশনপ্ৰেস চেন্নাই তামিলনাড়ু। পৃষ্ঠা ৭৭–৮০। আইএসবিএন 978-1-63920-116-7 
  2. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গণ, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ৭৯।
  3. https://amritmahotsav.nic.in/district-reopsitory-detail.htm?25354