সাঁথিয়া উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°৩′৪৭″ উত্তর ৮৯°৩২′০″ পূর্ব / ২৪.০৬৩০৬° উত্তর ৮৯.৫৩৩৩৩° পূর্ব / 24.06306; 89.53333
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৫৩, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

সাঁথিয়া
উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩′৪৭″ উত্তর ৮৯°৩২′০″ পূর্ব / ২৪.০৬৩০৬° উত্তর ৮৯.৫৩৩৩৩° পূর্ব / 24.06306; 89.53333 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাপাবনা জেলা
আয়তন
 • মোট৩৩১.৫৬ বর্গকিমি (১২৮.০২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[১]
 • মোট৩,২৩,৯৩২
 • জনঘনত্ব৯৮০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬২.০৪%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৭৬ ৭২
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

সাঁথিয়া উপজেলা বাংলাদেশের পাবনা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি পাবনা জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা। এ উপজেলা পাবনা শহর থেকে ৩৫ কিঃমিঃ পূর্বদিকে অবস্থিত।

অবস্থান ও আয়তন

সাথিয়ার আয়তন ৩৩১.৫৬ বর্গ কিলোমিটার। এই উপজেলার উত্তরে ফরিদপুর সদর উপজেলাশাহজাদপুর উপজেলা, দক্ষিণে সুজানগর উপজেলা, পূর্বে বেড়া উপজেলা এবং পশ্চিমে পাবনা সদরআটঘরিয়া উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

এটি জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা ৬৮-এর অধীন যা পাবনা-১ নামে পরিচিত।

  • ইউনিয়ন - ১০টি;
  1. নাগডেমড়া ইউনিয়ন পরিষদ
  2. ধুলাউড়ি ইউনিয়ন পরিষদ
  3. ভূলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
  4. ধোপাদহ ইউনিয়ন পরিষদ
  5. করমজা ইউনিয়ন পরিষদ
  6. কাশিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  7. গৌরীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ
  8. নন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  9. ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
  10. আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদ
  • পৌরসভা - ১টি;
  • মৌজা - ১৭৭টি;
  • গ্রাম - ২৫৮টি।

ইতিহাস

সাঁথিয়া উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন জনশ্রুতি আছে। জানা যায় সমগ্র সাঁথিয়া অতীতে চরএলাকা ছিল। এই চরে সিনথিয়া নামে এক সাঁওতাল আদিবাসি বাস করত। পরবর্তীতে অন্যান্য এলাকা থেকে সাঁওতালরা এসে সিনথিয়ার সংগে বসবাস করতে শুরু করে এবং একটি গ্রামের সৃষ্টি হয়। আদিবাসি সিনথিয়ার নাম থেকেই পরবর্তীকালে সাঁথিয়া নামের উৎপত্তি হয় মর্মে শোনা যায়। দ্বিতীয় জনশ্রুতি মতে অনেক আগে সাঁথিয়া অঞ্চল গভীর জংগলে পরিপূর্ণ ছিল। সংগী অথবা সাথী ছাড়া কেহই একা এই এলাকায় চলাফেরা করত না। সকলেই সাথী সহ এখানে আসতেন। পরবর্তীতে এই সাথী থেকেই সাঁথিয়া নামের উদ্ভব মর্মে শোনা যায়। সাঁথিয়া উপজেলার ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায় বৃটিশ শাসনামলে লর্ড ওয়ারেন হেষ্টিংসের সময় ১৯১৯ সালে সাঁথিয়া থানার জন্ম। ১৯৬০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খাঁনের শাসনামলে সাঁথিয়া উন্নয়ন সার্কেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর সাঁথিয়াকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। মূলত কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি এ উপজেলার মূল চালিকা শক্তি। এ উপজেলার চার পাশের বড়াল ও যমুনা নদীতে বাঁধ দিয়ে সুরক্ষিত থাকায় কখনও বন্যা হয় না। অপর দিকে শুষ্ক মৌসুমে ক্যানেলে পাম্পের সাহায্যে যমুনা নদী হতে পানি এনে ধরে রেখে এ উপজেলার চাহিদা সহজে পূরণ করা হয়। যার ফলে বন্যা অথবা অনাবৃষ্টি এ এলাকার কৃষিকে খুব বেশি প্রভাবিত করতে পারে না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে এ উপজেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি থাকায় এখানকার জনগণ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন।[২]

জনসংখ্যার উপাত্ত

জনসংখ্যা ৩,২৩,৯৩২ জন। ঘনত্ব ৯৮৬ জন/বর্গ কিমি। খানা ৬৫,০৩৯ টি।

স্বাস্থ্য

  • সরকারী হাসপাতাল - ১টি;
  • স্বাস্থ্য কেন্দ্র/ক্লিনিক - ১১টি;
  • কমিউনিটি ক্লিনিক - ২৯টি;

শিক্ষা

  • মহাবিদ্যালয় - ১০টি;
  • উচ্চ বিদ্যালয় - ৩৫টি;
  • মাদ্রাসা - ২৬টি;
  • সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৯০টি;
  • রেজি. বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৭৭টি।

অর্থনীতি

এ উপজেলার মানুষ কৃষি, হাস মুরগীর খামার, দুগ্ধ খামার, গরু ছাগল পালন, তাঁত শিল্প ইত্যাতি পেশার সাথে জড়িত। এছাড়া বগুড়া নগরবাড়ী মহাসড়কের পাশে কাশিনাথপুর হতে ২ কিঃ মিঃ উত্তরে "বেঙ্গল মিট" অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান। এখানে সম্পূর্ণ স্বয়ক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন প্রায় ২৫০০ কেজি মাংস প্রক্রিয়াজাত করা হয়; যা বিদেশে রপ্তানী করা হয়। এখানে প্রায় ৫০ জন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

দর্শনীয় স্থান

বিবিধ

  • পোষ্ট অফিস - ১৯টি।

আরও দেখুন

তথ্যসুত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে সাঁথিয়া উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ