নৈহাটি জংশন রেলওয়ে স্টেশন

স্থানাঙ্ক: ২২°৫৩′১৪″ উত্তর ৮৮°২৫′০৩″ পূর্ব / ২২.৮৮৭১° উত্তর ৮৮.৪১৭৫° পূর্ব / 22.8871; 88.4175
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নৈহাটি জংশন
কলকাতা শহরতলি রেলওয়ে জংশন স্টেশন
নৈহাটি রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানঋষি বঙ্কিমচন্দ্র রোড, নৈহাটি, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত
স্থানাঙ্ক২২°৫৩′১৪″ উত্তর ৮৮°২৫′০৩″ পূর্ব / ২২.৮৮৭১° উত্তর ৮৮.৪১৭৫° পূর্ব / 22.8871; 88.4175
উচ্চতা১৫ মিটার (৪৯ ফু)
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতপূর্ব রেল
লাইনশিয়ালদহ – রানাঘাট রেলপথ
নৈহাটি-ব্যান্ডেল সংযোগ
প্ল্যাটফর্ম
রেলপথ
নির্মাণ
গঠনের ধরনস্ট্যান্ডার্ড (অন গ্রাউন্ড স্টেশন)
পার্কিংনেই
সাইকেলের সুবিধানেই
অন্য তথ্য
অবস্থাকার্যকর
স্টেশন কোডএনএইচ
অঞ্চল পূর্ব রেল
বিভাগ শিয়ালদহ
ইতিহাস
চালু১৮৬২
বৈদ্যুতীকরণ১৯৬৩-৬৪
আগের নামইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   কলকাতা শহরতলি রেল   পরবর্তী স্টেশন
অভিমুখে শিয়ালদহ
পূর্ব লাইন
অভিমুখে রানাঘাট জংশন
অবস্থান
নৈহাটি জংশন পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
নৈহাটি জংশন
নৈহাটি জংশন
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
নৈহাটি জংশন ভারত-এ অবস্থিত
নৈহাটি জংশন
নৈহাটি জংশন
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান

নৈহাটি জংশন রেলওয়ে স্টেশন হল শিয়ালদহ-রাণাঘাট রেলপথ ও নৈহাটি-ব্যান্ডেল লিঙ্কের একটি কলকাতা শহরতলি রেল স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত। এই স্টেশনটি নৈহাটি ও আশেপাশের অঞ্চলকে পরিষেবা প্রদান করে। এটি ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন স্টেশনগুলির মধ্যে একটি। বিশেষত ঝা চকচকে অত্যাধুনিক ভূগর্ভস্থপথটি ( Subway) নৈহাটি স্টেশনের গর্বের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এর পূর্ববর্তী স্টেশন হল কাঁকিনাড়া রেলওয়ে স্টেশন

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৬২ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের কলকাতা (শিয়ালদহ)-কুষ্টিয়া লাইনটি খুলে দেওয়া হয়।[১] ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে রেল পরিষেবা প্রদান করত। এই অঞ্চল সেই সময় অবিভক্ত ছিল।[২]

১৮৮৭ সালে জুবিলি সেতু খুলে দেওয়া হলে নৈহাটি হাওড়া-বর্ধমান প্রধান রেলপথের ব্যান্ডেল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়।[৩]

বৈদ্যুতিকরণ[সম্পাদনা]

শিয়ালদহ-রানাঘাট সেক্টরটি ১৯৬৩-৬৪ সালে এবং ব্যান্ডেল-নৈহাটি লিঙ্ক ১৯৬৫-৬৬ সালে বৈদ্যুতিকরণ করা হয়।[৪]

ক্যারেজ ও ওয়াগন ডিপো[সম্পাদনা]

নৈহাটির ক্যারেজ ও ওয়াগন ডিপোটি এয়ার ও ভ্যাকুওম ব্রেক পরীক্ষা এবং সিক লাইন মেরামতির কাজ করে। বাংলাদেশ-গামী ট্রেনগুলিকে এখানে পরীক্ষা ও মেরামত করা হয়।[৫]

কোচিং টার্মিনাল[সম্পাদনা]

২০১২-১৩ সালের রেল বাজেটে নৈহাটিতে একটি নতুন কোচিং টার্মিনাল স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে একটি জাদুঘরের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। [৬][৭]

মাল্টিফাংশনাল কমপ্লেক্স[সম্পাদনা]

ভারতীয় রেল নৈহাটি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি মাল্টিফাংশনাল কমপ্লেক্স স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে যাতে রেলপথ ব্যবহারকারীরা দোকান, ফুড স্টল ও রেস্তোরাঁ, বুক স্টল, টেলিফোন বুথ, ওষুধ ও মনিহারি দোকানের সুবিধা পেতে পারেন।[৮]

নতুন সেতু[সম্পাদনা]

হুগলি নদীর উপর ২০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন ৪২০ মি (১,৩৭৮ ফু) দীর্ঘ সেতু নির্মিত হয়েছে । এই সেতুটি ১৮৮৭ সালে নির্মিত জুবিলি সেতুর পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "IR History: Early days (1832-1865)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  2. "Eastern Bengal Railway"। fibis। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  3. "India's amazing railway bridges"Jubilee Bridge। rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  4. "History of Electrification"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  5. "Mechanical (C / W activity)"। Eastern Railway, Sealdah Division। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৩ 
  6. "Coaching Terminal at Naihati and A Museum to be Named After Bankim Chandra Chattopadhyay"। Press Information Bureau, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  7. "Railway Budget"। Equity Bulls। ৭ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  8. "Project Information Memorandum: Multifuctional complex at Naihati" (পিডিএফ)। Ministry of Railways। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. "Mamata unveils new plans for North 24 Parganas"। The Times of India, 9 November 2009। ২৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]