সিওয়ান জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৬°১২′০০″ উত্তর ৮৪°২৪′০০″ পূর্ব / ২৬.২০০০° উত্তর ৮৪.৪০০০° পূর্ব / 26.2000; 84.4000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিওয়ান জেলা
सीवान ज़िला ضلع سیوان
বিহারের জেলা
বিহারে সিওয়ানের অবস্থান
বিহারে সিওয়ানের অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যবিহার
প্রশাসনিক বিভাগসারন
সদরদপ্তরসিওয়ান, বিহার
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্রসিওয়ান
 • বিধানসভা আসনসিওয়ান, জিরাদেই, দারাউলি, রঘুনাথপুর, দারাউন্দা, বারহারিয়া, গোরিয়াকোঠি, মহারাজগঞ্জ
আয়তন
 • মোট২,২১৯ বর্গকিমি (৮৫৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩৩,১৮,১৭৬
 • জনঘনত্ব১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৯০০/বর্গমাইল)
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৭১.৫৯%
 • লিঙ্গানুপাত৯৮৪
প্রধান মহাসড়ক৮৫ নং জাতীয় সড়ক
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
বাবা মহেন্দ্র নাথ মন্দির

সিওয়ান জেলা হল ভারতের বিহার রাজ্যের ৩৯টি জেলার অন্যতম। এই জেলার সদর শহর সিওয়ান। সিওয়ান জেলা ১৯৭২ সাল থেকে বিহারের সারন বিভাগের অন্তর্গত। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ এই জেলার জিরাদেইয়ের বাসিন্দা ছিলেন।[১] আলি বক্সের নামানুসারে এই জেলা আগে আলিগঞ্জ সিওয়ান নামে পরিচিত ছিল।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সিওয়ান জেলা বিহারের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। প্রাচীন কালে এটি কোশল রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।[২]

পূর্বে সিওয়ান জেলা সারন জেলার একটি মহকুমা ছিল। ১৯৭৬ সালে এটি পৃথক জেলার মর্যাদা পায়।[৩]

সিওয়ান শব্দটি এসেছে শিবমন নামে এক বান্ধ রাজার নাম অনুসারে। শিবমনের উত্তরসূরিরা বাবরের আগমনের আগে অবধি এই অঞ্চলে রাজত্ব করতেন। সিওয়ানের মহারাজগঞ্জ মহকুমাটিকে এই রাজাদের রাজধানী মনে করা হয়। সম্প্রতি এই জেলার ভেরবানিয়া গ্রামে বিষ্ণুর একটি প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গিয়েছে।। ১৭৯০-এর দশকে গোর্খা রাজারা সিওয়ান রাজ্য সাময়িকভাবে দখল করেছিলেন। তারপর এখানে ব্রিটিশ আধিপত্য স্থাপিত হয়। বর্তমানে এই অঞ্চলে যাদব ও রাজপুত জাতির লোকেরা বাস করে।[৪]

খ্রিস্টীয় ৮ম শতাব্দীতে সিওয়ান কাশী রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। ১৩শ শতাব্দীতে এখানে মুসলমানেরা আসে। ১৫শ শতাব্দীতে সিকন্দর লোদি এই অঞ্চল জয় করেন। বাবর যুদ্ধ জয় সেরে ফেরার পথে সিওয়ানের কাছে ঘর্ঘরা নদী পার করেন। ১৭শ শতাব্দী শেষে এই অঞ্চলে ডাচেরা আসে। তারপরই এই অঞ্চলে ব্রিটিশরা আসে। ১৭৬৫ সালে বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভ করে ব্রিটিশরা বাংলা ও বিহারের আধিপত্য অর্জন করলে, সিওয়ান ব্রিটিশদের অধীনস্থ হয়। সিপাহি বিদ্রোহে সিওয়ান গুরুত্বপূর্ণ স্থান গ্রহণ করেছিল। ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলনেও সিওয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।[২]

ভূগোল[সম্পাদনা]

সিওয়ান জেলার আয়তন ২,২১৯ বর্গকিলোমিটার (৮৫৭ মা)।[৫]

বিভাগ[সম্পাদনা]

সিওয়ান জেলা দুটি মহকুমায় বিভক্ত। এগুলি হল: সিওয়ান ও মহারাজগঞ্জ।

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, সিওয়ান জেলার জনসংখ্যা ৩,৩১৮, ১৭৬।[৬] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ১০১ তম।[৬] জেলার জনঘনত্ব ১,৪৯৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩,৮৭০ জন/বর্গমাইল)।[৬] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২২.২৫%।[৬] সিওয়ান জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৮৪ জন মহিলা[৬] এবং সাক্ষরতার হার ৭১.৫৯%।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১]
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৫ 
  3. Law, Gwillim (২০১১-০৯-২৫)। "Districts of India"Statoids। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  4. http://www.indianexpress.com/news/this-week-bihar/1118304/
  5. Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Bihar: Government"। India 2010: A Reference Annual (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1118–1119। আইএসবিএন 978-81-230-1617-7। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  6. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Saran Division

টেমপ্লেট:Saran Division topics