খসরুজ্জামান চৌধুরী
খসরুজ্জামান চৌধুুুরী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ব্যাটন রুজ শহরে |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পেশা | সরকারি চাকুুরি |
দাম্পত্য সঙ্গী | তাহমিনা জামান |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৪) |
ড. খসরুজ্জামান চৌধুুুরী হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তাকে “স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[১]
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি[সম্পাদনা]
জন্মস্থান (বর্তমান সময় অনুযায়ী ) চৌধুরী বাড়ি, আষ্টঘড়ি, ১০ নং মুড়িয়া ইউনিয়ন, ওয়ার্ড - ০৮, বিয়ানীবাজার - ৩১৭০, সিলেট, বাংলাদেশ।
শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]
অর্থনীতিতে পিএইচডি (সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র); লোক প্রশাসনে এমপিএ (হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র); বিএ অনার্স, অর্থনীতি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
প্রাক্তন সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (C.S.P.)- এ যোগ দেন ১৯৬৭ সালে। ১৯৬৯-১৯৭৯ সালে সহকারী কমিশনার, ঢাকা। ১৯৭০-১৯৭১ সালে মহকুমা প্রশাসক, কিশোরগঞ্জ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও প্রবাসী সরকারের উপসচিব পদে কাজ। ১৯৭১-১৯৭২ সালে জেলা প্রশাসক, বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা। ১৯৭২-৭৫ সালে উপসচিব, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়। ১৯৭৫-১৯৭৭ সালে উপসচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সচিব, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। ১৯৭৮- ১৯৮০ সালে সিনিয়র গবেষক ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ICED), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮৭ সাল থেকে মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত অর্থনীতি, ফাইনান্স ও পাবলিক পলিসির অধ্যাপক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান[সম্পাদনা]
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ও প্রবাসী সরকারের উপসচিব পদের দায়িত্ব পালন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয় তাকে।
লেখালেখি ও প্রকাশিত বই[সম্পাদনা]
অর্থনীতি ও শিক্ষার উপরে আটটি বই, এবং পেশাগত জার্নালে বেশ কয়েকটি গবেষণানির্ভর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লিখেছেন ছোটগল্প, কবিতা, ছড়া ও রম্যরচনা।
সহলেখিকা তাহমিনা জামানের সঙ্গে গল্পসংকলন 'নিঃসঙ্গ জনতায় ও অন্যান্য প্রবাসের গল্প' এবং 'এই রোদ এই বৃষ্টি' এবং তাহমিনা জামানের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনায় 'প্রবাসের গল্প' ও 'প্রবাস ও অভিবাসনের গল্প'। 'শুধুই গল্প', 'মুখ খুলিলেই বিপদ', 'বড়দের ছড়া', 'পথে', 'পাঁচ মিনিটের গল্প', 'বাঙালীর ভর্তা', 'The Turbulent 1971: My Diary'; সহ-লেখিকা তাহমিনা জামানের সঙ্গে: আমাদের দেখা কিছু মানুষ, 'আমাদের কবিতা'। রম্যরচনা 'যাহা বলিবে বুঝিয়া বলিবে, যাহা বুঝিবে তাহা বলিবে না'। 'একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ', স্মৃতিচারণমূলক লেখা 'আমার দেখা কিছু মানুষ'। এছাড়া গবেষণাভিত্তিক তিনটি ইংরেজি বই।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ব্যাটন রুজ শহরে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]
এদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[২][৩][৪] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[১]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য) - ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭।