গোবিন্দপদ দত্ত
গোবিন্দপদ দত্ত | |
---|---|
জন্ম | |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
অনুশীলন সমিতি |
---|
প্রভাব |
অনুশীলন সমিতি |
উল্লেখযোগ্য ঘটনা |
সম্পর্কিত প্রসঙ্গ |
গোবিন্দপদ দত্ত একজন বাঙালি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]তার আদি নিবাস নদিয়া জেলার ধর্মদা (ধর্মদহ) গ্রামে। পিতার নাম সুরেশচন্দ্র দত্ত। তিনি এ.ভি হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা ও কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন।[১]
বিপ্লবী আন্দোলন
[সম্পাদনা]বিপ্লবী অনন্তহরি মিত্রের ফাঁসি ও প্রমোদরঞ্জন সেনগুপ্তর বিলাত গমনের পরে কৃষ্ণনগরের ছাত্র-যুব সমাজে বিপ্লবী আন্দোলনে তিনি অন্যতম নেতার ভূমিকায় আসেন। কৃষ্ণনগরে সাধনা লাইব্রেরি ও দরিদ্র ভান্ডারকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তিনিই ছিলেন তার প্রধান চালিকাশক্তি। একাধারে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটির সদস্য ও জেলা কংগ্রেসের সহ- সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র-যুব সমিতি ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। আইন অমান্য আন্দোলনের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি চলছিল জেলা জুড়ে, এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের কারণে সারা বাংলার বিপ্লবীদের সাথে তিনিও বন্দী হন। বিনা বিচারে তারই সাথে বন্দী ছিলেন তারকদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাদাস মুখোপাধ্যায়, মহাদেব সরকার প্রমুখ। তাকে কৃষ্ণনগর, দমদম স্পেশাল জেল, হিজলী বন্দীশালায় থাকতে হয়েছে। ১৯৩১ এর ১৬ সেপ্টেম্বর হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্পের কুখ্যাত গুলিচালনার ঘটনায় সন্তোষ কুমার মিত্র ও তারকেশ্বর সেনগুপ্ত শহীদ হন। গুলিতে গোবিন্দপদ দত্ত মারাত্মক আহত হয়েছিলেন। তার বাম হাত কেটে বাদ দিতে হয়। এর পর থেকে তার শরীরের অবনতি ঘটে। অসুস্থ অবস্থায় মুক্তি পান।[১][২]
পরবর্তী জীবন
[সম্পাদনা]কারামুক্তির কিছুদিন পর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করেন গোবিন্দপদ দত্ত ও বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়েন।[১]