নেজামউদ্দীন সিহালবী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উস্তাজুল হিন্দ মোল্লা

নেজামউদ্দীন মহম্মদ সিহালবী

আনসারী সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম২৭ মার্চ ১৬৭৭
মৃত্যু৮ মে ১৭৪৮(1748-05-08) (বয়স ৭১)
ধর্মইসলাম
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
শিক্ষাফিরিঙ্গী মহল

মোল্লা নেজামউদ্দীন মহম্মদ সিহালবী আনসারী (২৭ মার্চ ১৬৭৭ - ৮ মে ১৭৪৮) ছিলেন দরসে নেজামী পাঠ্যক্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিকল্পক। [১] [২] [৩] [৪] তাঁর আব্বা ছিলেন মোল্লা কুতুবউদ্দীন শহীদ। তিনি তরিকায়ে কাদেরিয়ায় শাহ আব্দুর রজ্জাক বাঁসবী সাহেবের খলীফা ছিলেন। তাছাড়া তিনি ছিলেন সাহাবীয়ে রসূল হজরত আবূ আইয়ূব আনসারীর বংশধর।[৪]

পরিচয়[সম্পাদনা]

তিনি ছিলেন মোল্লা নেজামউদ্দীন মহম্মদ ইবনে মোল্লা কুতুবউদ্দীন শহীদ সিহালবী ইবনে আব্দুল হলীম ইবনে আব্দুল করীম। তিনি ১০৮৮ হিজরী সনে (২৭ মার্চ ১৬৭৭ খ্রীঃ) হিন্দুস্তানের বারোবঙ্কী জেলার সিহালী কসবায় পয়দা হন।

মোল্লা নেজামউদ্দীন সাহেবের বয়স যখন পনেরো বছর তখন মোল্লা কুতুবউদ্দীনের খান্দান লখনউতে বসতি স্থাপন করে। আব্বার ইন্তেকালের বাদেও তিনি এলেম চর্চা অব্যাহত রাখেন। মোল্লা সাহেব ইউরোপ এবং বিভিন্ন শহর সফর করেন। অবশেষে তিনি লখনউতে ফিরে আসেন এবং শেখ গোলাম নক্সেবন্দ ঘোসবী লখনবী সাহেবের কাছ থেকে অবশিষ্ট কেতাবগুলি পড়েন এবং তাঁর কাছ থেকে সনদে ফজীলৎ অর্জন করেন। জম্মু মুল্লুকের দেবা কসবায় ইবতেদায়ী কেতাবগুলি পড়েন, কিন্তু বারাণসী গিয়ে হাফেজ আমানুল্লাহ বনারসী সাহেবের দস্ত ধরে শেষ করেন।

সূফীবাদ[সম্পাদনা]

এলমে জাহের তকমীল করে মোল্লা সাহেব এলমে বাতেনের দিকে মনোনিবেশ করেন। সে সময় শাহ আব্দুর রজ্জাক সাহেবের ফয়েজ ও বরকৎ গোটা ভারতবর্ষে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। মোল্লা সাহেব তাঁর আস্তানায় হাজের হয়ে তাঁর প্রতি বইয়ৎ করলেন। শাহ সাহেব ইসলামী এলেমের সাথে অপরিচিত ছিলেন, তাই সবাই অবাক হলেন।  এমনকি ফিরিঙ্গিমহলের ওলামা প্রকাশ্যে মোল্লা সাহেবের কাছে অভিযোগ করেন। মোল্লা সাহেবের শাগরেদদের মধ্যে মোল্লা কামালের এলমে আকলিয়ায় দুর্দান্ত দক্ষতা ছিল এবং যেহেতু তিনি খুব বুদ্ধিমান এবং বুদ্ধিমান ছিলেন, তাই তিনি কাউকে বিবেচনায় নেননি। মোল্লা সাহেবের প্রতি বইয়ৎ নিয়ে দুজন বেদে জিজ্ঞেস করল, তুমি কেন একজন জাহেলের দস্তে বইয়ৎ প্রকাশ করেছ? তিনি তা করতে দ্বিধা করেননি এবং শাহ সাহেবের খেদমতে চলে যান এবং ফলসফার কিছু মুশকিল সমস্যার কথা চিন্তা করেন যে তিনি শাহ সাহেবকে জিজ্ঞাসা করবেন এবং তাকে এলজাম করবেন। এটি সর্বজনবিদিত যে শাহ সাহেব খোদ এই মসায়েলের সমাধান করেছিলেন এবং মোল্লা কামালকে যথেষ্ট সন্তুষ্ট করেছিলেন, তাই একই সাথে মোল্লা কামাল এবং তাঁর সাথে অনেক ওলামা শাহ সাহেবের কদমে পড়ে তাঁর বইয়ৎ করেছিলেন।  

ইন্তেকাল[সম্পাদনা]

মোল্লা সাহেব রোজ বুধবার জমাদিউল আউয়াল ১১৬১ হিজরী (মে ১৭৪৮ খ্রীঃ) সনে ৭৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।

উল্লেখযোগ্য রচনাবলি[সম্পাদনা]

মোল্লা সাহেবের রচনা বেশুমার, যেমন।

  • ’’حاشیہ صدرا‘‘ حاشیہ شرح ہدایۃ الحکمۃ صدر الدین شیرازی
  • ’’حاشیہ شمس بازغہ‘‘
  • ’’حاشیہ بر حاشیہ قدیمہ‘‘
  • ’’شرح تحریر الاصول‘‘
  • ’’حاشیہ شرح عضدیہ‘‘
  • ’’مناقب رازقیہ‘‘ (فارسی)
  • ’’شرح مبارزیہ ‘‘
  • ’’شرح مسلم الثبوت شرح منار مسمی بہ صبح صادق‘‘

এই তামাম কেতাবগুলি উচ্চমানের এবং খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ তহকীক রয়েছে, তবে হকীকতে, মোল্লা সাহেবের শোহরৎ এই কেতাবগুলির কারণে নয়, বরং তাঁর দরস-ই নিজামী পাঠপদ্ধতির কারণে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Archived copy"। ২০২১-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-৩০ 
  2. "Bani E Dars E Nizami Mulla Nizam Ud Din Muhammad Ansari Farangi A"। ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫ – Internet Archive-এর মাধ্যমে। 
  3. Hana, Muhammad Tariq। Bani E Dars E Nizami Mulla Nizam Ud Dinএএসআইএন 5881343697 
  4. "Bani e Dars e Nizami Mulla Nizam Ud Din Muhammad Ansari Farangi A | PDF"Scribd