কামরুল ইসলাম (চিকিৎসক)
কামরুল ইসলাম | |
---|---|
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা মেডিকেল কলেজ |
প্রতিষ্ঠান | সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) |
পরিচিতির কারণ | বিনা পারিশ্রমিকে কিডনি প্রতিস্থাপন |
সন্তান | ৩ মেয়ে |
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার | চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কার (২০২২) |
কামরুল ইসলাম একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক, যিনি চিকিৎসা বিদ্যায় অবদান রাখার জন্য ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।[২]
জীবনী
কামরুল ইসলামের পিতা আমিনুল ইসলাম ছিলেন পাবনার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের আরনোমিস্ট। চার ভাই-বোনের মধ্যে কামরুল ছিলেন দ্বিতীয়।[৩]
১৯৮০ সালে তিনি পাবনার চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন এবং মেধা তালিকায় ১৫তম স্থান অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৮২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০ম স্থান অর্জন করেন।[৩]
কামরুল ইসলাম ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, ১৯৮২ সালে অনুষ্ঠিত ৮টি মেডিকেল কলেজের সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস অব এডিনবার্গ-এ পড়াশোনা করেন।[৪]
কামরুল ইসলাম ১৯৯৩ সালে বিসিএসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হিসাবেও কর্মরত ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ করেন। ২০১১ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে প্রতিষ্ঠা করেন সিকেডি হাসপাতাল।
কামরুল ইসলাম ৩ কন্যা সন্তানের জনক।
তথ্যসূত্র
- ↑ Pratidin, Bangladesh (২০২১-১২-০৪)। "মানবতার ডাক্তার কামরুল ইসলাম"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৭।
- ↑ "স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন বিনা পারিশ্রমিকে কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সেই ডাক্তার"। thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৫।
- ↑ ক খ "স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন দুই কিংবদন্তি চিকিৎসক"। বাংলানিউজ২৪.কম। ১৫ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৬।
- ↑ রশীদ, মামুনুর (২০২১-১০-২৭)। "একজন ডা. কামরুল ও বিনা পারিশ্রমিকে ১ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৫।