দেবী অহল্যাবাঈ হোলকার বিমানবন্দর
দেবী অহল্যা বাই হোলকার বিমানবন্দর, ইন্দোর देवी अहिल्या बाई होलकर हवाई अड्डा, इंदौर | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | জনসাধারন | ||||||||||
পরিচালক | ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | ইন্দোর | ||||||||||
অবস্থান | ইন্দোর, মধ্যপ্রদেশ, ভারত | ||||||||||
যে হাবের জন্য | |||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১,৮৫০ ফুট / ৫২৮ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২২°৪৩′১৮″ উত্তর ৭৫°৪৮′০৩″ পূর্ব / ২২.৭২১৬৭° উত্তর ৭৫.৮০০৮৩° পূর্ব | ||||||||||
ওয়েবসাইট | www | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
পরিসংখ্যান (এপ্রিল ২০১৬ - মার্চ ২০১৭) | |||||||||||
| |||||||||||
দেবী অহল্যা বাই হোলকার বিমানবন্দর (আইএটিএ: আইডিআর, আইসিএও: ভয়েড) হল একটি সার্বজনীন বিমানবন্দর যা মূলত ভারতীয় রাজ্য মধ্যপ্রদেশের বৃহত্তম শহর ইন্দোর এবং শহরটির নিকটবর্তী অঞ্চলে বিমান পরিষেবার কাজ করে। এটি মধ্যপ্রদেশের সর্বাধিক যাত্রী পরিবাহনকারী বিমানবন্দর এবং ইন্দোরের ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য দায়বদ্ধ এজেন্সি, যাত্রী পরিবহনের হিসাবের দ্বারা এটি ভারতের ২৪ তম ব্যস্ত বিমানবন্দর। মারাঠা সাম্রাজ্যের হোলকার রাজবংশের অন্তর্গত, ইন্দোরের মহারানী অহল্যা বাই হোলকারের নামে বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]হোলকার রাজ্য প্রশাসন, মেসার্স টাটা অ্যান্ড সন্স (এভিয়েশন ডিপার্টমেন্ট) এর প্রধান নেভিল ভিন্টেন্টের সাথে আলোচনা করে ১৯৩৫ সালে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য বর্তমান স্থানটি নির্বাচন করে। ইন্দোর থেকে গোয়ালিয়র, দিল্লি এবং মুম্বাই থেকে বিমান পরিষেবা জুলাই ১৯৪৮ থেকে শুরু হয়। সেন্ট্রাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রেশন স্কিমের আওতায় ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে ভারত সরকারকে বিমানবন্দর হস্তান্তর করা হয়েছিল। ৫,৬৬৬ ফুট দীর্ঘ নতুন একটি রানওয়ে মার্চ ১৯৬৬ সালে ₹১.৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে নির্মাণ করে বৃহত্তর বিমান অবতরণের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছিল। বর্তমানে রাতে অবতরণ সুবিধা প্রদান করা হয় বিমানবন্দরে।[৪]
গঠন
[সম্পাদনা]ইন্দোর বিমানবন্দর ৭২২ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এবং বর্তমান টার্মিনাল ভবন ১৮,০০০ বর্গ মিটারের মধ্যে বিস্তৃত। পাশাপাশি কংক্রিটের অ্যাপ্রনগুলি ৫ টি এটিআর ৭২ , ৪ টি এয়ারবাস এ -৩২১ এবং ৩ বোয়িং ৭৩৭ বিমানকে একযোগে দাঁড় করানোর করার জন্য পার্কিং বে রয়েছে।[৫] ইন্দোরের বিমানবন্দরের একমাত্র রানওয়ে ০৭/২৫ ভিত্তিতে ২,৭৫০ মিটার লম্বা এবং ৪৫ মিটার চওড়া।
বিমানবন্দরে রাতে অবতরণ সুবিধাগুলি এবং একটি ক্যাট-১ ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) (রানওয়ে ২৫ এ) রয়েছে। এছাড়া ন্যাভিগেশন সুবিধার জন্য ডিভিওর / ডিএমই এবং এনডিবি ব্যবস্থা আছে। বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে রানওয়েটি সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।
টার্মিনাল ভবন
[সম্পাদনা]সুসংহত টার্মিনাল
[সম্পাদনা]১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে ইন্দোর বিমানবন্দরের নতুন সম্প্রসারিত সমন্বিত টার্মিনাল উদ্বোধন করা হয়। এটি ₹১৩৫ কোটি টাকা খরচ করে এএআই কর্তৃক নির্মিত হয় এবং এটি একই সময়ে ৭০০ জন যাত্রীকে পরিচালনা করতে সক্ষম।[৬] নতুন টার্মিনালটিতে আধুনিক এস্ক্যালেটর এবং একটি উচ্চ প্রযুক্তির ব্যাগ পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। এটি প্রতিদিন ৪৬ টি উড়ান পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গঠনের জন্য, ১৬ টি চেক-ইন কাউন্টারে, ১৬ টি অভিবাসন কাউন্টার (চারটি গমন এবং আগমনের জন্য ১২ টি) এবং চারটি কাউন্টার কাস্টমসের জন্য গঠন করা হবে। এছাড়া ৫৬৯ টি সিসিটিভি এবং এক্স-রে মেশিনের দ্বারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সুবিধাগুলি প্রদানের জন্য, টার্মিনালের দুটি লিফট এবং ব্যাগের জন্য দুই এস্ক্যালেটর কনভেয়র বেল্ট থাকবে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Traffic news (Feb 2016) Annexure-III" (পিডিএফ)। AAI Aero। ৯ মে ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Traffic news (Feb 2016) Annexure-II" (পিডিএফ)। AAI Aero। ৯ মে ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Traffic news (Feb 2016) Annexure-IV" (পিডিএফ)। AAI Aero। ৯ মে ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ Madhya Pradesh district gazetteers, Volume 17। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Airports Authority of India"। Aai.aero। ২০১০-০৪-২০। ২০১৭-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২৬।
- ↑ "New terminal of Devi Ahilya Bai airport inaugurated"। Daily Bhaskar। ১৫ এপ্রিল ২০১২। ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২।