ধর্ম
এই নিবন্ধটির বর্ণনা ভঙ্গি উইকিপিডিয়ার বিশ্বকোষীয় বর্ণনা ভঙ্গি প্রতিফলিত করেনি। এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট আলোচনা আলাপ পাতায় পাওয়া যেতে পারে। নির্দেশনা পেতে সঠিক নিবন্ধ লেখার নির্দেশনা দেখুন। |
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
ধর্ম (বাংলা উচ্চারণ: [dʱɔɾmo] ধর্মো) হলো নির্দিষ্ট আচরণ ও অনুশীলন, নৈতিকতা, বিশ্বাস, বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি, গ্রন্থ, পবিত্র স্থান, ভবিষ্যদ্বাণী, ধর্মে নীতিশাস্ত্র বা সংস্থার একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা, যা মানবতাকে অতিপ্রাকৃত, অতীন্দ্রিয় এবং আধ্যাত্মিকতা উপাদানগুলোর সাথে সম্পর্কিত করে;[১] কিন্তু, কোনো অবিকল একটি ধর্ম গঠন করে তা নিয়ে কোনো পণ্ডিতের ঐকমত্য নেই।[২][৩]
বিভিন্ন ধর্মে ঐশ্বরিক,[৪] পবিত্র জিনিস,[৫] বিশ্বাস,[৬] একটি অতিপ্রাকৃত সত্ত্বা বা অতিপ্রাকৃত প্রাণী "এক ধরনের উল্লসিত তাড়না এবং অতিক্রম যা বাকি জীবনের জন্য নিয়ম ও ক্ষমতা সরবরাহ করে" থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপাদান থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে।[৭] ধর্মীয় রীতিনীতির মধ্যে আচার, উপদেশ, স্মরণসভা বা সঙ্গীত (দেবতা ও/অথবা সাধুদের), উৎসর্গ (উপাসনা), উৎসব, ভোজ, বিবাহপরিষেবা, ধ্যান, প্রার্থনা, সঙ্গীত, শিল্প, নৃত্য, জনসেবা বা মানব সংস্কৃতির অন্যান্য দিক অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ধর্মগুলির পবিত্র ইতিহাস এবং আখ্যান রয়েছে, যা পবিত্র শাস্ত্র এবং প্রতীক এবং পবিত্র স্থানগুলিতে সংরক্ষিত থাকতে পারে, যার লক্ষ্য বেশিরভাগই জীবনকে অর্থ প্রদান করা। ধর্মগুলিতে সাংকেতিক গল্প থাকতে পারে, যা কখনও কখনও অনুসারীরা সত্য বলে মনে হয়, যা জীবন, মহাবিশ্ব এবং অন্যান্য ঘটনার উৎপত্তি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতে পারে। ঐতিহ্যগতভাবে, আধ্যাত্মিক বিশ্বাস, যুক্তি ছাড়াও, ধর্মীয় বিশ্বাসের উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।[৮]
বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১০,০০০ স্বতন্ত্র ধর্ম রয়েছে। বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৮৪℅ খ্রীষ্টধর্ম, ইসলাম, হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম বা লোকধর্মের, কোনো না কোনো ধরনের সাথে যুক্ত।[৯] ধর্মীয়ভাবে অসম্পৃক্ত জনসংখ্যার মধ্যে রয়েছে যারা কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম, নাস্তিক এবং অজ্ঞেয়বাদীদের সাথে সনাক্ত করে না। যদিও ধর্মীয়ভাবে অসম্পৃক্তরা বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু ধর্মীয়ভাবে অসম্পৃক্তদের অনেকেরই এখনও বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে।[১০]
ধর্মীয় অধ্যয়ন ধর্মতত্ত্ব, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব এবং সামাজিক বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নসহ বিভিন্ন গ্রন্থগত শাখা নিয়ে গঠিত। ধর্মের তত্ত্বগুলো ধর্মের উৎপত্তি এবং কাজের জন্য বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করে, যার মধ্যে ধর্মীয় সত্ত্বা এবং বিশ্বাসের তত্ত্ববিদ্যার ভিত্তিও রয়েছে।[১১]
ব্যুৎপত্তি
ধর্ম শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত √ধৃ হতে (অর্থ 'ধারণ')। 'একজন ব্যক্তি তার জীবনে তার যত প্রকার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে সব মিলিয়ে হয় তার ধর্ম।' তার বিশ্বাস, তার পরম্পরাগত শিক্ষা, তারা আচার ব্যবহার ইত্যাদি এই সবই তার ধর্ম। যেভাবে আগুনের ধর্ম দহন করা, জলের ধর্ম শীতলতা, পশুর ধর্ম পশুত্ব, তেমনি মানুষের ধর্ম হয় মনুষত্ব। কিন্তু শাস্ত্র বলে মানুষ উচ্চমার্গীয় একটি জীব এবং এই উচ্চমার্গীয় জীবকে নির্ণয়ের জন্য মনুস্মৃতি বা (মনুষ্যের বিধি বিধান সম্বলিত গ্রন্থ)লেখা হয়েছে। এই গ্রন্থ অনুসারে মনুষ্য ধর্ম বিবেচিত হবে দশটি গুণ এর মাধ্যমে, যে দশটি গুণের উপস্থিতি তাদেরকে মনুষ্য প্রমাণ করবে। যথা-
ধৃতিঃ ক্ষমা দম অস্তেয় শৌচং ইন্দ্রনিগৃহ। ধীঃ বিদ্যা সত্যম্ অক্রোধ দশকম ধর্মস্য লক্ষণম্।। — মনুস্মৃতি
ইংরেজি Religion (উচ্চারণ: রিলিজিয়ন, অর্থ: উপসনা ধর্ম) শব্দটির উৎপত্তি ফরাসি religion থেকে, যেমন, "religious community" (উচ্চারণ: রিলিজিয়াস কমিউনিটি, অর্থ: ধর্মীয় সম্প্রদায়)। আবার এটি এসেছে লাতিন religionem থেকে (nom. religio) যার অর্থ “পবিত্র বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ঈশ্বরদের প্রতি নিষ্ঠা” ("respect for what is sacred, reverence for the gods"),[১২] এবং “বাধ্যতা, যা মানুষ ও ঈশ্বরদের মধ্যে সেতুবন্ধনস্বরূপ” ("obligation, the bond between man and the gods"),[১৩] যেটি আবার লাতিন religiō থেকে পাওয়া।
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় পৃথিবীতে, আধুনিক ‘religion’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত লাতিন শব্দমূল religio -কে বোঝা হতো ব্যক্তিবিশেষের উপাসনা করার গুণ হিসেবে; কখনই মতবাদ, চর্চা কিংবা জ্ঞানের উৎসকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতো না।[১৪] ধর্মের আধুনিক ধারণা এমন এক বিমূর্ততা, যা ধর্মকে কতকগুলো স্বতন্ত্র বিশ্বাস বা মতবাদের সমষ্টি হিসেবে উপস্থাপন করে। ধর্মের অর্থ হিসেবে এটি অতি সাম্প্রতিক একটি উদ্ভাবন, ইংরেজি ভাষা যার ব্যাপক ব্যবহার সপ্তাদশ শতাব্দী থেকে লক্ষণীয়। এসময় ‘ধর্ম’ বলতে বোঝানো হতে থাকে ‘উপাসনা ধর্মকে’। ইতিহাসবেত্তারা এর কারণ হিসেবে প্রটেস্ট্যান্ট সংস্কারের সময়ে খ্রিষ্ট ধর্মের বিভাজন ও ভ্রমণের যুগে বৈশ্বায়নকে দায়ী করে থাকেন।[১৪] এ যুগে, ইউরোপীয়দের সাথে অসংখ্য ভিন্ন সংস্কৃতির ও ভাষার দেশী-বিদেশী জনপদের যোগাযোগ স্থাপন আরও সাধারণ একটি ব্যাপারে পরিণত হয়। আবার এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনেকেরই নিজ ভাষায় ধর্মীয় ভাব প্রকাশের জন্য ‘religion’ -এর সমতূল্য ধারণা বা সমার্থক শব্দ ছিল না।[১৪] সপ্তাদশ শতকই সেই সময়, যখন ধর্মের ধারণা আধুনিক আকার পেতে শুরু করে। যদিও বাইবেল, কুরআন এবং অন্যান্য প্রাচীন পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহের মূল ভাষায় লিখিত সংস্করণে ধর্মের ধারণার কোন সুস্পষ্ট উল্লেখ ছিল না। এমনকি যে সংস্কৃতিতে এই ধর্মগ্রন্হসমূহ লেখা হয় কিংবা যারা এই গ্রন্হগুলো অনুসরণ করতেন তাদেরও ধর্মের কোন সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না।[১৫] উদাহরণস্বরূপ, গ্রিক শব্দ threskeia (উচ্চারণ: থ্রেসকিয়া বা থ্রিসকিয়া) -এর কথা বলা যায়, যেটি হিরোডোটাস ও জোসিফাসের মত প্রখ্যাত গ্রিক লেখকেরা ‘উপাসনা’ অর্থে ব্যবহার করতেন। অথচ আজকের দিনে নিউ টেস্টামেন্টে এর অনুবাদ করা হয়েছে ‘ধর্ম’ হিসেবে। মধ্যযুগেও উক্ত শব্দটি ‘উপাসনা’ কিংবা এর সমার্থক ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হতো।[১৫] আবার কুরঅানের ক্ষেত্রে, অধিকাংশ সময়ই আরবী শব্দ دين (উচ্চারণ: দ্বীন) -এর আধুনিক ইংরেজি অনুবাদ করা হয় ‘religion’ বা ধর্ম হিসেবে, কিন্তু সপ্তাদশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত অনুবাদকেরা এই শব্দটি ব্যবহার করতেন ‘আইন’ বোঝাতে।[১৫] এমনকি খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতকেও গ্রিক দার্শনিক জোসিফাস গ্রিক শব্দ ioudaismos (উচ্চারণ: ইউদাইসমোস) -কে ‘সম্প্রদায়’ অর্থে ব্যবহার করতেন, যার সাথে আধুনিককালের এক সেট বিমূর্ত ধারণা ও বিশ্বাসের সমাহার হিসেবে ধর্মের যে সংজ্ঞা প্রণীত হয়েছে তার কোন সম্পর্ক নেই। যদিও বর্তমানকালে অনেকেই ioudaismos -কে ‘ইহুদি ধর্ম’ (Judaism) হিসেবে অনুবাদ করেন।[১৫] উনবিংশ শতকেই প্রথম চলিত ভাষায় ‘বৌদ্ধ ধর্ম’ (Buddhism), ‘হিন্দু ধর্ম’ (Hinduism), ‘তাওবাদ’ (Taoism), ‘কনফুসিয়ানিজম’ (Confucianism) প্রভৃতি শব্দের উন্মেষ ঘটে।[১৪][১৬] জাপানের সুদীর্ঘ ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাপানে কখনই কোথাও ‘ধর্মের’ কোন ধারণা ছিল না। যেহেতু জাপানী ভাষায় ‘ধর্ম’ বোঝাতে কোন শব্দ ছিল না, এমনকি এর কাছাকাছি ভাব প্রকাশ করে এমন কোন শব্দও না থাকায়, যখন ১৮৫৩ সালে মার্কিন রণতরীগুলো জাপানের উপকূলে এর জলসীমায় অবস্থান নেয় এবং তৎকালীর জাপান সরকারকে অন্যান্য অনেক বিষয়ের সাথে ধর্মের স্বাধীনতাকেও রাষ্ট্রনীতি হিসেবে স্বীকার করে সন্ধিপত্রে স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিতে থাকে, তখন জাপান সরকার বাধ্য হয় এই পশ্চিমা ধারণা গ্রহণ করতে।[১৬]
উনিশ শতকের প্রখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ম্যাক্স মুলারের মতে, ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত ‘religion’ শব্দটির শব্দমূল, লাতিন religio (উচ্চারণ: রিলিজিও) শব্দটি মূলত ব্যবহৃত হতো “ঈশ্বর কিংবা ঈশ্বরবর্গের প্রতি নিষ্ঠা, পবিত্র বিষয়সমূহ সম্পর্কে সাবধানী চিন্তা ও ভক্তি (যেটিকে পরবর্তীতে সিসারো ‘অধ্যবসায়’ হিসেবে ব্যাক্ত করেন)” অর্থে।[১৭][১৮] ম্যাক্স মুলার পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বহু সংস্কৃতিকে ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে অনুরূপ ক্ষমতা-কাঠামোর অধিকারী হিসেবে চিন্হিত করেন, যেগুলোর মধ্যে মিশরীয়, পারস্যীয় ও ভারতীয় সংস্কৃতিও অন্তর্ভুক্ত। তার মতে আজ যেগুলোকে আদিম ধর্মমত বলা হয়, তৎকালীন মানুষের কাছে সেগুলো ছিল কেবলই ‘আইন’ মাত্র।[১৯]
অনেক ভাষাতেই এমন শব্দাবলি রয়েছে যেগুলোকে ‘ধর্ম’ হিসেবে অনুবাদ করা যেতে পারে, কিন্তু ভাষাভাষিরা হয়তো ভিন্নভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আবার কিছু ভাষায় ধর্ম বলতে কোন শব্দই নেই। উদাহরণস্বরূপ, সংস্কৃত धर्म (উচ্চারণ: ধার্মা বা dharma) শব্দটিকে কখনও কখনও ‘উপাসনা ধর্ম’ হিসেবে ভাষান্তর করা হলেও এর আরেকটি অর্থ ‘আইন’। চিরায়ত যুগে দক্ষিণ এশিয়ায় ভক্তির মাধ্যমে প্রায়শ্চিত্ত (penance through piety) এবং ধর্মানুষ্ঠানিক ও ব্যবহারিক প্রথাগুলোও আইন শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রথমদিককার মধ্যযুগীয় জাপানে ‘সাম্রাজ্যবাদী আইন’ এবং সর্বজনীন বা ‘বুদ্ধের আইনের’ মধ্যে এক ধরনের মেলবন্ধন ছিল, যেগুলো পরবর্তীকালে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতার স্বাধীন উৎসে পরিণত হয়।[২০][২১]
হিব্রু ভাষায় ‘ধর্মের’ কোন অবিকল সমার্থক শব্দ নেই, এবং ইহুদি ধর্ম স্পষ্টরূপে ধর্মীয়, জাতীয়তাবাদী, বর্ণীয় কিংবা সাম্প্রদায়িক পরিচয়সমূহের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখায় না।[২২] এই ধর্মের কেন্দ্রীয় ধারণাসমূহের মধ্যে ‘halakha’ (উচ্চারণ: হালাকা বা হালাখা) অন্যতম, যার অর্থ, ‘পথ’ বা ‘পথে চলা’, যা আবার অনেকসময় ‘আইন’ হিসেবেও অনুবাদ করা হয়। এই আইন দ্বারা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, বিশ্বাস ও দৈনন্দিন জীবনে এর প্রয়োগ নির্দেশিত হয়।[২৩]
সংজ্ঞা
পণ্ডিতগণ ধর্মের সংজ্ঞা নিয়ে একমত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে, দুটি সাধারণ সংজ্ঞা ব্যবস্থা রয়েছে: সমাজতাত্ত্বিক/কার্যকরী এবং ঘটনাগত/দার্শনিক।[২৪][২৫][২৬][২৭][২৮]
আধুনিক পাশ্চাত্য মতবাদ
ধর্মের ধারণার উৎপত্তি আধুনিক যুগে পাশ্চাত্য সভ্যতায়।[২৯]
ধর্মের বৈশিষ্ট্য
প্রাণী সুলভ ধর্ম অথবা বৈশিষ্ট্য - পৃথিবীর অন্য সকল প্রাণীর মতই মানুষেরও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন - খাওয়া, ঘুম, ভয়, মৈথুন, মলত্যাগ, বিবাদ, আত্মরক্ষা, পরিবেশে টিকে থাকার আয়োজন।
মনুষ্য সুলভ ধর্ম অথবা বৈশিষ্ট্য - যে কারণে তারা মানুষ অর্থাৎ তাদের অর্জিত জ্ঞান, যা কেবল অনুভবই করা যায়, দেখা যায়না। এ বৈশিষ্ট্যের দ্বারাই মানুষ তার প্রাণী সুলভ ধর্ম অথবা বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কেবলমাত্র সমাজে বেড়ে ওঠা মানুষ্যের (হোমো স্যাপিয়েন্স-এর) মাঝেই এই বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়, যেমন - পরিচিতি, ভাবের আদান-প্রদানের জন্য ভাষা জ্ঞান, সামাজিকতা, পঞ্চ ইন্দ্রিয় কে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি, চিন্তা করে আবিষ্কারের ক্ষমতা, বিশ্লেষণাত্মক মন, স্ব প্রতিফলনের ক্ষমতা, চেতনা ও বোধশক্তি, ইচ্ছাশক্তি, আবেগ ও অনুভূতি, ধৈর্য, বিবেক, ক্ষমা। এই মনুষ্য সুলভ ধর্ম অথবা বৈশিষ্ট্যের জন্য কালে কালে বিভিন্ন দর্শন, নিয়মকানুন এবং পথনির্দেশনা এসেছে।
ধর্মের ইতিহাস
ধর্মের ইতিহাস বিভিন্ন ধর্মমতে ভিন্ন ভিন্ন, তবে বর্তমান পৃথিবীর প্রধান তিনটি ধর্ম অর্থ্যাৎ ইসলাম, খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মমতে পৃথিবীর সকল মানুষ একজন পিতা ও একজন মাতা থেকে জন্ম গ্রহণ করেছে। এই দুইজন আদি পিতা আদম (Adam) ও মাতা হাওয়া (Eve) এর মাধ্যমে পৃথিবীর সকল মানুষের জন্ম। এই তিন ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ যথাক্রমে কুরআন মাজিদ, বাইবেল (নিউ টেস্টামেন্ট) ও তাওরাহ (ওল্ড টেস্টামেন্ট) থেকে এই ঘটনার সুত্র পাওয়া যায়। মানব্জাতির সৃষ্টির পর থেকেই মুলত মানুষের ধর্মের সুত্রপাত। ইসলাম ধর্মমতে আদম (আলাইহিস সালাম) পৃথিবীতে আগমনের পর তার প্রাথমিক কাজ ছিল কীভাবে পৃথিবীতে জীবন ধারণ করতে হবে তা প্রতিপালন করা এবং এক্ষেত্রে ফেরেশতা জিবরাইল (আলাইহিস সালাম) (Gabrial) আদম (আলাইহিস সালাম) কে সহযোগিতা করেছেন। কীভাবে ঘর নির্মাণ করতে হবে, খাবার তৈরী করতে হবে, শিকার করতে হবে এসকল জিনিস ছিল তার প্রাথমিক ধর্ম। পরবর্তিতে আদম (আলাইহিস সালাম) ও হাওয়া (আলাইহিস সালাম) এর সন্তানসন্ততি জন্মগ্রহণ করলে তখনো তাদের জীবনধারণ করাটাই ছিল তাদের ধর্মের মূল বিধিবিধান।
ধর্মীয় ধারনাগুলোর প্রাচীনতম প্রমাণ পাওয়া যায় কয়েক হাজার বছর আগে মধ্য ও নিম্ন প্যালিলিথিক যুগে। প্রত্নতাত্ত্বিকগণ প্রায় ৩০০,০০০ বছর আগে ধর্মীয় ধারনার প্রমাণ হিসাবে হোমো স্যাপিয়েনদের কবরস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন। ধর্মীয় ধারনার অন্যান্য প্রমাণ আফ্রিকায় পাওয়া যায়, যার মধ্যে মধ্য পাথর যুগে হস্তনির্মিত বিভিন্ন প্রতীকী অন্তর্ভুক্ত। যাইহোক, প্রাথমিক প্যালিলিথিক যুগের হস্তনির্মিত বিভিন্ন প্রতীকীর ব্যাখ্যা, যা কীভাবে ধর্মীয় ধারণা সম্পর্কিত, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ কিছুটা কম বিতর্কিত। বিজ্ঞানীরা সাধারণত ধর্মীয় ধারনার প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে উর্ধ-প্যালোলিথিক (৫০,০০০-১৩,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) যুগ থেকে পাওয়া বেশ কয়েকটি প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় ব্যাখ্যা করে থাকেন। সেই যুগের ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোর সাথে সম্পর্কিত উদাহরণগুলোর মধ্যে রয়েছে সিংহের মত দেখতে মানুষ, শুক্রের মূর্তি, চাউট গুহার সমাধি, গুহা চিত্র ইত্যাদি।
উনিশ শতকের গবেষকগণ ধর্মের উৎস সম্পর্কিত বিভিন্ন তত্ত্ব প্রস্তাব করেছিলেন, যেটি খ্রিস্টান মতবাদকে বিতর্কিত করেছিলো। উদারতার আগে দাবিগুলো চ্যালেঞ্জ করেছিল। প্রারম্ভিক তত্ত্ববিদ এডওয়ার্ড বার্নেট টাইলর (১৮৩২-১৯১৭) এবং হার্বার্ট স্পেন্সার (১৮২০-১৯০৩) অ্যানিমিজমের ধারণা প্রস্তাব করেছিলেন। আর প্রত্নতত্ত্ববিদ জন লুবক (১৮৩৪-১৯১৩) শব্দটিকে "প্রতিমাবাদ" বলেন। এদিকে ধর্মীয় পণ্ডিত ম্যাক মুলার (১৮২৩-১৯০০) বলেন ধর্ম শুরু হয় হেডোনিজম থেকে। ফোকলোরিস্ট উইলহেলম মানহার্ড (১৯৩১-১৮৮০) বলেছিলেন, ধর্ম "প্রাকৃতিকতা" থেকে শুরু হয়েছিল, যার দ্বারা তিনি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর পৌরাণিক ব্যাখ্যা বোঝাতে চেয়েছিলেন।[৩০] এই সব তত্ত্বগুলো ব্যাপকভাবে সমালোচনা করা হয়েছে। ধর্মের উৎপত্তি সংক্রান্ত কোন বিস্তৃত ঐক্যমত্য নেই।
প্রাক-মৃৎপাত্র নিওলিথিক এ (পিপিএনএ) গোবেকলি তেপে, যা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীনতম ধর্মীয় স্থান।[৩১] এর মধ্যে রয়েছে বিশাল টি-আকৃতির প্রস্তর স্তম্ভ, যা বিশ্বের প্রাচীনতম মেগালিথ হিসেবে পরিচিত। [৩২] এটি বিমূর্ত চিত্র, চিত্রগ্রন্থ এবং পশু ভাস্কর্য ইত্যাদি দ্বারা সজ্জিত। এটি তথাকথিত নিউলিথিক বিপ্লবের আগে নির্মিত হয়েছিল, যেমনঃ ৯০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কৃষি ও পশুপালন শুরু হয়েছিলো। কিন্তু গোবেকলি তেপের নির্মাণে একটি উন্নত সংগঠন বুঝায়, যা এখন পর্যন্ত প্যালিওলিথিক, পিপিএনএ বা পিপিএনবি সমাজগুলোর সাথে সম্পর্কিত নয়। জায়গাটি প্রথম কৃষি সমাজের শুরুতে প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে যায়। জায়গাটি এখনও খনন এবং বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এভাবে এই অঞ্চলের পুরনো সম্প্রদায়ের জন্য, সেইসাথে ধর্মের সাধারণ ইতিহাসের জন্য উল্লেখযোগ্য বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে।
ধর্মের উপকারিতা
সংগঠিত ধর্ম নিম্নলিখিত উপায়ে বৃহত্তর জনসংখ্যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রদানের মাধ্যম হিসাবে উত্থাপিত হয়েছেঃ
- সংগঠিত ধর্ম একটি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে ন্যায্যতা প্রদান করে, যার ফলে রাষ্ট্রকে সামাজিক ও নিরাপত্তা পরিষেবা প্রদানের জন্য কর আদায় করার অধিকার লাভ করে। ভারত এবং মেসোপটেমিয়ার ধর্মশাসনে বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানগণ,রাজা, এবং সম্রাট রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে ভূমিকা পালন করতেন।[৩৩] বিশ্বব্যাপী সমস্ত রাষ্ট্রীয় সমাজে অনুরূপ রাজনৈতিক কাঠামো রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ঐশ্বরিক অনুমোদন দ্বারা ন্যায্যতা পায়।
- সংগঠিত ধর্ম সম্পর্কহীন ব্যক্তিদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার উপায় হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলো। তবে রাষ্ট্র ও দেশগুলোতে হাজার হাজার বা কোটি কোটি মানুষ পরস্পরের সাথে সাথে সম্পর্কহীন ছিলো। জারেড ডায়মন্ড যুক্তি দেখান যে, সংগঠিত ধর্ম অন্য কোনও সম্পর্কহীন ব্যক্তিদের মধ্যে বন্ধন তৈরী করে। অন্যথায় সেখানে শত্রুতার প্রবণতা প্রকাশ পাবে। কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দেন যে, ব্যান্ড ও উপজাতীয় সমাজের মধ্যে মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হত্যাকাণ্ড। [৩৪]
বিভিন্ন ধর্ম
- এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন, বিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকা
ইব্রাহামীয় ধর্মসমূহ
ভারতীয় ধর্মসমূহ
পূর্ব এশীয় ধর্মসমূহ
- তাও ধর্ম
- শিন্তো ধর্ম
- কনফুসীয় ধর্ম
- কোরীয় শামানবাদ
- মঙ্গোলীয় শামানবাদ
পার্সি (ইরানীয়) ধর্মসমূহ
অন্যন্যা ধর্মসমূহ
- মেন্ডীয়বাদ
- বিভিন্ন লৌকিক ধর্মসমূহ
বিলুপ্ত ধর্ম
- প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম
- সুমেরীয় ধর্ম
- ব্যবিলনীয় ধর্ম
- প্রাচীন গ্রিক ধর্ম
- রোমান ধর্ম
- মায়া ধর্ম
- ইনকা ধর্ম
- আজটেক ধর্ম
ধর্মের সমালোচনা
ধর্মের সমালোচনা হল রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব সহ ধর্মের ধারনা, সত্য বা অনুশীলনের সমালোচনা।[৩৫]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "Definition of RELIGION"। www.merriam-webster.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-৩১।
- ↑ Morreall, John; Sonn, Tamara (২০১৪-০৬-০৩)। 50 Great Myths About Religions (ইংরেজি ভাষায়)। John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা ১২–১৭। আইএসবিএন 978-0-470-67350-8।
- ↑ Nongbri, Brent (২০১৩)। Before Religion: A History of a Modern Concept (ইংরেজি ভাষায়)। Yale University Press। আইএসবিএন 978-0-300-15416-0।
- ↑ James, William (১৯৮৫)। The varieties of religious experience। unknown library। Cambridge, Mass. : Harvard University Press। পৃষ্ঠা ৩১।
- ↑ Durkheim, Emile (১৯১৫)। The elementary forms of the religious life, a study in religious sociology। University of California Libraries। London : G. Allen & Unwin; New York, Macmillan।
- ↑ Tillich, P. (১৯৫৭) Dynamics of faith. Harper Perennial; (পৃষ্ঠা ১)।
- ↑ James, Paul। Globalization and Culture, Vol. 2: Globalizing Religions (2010)।
- ↑ "Faith and Reason | Internet Encyclopedia of Philosophy" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-৩১।
- ↑ NW, 1615 L. St; Washington, Suite 800; Inquiries, DC 20036 USA202-419-4300 | Main202-419-4349 | Fax202-419-4372 | Media (২০১২-১২-১৮)। "The Global Religious Landscape"। Pew Research Center's Religion & Public Life Project (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-৩১।
- ↑ NW, 1615 L. St; Washington, Suite 800; Inquiries, DC 20036 USA202-419-4300 | Main202-419-4349 | Fax202-419-4372 | Media (২০১২-১২-১৮)। "Religiously Unaffiliated"। Pew Research Center's Religion & Public Life Project (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-৩১।
- ↑ James, Paul। "What Does It Mean Ontologically to Be Religious (2018)"। Religion in a Secular Age: The Struggle for Meaning in an Abstracted World।
- ↑ "religion | Origin and meaning of religion by Online Etymology Dictionary"। www.etymonline.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-৩১।
- ↑ Shorter Oxford English dictionary on historical principles। Internet Archive। Oxford ; New York : Oxford University Press। ২০০৭। আইএসবিএন 978-0-19-920687-2।
- ↑ ক খ গ ঘ Harrison, Peter (২০১৫)। The Territories of Science and Religion। Read excerpt। Chicago, USA: University of Chicago Press। আইএসবিএন 978-0-226-18448-7।
- ↑ ক খ গ ঘ Nongbri, Brent (২০১৩)। Before Religion: A History of a Modern Concept। New Haven, Connecticut: Yale University Press। আইএসবিএন 030015416X।
- ↑ ক খ Josephson, Jason Ānanda (২০১২)। The Invention of Religion in Japan। Chicago: University of Chicago Press। আইএসবিএন 0226412342।
- ↑ Müller, Friedrich Max (১৮৮৯)। Natural Religion। London, UK; New York, USA: Longmans, Green and Co.। পৃষ্ঠা 33। ওসিএলসি 560888।
- ↑ Lewis & Short, A Latin Dictionary
- ↑ Müller, Friedrich Max (১৯৭৮) [1873]। Introduction to the science of religion। Reprint of the 1873 ed. published by Longmans, Green and Co. from London, UK। New York, USA: Arno Press। পৃষ্ঠা 28। আইএসবিএন 978-0405-10554-8। ওসিএলসি 3447055।
- ↑ Kuroda, Toshio (১৯৯৬)। Translated by Jacqueline I. Stone। "The Imperial Law and the Buddhist Law" (পিডিএফ)। Japanese Journal of Religious Studies (English ভাষায়) (23): 3–4। মার্চ ২৩, ২০০৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ২৮, ২০১০।
- ↑ McMullin, N. (২০১৪) [1984]। Buddhism and the State in Sixteenth-Century Japan। Princeton: Princeton University Press। আইএসবিএন 978-1-4008-5597-1।
- ↑ Edelheit, Hershel; Edelheit, Abraham J.। History of Zionism: A Handbook and Dictionary। citing Solomon Zeitlin, The Jews: Race, Nation, or Religion? (1936) Philadelphia: Dropsie College Press। পৃষ্ঠা 3।
- ↑ Linda M. Whiteford; Robert T. Trotter II (২০০৮)। Ethics for Anthropological Research and Practice। Waveland Press। পৃষ্ঠা 22। আইএসবিএন 978-1-4786-1059-5।
- ↑ Vgl. Johann Figl: Handbuch Religionswissenschaft: Religionen und ihre zentralen Themen. Vandenhoeck & Ruprecht, 2003, আইএসবিএন ৩-৭০২২-২৫০৮-০, S. 65.
- ↑ Julia Haslinger: Die Evolution der Religionen und der Religiosität, s. Literatur Religionsgeschichte, S. 3–4, 8.
- ↑ Johann Figl: Handbuch Religionswissenschaft: Religionen und ihre zentralen Themen. Vandenhoeck & Ruprecht, 2003, আইএসবিএন ৩-৭০২২-২৫০৮-০, S. 67.
- ↑ In: Friedrich Schleichermacher: Der christliche Glaube nach den Grundsätzen der evangelischen Kirche. Berlin 1821/22. Neuausg. Berlin 1984, § 3/4. Zit. nach: Walter Burkert: Kulte des Altertums. Biologische Grundlagen der Religion. 2. Auflage. C.H. Beck, München 2009, আইএসবিএন ৯৭৮-৩-৪০৬-৪৩৩৫৫-৯, S. 102.
- ↑ Peter Antes: Religion, religionswissenschaftlich. In: EKL Bd. 3, Sp. 1543. S. 98.
- ↑ Fitzgerald, Timothy (২০০৭)। Discourse on Civility and Barbarity। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 45–46। আইএসবিএন 978-0-19-530009-3।
- ↑ "Religion". Encyclopedia Universal Ilustrada Europeo-Americana, 70 vols. Madrid. 1907-1930.
- ↑ "The World's First Temple"। Archaeology magazine। নভে–ডিসে ২০০৮। পৃষ্ঠা 23।
- ↑ Sagona, Claudia। The Archaeology of Malta (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 9781107006690। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Shermer, Michael। The Science of Good and Evil। আইএসবিএন 0-8050-7520-8।
- ↑ Compare: Diamond, Jared। "chapter 14, From Egalitarianism to Kleptocracy"। Guns, Germs, and Steel: The Fates of Human Societies। আইএসবিএন 9780393609295।
- ↑ Beckford, James A. (২০০৩)। Social Theory and Religion। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 2। আইএসবিএন 978-0-521-77431-4।
বহিঃসংযোগ
- Religion Statistics from UCB Libraries GovPubs
- কার্লিতে ধর্ম (ইংরেজি)
- Major Religions of the World Ranked by Number of Adherents ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ জুন ২০০৮ তারিখে by Adherents.com August 2005
- IACSR - International Association for the Cognitive Science of Religion
- Studying Religion - Introduction to the methods and scholars of the academic study of religion
- A Contribution to the Critique of Hegel’s Philosophy of Right - Marx's original reference to religion as the opium of the people.
- The Complexity of Religion and the Definition of “Religion” in International Law Harvard Human Rights Journal article from the President and Fellows of Harvard College(2003)